শাতিলের পাতায় আপনাকে স্বাগতম হাতে তেমন কোন জরুরী কাজ না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন। কারন যতই পড়বেন ততই জ্ঞ্যান বাড়বে। সেটা যত অখাদ্য লেখাই হোক না কেন। ফেবুতে আমি http://www.facebook.com/nafissadique.shatil ঘটনা ১
হুমায়ুন আজাদ। ইসলাম বিরোধী লেখালেখি করেছিলেন।
কে বা কারা এসে তাকে হত্যার চেষ্টা করল। চেষ্টা ব্যর্থ হল। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হল। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হলেন তিনি। পরবর্তীতে জার্মানীর মিউনিখে হোটেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল।
রহস্যের গন্ধ কিন্তু থেকে গেল। প্রকৃত অপরাধী আড়ালে।
ঘটনা ২
আসিফ মহিউদ্দিন। প্রখ্যাত নাস্তিক। ফেসবুকে আর ব্লগে ধর্ম বিরোধী কথা বলার কারনে তার শত্রুর অভাব নাই।
কে বা কারা তাকে কুপিয়ে রেখে গেল। মরতে মরতেও বেচে গেলেন তিনি। এক্ষেত্রেও কোন অপরাধী খুজে পাওয়া গেলনা।
ঘটনা ৩
থাবা বাবা রাজীব। ইনিও নাস্তিক।
ধর্ম বিরোধী। বাড়তি হিসেবে ছিলেন শাহবাগ আন্দোলনের সংগঠকদের ১ জন। ইনাকেও বাচিয়ে রাখা সমীচীন মনে হল না সেই "কে বা কারা"র কাছে। ফলশ্রূতিতে তার গলা কাটা লাশ তার বাড়ির সামনে। ৫ জন গ্রেফতার।
সত্যিকার অপরাধী আবারও আড়ালে।
উপরের ৩ টি ঘটনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম যে কেউ যদি ধর্মবিরোধী (পড়ুন ইসলাম বিরোধী) লেখে তার মৃত্যু অনিবার্য। কেন অনিবার্য?
আমি কুরান হাদিস কিছুই পড়িনি। কিন্তু আমার জানা মতে কোন ধর্মই মানুষ খুন করাকে সাপোর্ট দেইনি। আর ইসলাম কে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপুর্ন ধর্ম হিসেবে মানা হয়।
তাহলে কেন এই খুনাখুনি?
বলতে গেলে ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলা হয়ে যাবে। তাই কিছুই বলিনা। আজ হালকার উপর বলি। না বললেই যে নয়।
নাস্তিকতাকে মানুষ ঘৃনা করে।
কিন্তু স্বাধীন স্বার্বভৌম এই বাংলাদেশে সবারই মত প্রকাশের স্বধীনতা আছে। এখানে ইসলাম প্রচার হচ্ছে,খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার হচ্ছে তাদেরকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। কারন তারা সংঘবদ্ধ।
যারা নাস্তিক তাদেরও একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। তাহলে তারা কেন বাধা পাচ্ছে?কেন বারবার আক্রমনের শিকার হচ্ছে? কারন তাদের ইউনিটি নাই, তাদের পিছনে তালেবান নাই, তারা বিদেশ থেকে অস্ত্র পায়না,তাদের জন্য হাজার কোটি টাকা বাজেট থাকে না।
তাদের প্রধান অস্ত্র তাদের মনের শক্তি, তাদের কিবোর্ড আর লজিক।
কিন্তু এসবের ভাত নাইরে মামা। ঘোড়া চাই ঘোড়া।
তাই সবাইকে ১ টাই কথা বলি। আপনার মনের কথা আপনার মনেই রেখে দিন।
কখনো মুখ ফুটে বলার সাহস কইরেননা। নাহলে আপনার পরিনতিও রাজীবের মত হতে পারে। বেশি করে ধর্মের গুনগান করেন। সবাই আপনাকে ভালো বলবে। নিজেও নিরাপদে থাকতে পারবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।