২০০৫ সালের জুন মাসে ২৭ তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়। এরপর বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ২১ শে জানুয়ারি ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন এর তত্তাবধায়ক সরকারেরই আমলে এর চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। পরে শুধুমাত্র সন্দেহের অজুহাতে বিসিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ফলাফল বাতিল করা হয়। নতুন ফলাফল প্রকাশে কি সন্দেহ কি দূরীভুত হয়েছিল? এটাকি পিএসসির মতো সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্টানের চেয়ারম্যানের ব্যর্থতা নয়? প্রথম ফলাফলে উত্তীর্ণরা যদি সময়মতো চাকরিতে যোগদান করত তাহলে তাদের বর্তমানে চাকরির মেয়াদ হতো তিন বৎসরাধিক।
ভাইভাতে উত্তীর্ণের পর সবারই চাকরিতে যোগদানের একটা অধিকার জন্মায় যদিও স্বা¯হ্য এবং পুলিশ ভেরিফেকশন বাকি থাকে।
কারও যদি তেমন কোন জটিল রোগ না থাকে এবং যদি কোন ফৌজদারী মামলা না থাকে তবে চাকরিতে যোগদান তার অধিকারই। সেই অধিকার হতে ঐ ১১৩৭ জনের প্রত্যেককে বঞ্চিত করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন কাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে টেলিযোগাযোগ ক্যাডারের চল্লিশটি পদ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়। দেশের মানুষের মনে আ¯হা তেরীর জন্য ঐ চল্লিশ তড়িৎ/ কম্পিউটার প্রকৌশলী কেন তা মেনে নেবে তার কোন সদুত্তর কি বিজ্ঞ আমলা ডঃ সাহাদৎ হোসাইন, তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কেউ দিতে পারবেন?(কম্পিউটার প্রকৌশলীদের জন্য বর্তমানে প্রফেশনাল ক্যাডারে কোন পদই নাই। ) বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় যাদের ভুমিকা হওয়ার কথা শীর্ষে তারা এখন সবচেয়ে বঞ্ছিত।
আশা করি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি ঐসব প্রকৌশলীদের বঞ্চিত করবে না। সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিট আবেদন কারী ২০২ জনকে তাদের প্রথম ফলাফলে প্রাপ্ত ক্যাডার , জৈষ্ট্যতা এবং তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের আদেশ জারি করে এবং প্রথম ফলাফল বাতিল অবৈধ ঘোষনা করে।
এখন যেহেতু মহামান্য হাইকোর্ট কতৃক প্রথম ফলাফল বাতিল অবৈধ ঘোষনা করা হয়, সরকারের উচিত বঞ্চিত ১১৩৭ জনের সবাইকে নিয়োগের নির্বাহী আদেশ দেওয়া এবং এরকম অমানবিক সিদ্ধান্ত যেন এ বাংলার মাটিতে আর কেউ না নিতে পারে তার ব্যব¯হা গ্রহন করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।