আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়, হাত ধর, পাশে এসে বোস!



অনেক দিন হয় ছোট গল্প লিখিনা, পড়াতেও মন নেই তেমন। আগে ঘরে গেলে হুমায়ুনের বই টই দেখলে পড়তিচ্ছা করত। আজকাল তাও করেনা। অবাক লাগে, আমার খেলাধুলার উপরও একদম মন নেই। আগে টিভিতে কোন ক্রিকেট ম্যাচ থাকলে খাওয়া দাওয়া ভুলে থাকা কোন ব্যাপারই ছিলনা।

ইরো কাপ বা এই জাতীয় ফুটবল টূর্নামেন্টের দু-একটা খেলা টিভিতে দিলে সেটা দেখার জন্য কত আয়োজন! এসবের কিছুই এখন আর নেই আমার মধ্যে। যখন ফাইনাল শেষ করলাম, বরিশাল বসে ভাবলাম, চাকুরী করি বা না করি নিজেকে যেন অন্যের থেকে খুব ছোট মনে না হয় সেইভাবে অন্তত সব সময়ই প্রিপেয়ার থাকবো। বই পত্রের দিক খোঁজ খবর রাখবো। মন দিয়ে স্ট্যাডি করবো। যেখানটাতে দুর্বল সেটা ভালো করে শিখবো।

ঢাকা গেলাম। কাজ শিখবো, তাও তেমন শেখা হলোনা। চলেও আসলাম। বাড়িতে এসে ডিসিশান নিলাম ডিভি’র দুমাস থাকবো, ফাঁকে পড়াশুনাও করবো। হলো কই? হলোনা।

সারা দিন রাত কি করি তাতো জানোই। দোকান, বাসা, নাওয়া খাওয়া আর ঘুম। আমি এইরকম করে তোরে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও এড়ানো যাবেনা। আমার সব কিছুর মধ্যে ‘তুই’ বিষয়টা খুব নিবিড়ভাবে একটা বিরাট অংশ জুড়ে বসে আছে। এটা আমি মুখে না বললেও তুই ভালোই বোঝ।

কখনো কখনো তোর কথা ভেবে ভাবি, বড় হবো, অনেক বড় হতে হবে। মেজ ভাইর কথা ভাবি, উনারও বড় হবার অনেক চেষ্টা। সবচেয়ে বড় কথা কি জানো? আমারে নিয়ে ভাইয়া, মেজ ভাই’র একটা প্রত্যাশার মতো ছিল। প্রত্যাশা বলতে, আমারে তারা যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ মনে করে। আমি ফ্যামিলির জন্য বড় কিছু করবো একরম একটা প্রত্যাশা।

এটা আমারও খুব ইচ্ছা। এখন যতটুকু পারি তারচেয়ে ১০০ গুন করার ইচ্ছা। জয়েন্ট ফ্যামিলির একটা ব্যাপার স্যাপার আমার মধ্যে বেশ শক্তভাবেই আছে। এটাকে ভাঙ্গা বা ভাঙ্গতে সহায়তা করার কথা ভুলেও ভাবতে পারিনা। তাই যেভাবেই থাকি, সবার সাথেই মিশে থাকতে চাই।

তাই তোর সাথেও খুব শক্ত ভাবে মিশে আছি। এই মিশে থাকাটাও বেশি দিনের নয় জানি। এবারের কুরবানিতে তোর চলে যাওয়া হলে ভালোই হবে। ঈদের তৃতীয় দিন বরিশালের এক বন্ধুর বোনের বিয়ে। ঐ যে বলছিলাম না যে, মনি নামের একটা ফ্রেন্ড আছে।

আমার থেকেও ৪ আঙ্গুল লম্বা হবে। চোখগুলো আতিয়া ভাবির চোখের মতো, কেমন লম্বা পাতা পাতা! মনিরে দেখতে নাকি অভিষেকের মতো লাগে। ও আবার মেয়েদের সাথে তেমন মিশতো না। তো ডিপার্টমেন্ট থেকে একবার যশোর পিকনিকে গেলো ওরা সবাই, তখন মেয়েরা নাকি বলাবলি করে যে, মনি ছেলেটা ওর সৌন্দর্য নিয়ে ভাব ধরে বসে থাকে। এই বিয়ের কিছুদিন পর বা আগে তোরটা হলে পরপর বিয়ে খেয়ে অনেকটা মোটা হয়ে যাওয়া যাবে।

মোটা হলে তখন যদি আমি শার্টের হাতা কনুয়ের উপরেও উঠাই তোর আপত্তি থাকবেনা। কারন তখন যেমনই থাকি এখনকার মতো এরকম লাগবেনা। আসমানী, সেদিনকের তোর কথাটা শুনে আমার ভালোই লেগেছিলো। বললিনা যে, কত মানুষ কত কি চেইঞ্জ করে, আমিতো তোর কিছুই চেইঞ্জ করতে পারিনি। তোর আর শার্ট কিনতে হবেনা, যেরকম ইচ্ছা সেরকম থাক! তুই যদি এইরকম করে এই কথাটা আগে বলতি তবে আমি সত্যি সত্যিই একটু চেঞ্জ হতে চেষ্টা করতাম।

ওরপর থেকে আমি প্যান্ট আগের মতো ওতোটা ভাজ করে রাখিনা। শার্টের হাতার ব্যাপারে আন্তরিকভাবেই একটু সতর্ক হয়েছি। আসমানী, আমি ঠিক এইরকম করেই আমার জীবনের সব কথাগুলো তোর সাথে শেয়ার করতে চাই। তোকে বলে অনেক হালকা হতে পারি আমি। ধরে দ্যাখ, এখন কেমন হালকা হয়ে গেছি! নে, মাউস ধর।

কোন কথা না, একদম চুপচাপ ফাইল থেকে ভিউ'র কাজ দেখা। দেখবো ভুল হচ্ছে কিনা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।