আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৭ নভেম্বর মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্তের ৮৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

৭ নভেম্বর মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্তের ৮৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী । তিনি জন্মে ছিলেন ১৮৫৬ সালের ২৫ জানুয়ারী বরিশাল জেলার পটুয়াখালী মহকুমায়। বেঁচেছিলেন মাত্র ৬৭ বছর। মারা যান ১৯২৩ সালের এই দিনে।

এই কিংবদন্তি রাজনীতিক, শিক্ষাবিদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএম কলেজ ও বরিশালের আপমার জনগণ নানা কর্মসূচি করছে। বিকেল ৫ টায় বরিশাল সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোট অশ্বিনীকুমার টাউন হলে তাঁর স্মৃতি স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। আধুনিক বরিশালের রূপকার মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী। তিনি বিএম স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। দক্ষিণ বাংলার প্রাণ পুরুষ ১৮৮৪-১৯২৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে বরিশালবাসীর জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করেছেন।

আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটি শুধু বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদেরই মানুষ করেন নি, বরং সমাজের অনেক অশিক্ষিত, অবহেলিত, বঞ্চিত মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বাণ্ডুলে স্বভাবের বখাটে মুকুন্দদাসকে তিনিই দিনের পর দিন বাড়িতে ডেকে এনে আদর স্নেহ ভালবাসার সহচর্য দিয়ে এক নতুন মানুষ হিসেবে গড়ে তুললেন। ১৯০৫ সালের অক্টোবরে বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন চলার সময় বরিশালের টাউন হলে অশ্বিনী কুমার বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলনকে জোরদার করা প্রসঙ্গে তার উপলব্দির কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন_ ‘আমরা যে সব বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছি, যদি কেউ তা যাত্রাপালা আকারে গ্রামে গ্রামে প্রচার করে, তাহলে তা_ আমাদের এরূপ সভা বা বক্তৃতার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হবে’।

অশ্বিনী কুমার দত্তের এই বক্তব্য মুকুন্দদাস খুবই গুরুত্বসহকারে নিলেন। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে রচনা করলেন অসাধারণ যাত্রাপালা ‘মাতৃপূঁজা’। মাতৃপূঁজার মূল বিষয় ছিল দেশপ্রেম। দেশমাতৃকাকে একত্রীকরণের লক্ষ্যে তার সন্তানরা প্রয়োজনে জীবন দিবে। ভারতমাতাকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।