আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেই শিক্ষককে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ



সূত্র: ভোরের ডাক, ১৮/১১/২০০৯ , পৃষ্ঠা- ৩ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে আপত্তিকর প্রশ্নপত্র তৈরিকারী চট্টগ্রামের সেই স্কুল শিক্ষক তজলী আজাদকে দুদিনের রিমান্ডে নিয়ে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম সিটি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক রাজনৈতিক কিংবা অন্য কোন অসত উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফ ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, রিমান্ডে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি নতুন কোন তথ্য দেননি। তজলী বলেছেন, কারো মনে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল না তার।

নিছক দুই বান্ধবীর ছদ্মনাম হিসেবে হাসিনা-খালেদার নাম প্রশ্নপত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন বলে জানান। এরপরেও আমরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাবো। চট্টগ্রাম হাকিম আদালতে গতকাল শিক্ষক তজলীকে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুচরিতা দাশ শনিবার একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তজলীকে গ্রেফতার করে।

গত ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অষ্টম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মোহাম্মদ তজলী আজাদ এ স্কুলের ধর্ম শিক্ষক। তিনি অষ্টম শ্রেণীর প্রশ্নপত্রের ৩ নম্বর প্রশ্নে লিখেছেন, হাসিনা ও খালেদা দুইজন বান্ধবী, উভয়ে টেলিভিশনের পর্দায় বসে আছে। এমতাবস্থায় মাগরিবের আযান হলো। খালেদা ওযু করে নামায আদায় করতে গেলো।

কিন্তু হাসিনা টিভি দেখতেই থাকলো। পরে খালদো হাসিনাকে নামাজ না পড়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে (হাসিনা) বললো- মনে চায় নাই, তাই যাই নাই, কেন আত্মার কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে না? এ অনুচ্ছেদের পর (গ) নম্বর প্রশ্নে লিখেছেন, খালেদার কথা মতে হাসিনা কিভাবে জিহাদ করতে পারে ব্যক্ত কর?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।