প্রথমত আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইনের পাশাপাশি টু্রিজমের উপর কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার। এ ব্যাপারে কেউ সাহায্য করলে চির কৃতার্থ থাকব। http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh
পাঠক, সবার প্রথম আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই, উত্তরটা জানা থাকলে আমাকে জানাবেন, জানা না থাকলে আমাকে পরামর্শ / মতামত দিবেন।
প্রশ্নটা হলো আপনি জেনে থাকবেন আজকাল অনেক ছেলেরাই বিয়ের পরে বদলে যায়, বাবা-মা'র চেয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়ী বেশী আপন হয়ে যায়।
তখন তারা শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে আব্বা আম্মা ডাকে। আমার কোন আপত্তি নেই।
আপনি বলবেন, এটা ঠিক।
১, কারণ, এটা আমাদের কালচার।
২, এটা সম্মান ও শ্রদ্ধার প্রতীক।
৩, এটা অনেক দিন ধরে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের পূর্ব পুরুষেরাও তাই করতেন।
কিন্তু আমি একটু অন্যরকম ভাবছি...
আসলে যে বাবা আমাকে এত কষ্ট করে মানুষ করেছেন...
আমি তো কেবল তাকেই বাবা ডাকবো...
আর যে মা আমাকে গর্ভধারণ করেছেন
তিনিই তো কেবল আমার মা।
আর স্ত্রী সে তো আমার লাইফ পার্টনার (আসলে আমি আনমেরিড)
হয়তোবা তার প্রতি আমার ভালবাসার কমতি নেই
কিন্তু এটা তো চিরস্থায়ী কোন সম্পর্ক না।
অল্পতেই এ সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে পারে... আর সমাজে এখন তাই ঘটছে।
সেটা বড় কথা নয়.... আমার কথাটা হলো এই সম্পর্ক বাবা-মা'র ক্ষেত্রে যতটুক মজবুত আর শক্তিশালী শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর ক্ষেত্রে সেটা ততটুকু শক্তিশালী নয়।
তাছাড়া আমি মনে করি , বাবা-মা এ দু'টি শব্দ কেবল বাবা-মায়ের জন্যই নির্ধারিত আর তাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ। আমি মনে করি তারা এ সম্মানের প্রাপ্য।
তবে হয়তোবা ব্যাপারটি বদলে গেলে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে।
আমার কাছে মনে হয় উপযুক্ত শব্দটি হলো তাদেরেকে খালা-খালু বলে সম্বোধন করা।
আর আমার শিরোনামে আমি যা বলেছি, তা হলো যে, আমার এক মামা-মামীর ডিভোর্স হয় যাচ্ছে এই শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সেবা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। আমি মেয়ে না তবে মেয়ে হলে শ্বাশুড়ী শব্দটাকে জমদূতের মত ভয় করতাম।
কত যে নির্যাতন, কবি জসিমউদ্দীন এর সেই লাইনটা....
"এত আদরের বুজীরে তাহারা আদর করিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত শত যে মারিত ঠোটে,"
আল্লাহ এই সমস্ত শ্বাশুড়ীদের সুমতি দান করুন, আমীন!
কোন হিংসুটে আর আক্রমণাত্মক মনোভাব না রেখে তাদের তো উচিত পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে হিসাবে গ্রহণ করা।
কিন্তু আজ দাম্পত্য কলহ চরমে... মানুষেরা জীবন নিয়ে হাপিয়ে উঠছে।
এ ব্যাপারে আমাদের সামাজিক ও মানসিক পরিবর্তন দরকার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
ভুল হলে মার্জনা করবেন।
প্লাস না দিলেও মাইনাস নো দিয়েন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।