কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
কাল বিকালে অফিস থেকে এসেই জানু বাচ্চাদের নিয়ে ক্রিকেট খেলতে নেমে গেল। ওরা খেলছে আর চিৎকার চেঁচামেচী করছে এবং সমান তালে চলছে সবাই মিলে ঝগড়া ।
আমি সন্ধ্যা হয়ে আসছে দেখে এক প্লেট পাঁপর ভাজা আর দুই কাপ চা নিয়ে বাগানে গেলাম। বাগানে একটি বড় গাছের নিচে সিমেন্টের বাঁধানো একটি বেঞ্চ আছে।
হাতের ট্রেটা বেঞ্চের উপর রেখে জানুকে ডাকলাম। জানুকে ডাকার কারনে বাচ্চারা যারপরনেই বিরক্ত। এমন সময় তিনটা বাচ্চাই এক সাথে চিৎকার মা দেখ দেখ?? দেখলাম সত্যিই!!!! আভূতপূর্ব দৃশ্য। !!! আমাদের হাতে কোন ক্যামেরা ছিল না । থাকলে ক্যামেরায় বন্দি করে রাখতাম সেই দৃশ্য।
আমার বাসার পোর্চের পাশের মাটি থেকে ভুর ভুর করে বের হচ্ছে উঁইপোকা । আর তারা মনের আনন্দে উড়তে শুরু করেছে ঊর্ধ্বাকাশে। মুহূর্তের মধ্যেই পাখিদের আগমন। জোড়া জোড়া সব দোয়েল, ফিঙ্গে, বুলবুলি, চড়ুই ও হাঁড়িচাচা। মোট চব্বিশটা পাখি আমার পোর্চের নিচে- উপরে।
আমার বারান্দার রেলিং এ ও ছাদের কার্নিশে। রঙ্গনের ডালে ও দেবদারু গাছের ফলে। এমন কি আমার কলাপ্সিপল গেটেও। মাঝে মাঝে উড়ে ওরা আমার বাসার ভিতরেও ঢুকছে।
এই সেই বৃক্ষ
সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মত সেই দৃশ্য দেখছি।
বাচ্চারা পাখির আগেই দেখছে কোন পোকাটা বের হল এটা কে খাবে। ? কোন ফিংগেটা বেশি খেলো? কোন চড়ুইটা খেতে পাচ্ছে না ?!এই নিয়ে সব মেতে আছে। এ বলছে এখন এ খাবে ও বলছে ঐটা খাবে এই নিয়েও খুনসুটি। আমি আরামে পাঁপড় খাচ্ছি। আর দেখছি পাখিদের পোকা শিকার।
পাখিদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চায়ের কাপটা হাতে নিলাম। মুখের সামনে আনলাম। কেমন যেন একটা বিদঘুটে গন্ধ। এদিক ওদিক তাকিয়ে আবারও চায়ের কাপটা আনলাম ঠোঁটের কাছে। এ্যা গন্ধ কোথায়?? কাপের দিকে তাকিয়ে দেখি --ভাগ্যিস ঠোঁট ছোঁয়াইনি??!!!!!!!!
গাছের উপড় হইতে একটি পক্ষি বসিয়া পোকা ভক্ষন করিতে করিতে কখন যেন পুরিষ ত্যাগ করিয়াছে যাহা আমার চায়ের কাপে পড়িয়াছে.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।