আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৮ম কংগ্রেস উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

“সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম ও অসামপ্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতি এগিয়ে নাও, বাম বিকল্প শক্তির সমাবেশ গড়ে তোল” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ম কংগ্রেস উপলক্ষে ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ আসাদ মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও ৮ম কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির অভ্যর্থনা সাব কমিটির আহ্বায়ক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, নুর আহমদ বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরূল আহসান, এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক, লিয়াকত আলী লিকু, মোজাম্মেল হক তারা, আনোয়ারুল হক বাবলু, ঢাকা মহানগর সম্পাদক আবুল হোসাইন প্রমুখ। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ১৪-১৮ নভেম্বর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৮ম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

৮ম কংগ্রেসের উদ্বোধনী সমাবেশ ১৪ নভেম্বর বেলা ২.৩০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী চার দিন নাট্যমঞ্চে কংগ্রেস অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেসের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পার্টির রাজনীতি ও নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটাই সর্বোচ্চ ফোরাম। এই কংগ্রেসই আগামী চার বছরের জন্য পার্টির চলার পথ নির্ধারণ করবে।

এই কংগ্রেসেই পরবর্তী বছরগুলোর জন্য নির্ধারিত হবে পার্টির রাজনৈতিক লাইন এবং সাংগঠনিক পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে পার্টির ৮ম কংগ্রেসের লক্ষে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সকল বিষয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে আলোচনার ভিত্তিতে জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করা হয়েছে। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি প্রণীত ৮ম কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাব, রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্টের খসড়া এবং বিভিন্ন সংশোধনী ও সংযোজনী তৃণমূল পর্যায় থেকে জেলা সম্মেলন পর্যন্ত মতামত সংগঠন, নেতৃত্ব নির্বাচন এবং কংগ্রেসের জন্য প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল জেলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাংগঠনিক যোগাযোগ আছে। তার মধ্যে সুসংগঠিত সাংগঠনিক কাঠামো আছে ৫৬টি জেলায়।

এর মধ্যে ৫২টি জেলায় সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। জেলাগুলো হলো_ মাদারীপুর, নেত্রকোণা, ঢাকা জেলা, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, খুলনা, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ, নড়াইল, ঝিনাইদহ, নাটোর, নীলফামারী, পাবনা, রাজবাড়ী, গাজীপুর, বরিশাল, টাংগাইল, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, কুষ্টিয়া, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, ঝালকাঠী, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, রাজশাহী মহানগর, নরসিংদী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট, মাগুরা, মেহেরপুর, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর। এছাড়া মানিকগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও জামালপুর জেলায় সম্মেলন সম্পন্ন করা সম্ভব হয় নি। এবারের কংগ্রেসে অসামপ্রদায়িক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সংহত করা এবং এই ঐক্যকে রক্ষা করা, মহাজোট সরকার সম্পর্কে পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি ও এই মুহূর্তে করণীয়, তেল-গ্যাস-জ্বালানী ও বন্দর রক্ষা প্রশ্নে পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও পশ্চিমা শক্তিসমূহের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্ন, বাম বিকল্প শক্তির উত্থান এবং পার্টিকে ভরকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা ইত্যাদি রাজনৈতিক বিষয়াবলি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। কংগ্রেসের শেষ দিন ১৮ নভেম্বর পার্টির নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হবে।

নেতৃত্ব নির্বাচনে তরুণ ও নারী নেতৃত্বের বিষয়টিকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে। এবারের কংগ্রেসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি-মার্কসবাদী (সিপিআইএম), ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টি, সর্ব ভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লক, স্পেনের কমিউনিস্ট পার্টি, উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি, পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনাইটেড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী), নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) এর নেতৃবৃন্দ যোগ দেবেন। এর বাইরেও শুভেচ্ছা ও সংহতি বাণী পাঠিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি, ইউরোপিয়ান লেফট্‌, সিরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রাজিলের কমিউনিস্ট পার্টি, প্যালেস্টাইন পিপল্‌স পার্টি, অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রীলংকার কমিউনিস্ট পার্টি এবং শ্রীলংকার জনবিমুক্তি পার্টি। কংগ্রেসের পার্শ্ব অনুষ্ঠান হিসেবে ১৫ নভেম্বর বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্বমন্দা ও শ্রমিক শ্রেণী’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।