আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিন‡য়র গুরুত্ব



বিনয় একটি গুরূত্বপূর্ণ বিষয়। বিনয়শূন্যতা মানুষকে ফেরাউন ও নমরুদের স-রে নিয়ে যায়। অন-র বিনয়ী না হলে অহংকারী হবে। সেই অন-র অপরকে তুচ্ছ ভাববে,বড়াই করবে। আর অহংকার ও বড়াই হলো সকল আত্নিক ব্যাধির মূল।

অহংকার হল গুনাহের মূল। অহংকার হাজার গুনাহকে টেনে আনে। অন-রে হিংসা সৃষ্টি করে। অপরকে কষ্ট দেয়া,অপরের গীবত করাসহ নানা রকম গুনাহর উৎস এই অহংকার। বিনয়ের মানে হচ্ছে নিজেকে ছোট মনে করা।

ছোট মনে করা আর ছোট দাবি করার মধ্যে পার্থক্য আছে। নিজেকে ছোট দাবি করার নাম বিনয় নয়। বরং অনেক সময় সেটা অহংকার। নবীজী এর বিনয় : প্রথম প্রথম নবীজী মজলিসে এমনভাবে বসতেন যেভাবে সাধারণ লোকেরা বসে। তাঁর বসার জন্য আলাদা কোন আসন ছিলো না,তবে পরবর্তী সময়ে যখন অপরিচিত লোকজনও আসা আরম্ভ করল,যাদের পক্ষে নবীজীকে চেনা কঠিন হয়ে যেত।

মজলিসে অনেক লোক হতো, যারা পেছনে বসতো,তাদের পক্ষে নবীজী এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা দুষ্কর হয়ে পড়তো। তাই সাহাবায়ে কেরামের আবেদনের প্রেক্ষিতে হুজুর অনুমতি দিলে সাহাবায়ে কেরাম চেীকির মতো বিশেষ একটি আসন বানিয়ে দিয়েছিলেন। অহংকারীর উপমা হল,সে যেন পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে। সে পাহাড়ের উপর থেকে দেখছে যে,নিচের সব মানুষ ছোট ছোট। যদিও প্রকৃতপক্ষে তারা ছোট নয়,বড়।

যারা নিচ থেকে তার দিকে তাকায়,তারাও তাকে ছোট হিসাবেই দেখে। বিনয় অর্জনের পদ্বতি : বিনয় অর্জন তখন হবে ,সর্বদা যখন নিজেকে আল্লাহর গোলাম মনে করবে। স্বতস্ফূর্তভাবে আন-রিকভাবে বলবে যে আমি আল্লাহর বান্দা। আল্লাহ আমাকে যে কাজের নির্দেশ দেন,আমি নির্দ্বিধায় তা পালন করব। যদি তিনি আমাকে সিংহাসনের দায়িত্ব দেন,তাহলে আমি সে কাজ-ই করব।

কেননা,আমি তাঁর গোলাম,আমি তার বান্দা। তিনি আমাকে যা দান করেন,এটা তাঁরই অনুগ্রহ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।