আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ আমি যাচ্ছি বেরিয়ে পৃথিবী হতে বাহিরে

রাকিবুল হক ইবন

আজ আমি যাচ্ছি বেরিয়ে পৃথিবী হতে বাহিরে, চেরাগ ক্ষেতের আল পেরিয়ে ধীরে, পাথর থেকে কুড়নো পাহাড়ে, মরুভূমি নিয়ে ঠোটে, মুখ গাঁথা দেওয়ালে-ওয়ালে আর গাইছিল যে তার সঙ্গে কীসের সম্পর্ক আমার? কী-ই-বা বলার আছে তাকে? করবো-না গান আর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কারো কিংবা নতুন কোনো বৌয়ের গন্ধে ... যাবো-না গভীরতার দিকে, নতুবা করবো-না আর আমাদের সেরা গান, নতুন কোনো লিটলম্যাগের ঘ্রানে আমার এ কালো হৃদয় হতে, জন্য তোমার! আমি প্রদীপের নিচের সেই সাদা অন্ধকার। শুনতে হবে-না-আর মাটিগড়া মানুষের ঐ কলরব, মাটিভাঙা মানুষের ঐ কোলাহল, অথবা সৈকতে শাস্তিদানের স্বর...কোনো ফুটন্ত কিশোরীর বাঁকানো কোমর! ধারালো চেইন দিয়ে কেটে নেওয়া শিশুদেরও স্তন! পরীমাংসে গেঁথে রাখা ছুরি ও চাঁবুক এবং শিক্ষক ও মনুষ্য-রোপিত-বন! আর যে সব নারীরা প্রত্যাখান করেছিল আমার চুম্বন! আর আমার তারকাচিহ্নহীন একটি এঁটো সূর্যের সঙ্গে যে করেছিলো একদিন বাজারের মতো ব্যবহার। (যেমন সোনার মেয়ের সঙ্গে চলে গেছে সোনার জল্লাদ) কৃষকরা পেলে ছিঁড়ে খেতে চাচ্ছে যে রাজপুত্রকে, মৃত মানবীকেও মৈথুন করে বেড়ে ওঠেছে যে নকল প্রবক্তরা আর ডিম নিয়ে নন্দন! নোংরামিতে ভরা এক সোনার পর্বত, এ-সব কোনো দিন আর পাবো-না টের। এমন-কী চাইবো-না আর কুকুরের মতো চেহারার মামগ্ন এ আমি, (-মনের একটি বিকৃত গোলাপের সঙ্গে) ওরা-ও চিনুক, আমাদের ডুকরানো উপাসনার লাল হরিৎ ঝিনুক। জলে ডুবে যাচ্ছে চাঁদ, স্থাপত্যময় আকাশ, ঘুরতে থাকা ঝিনুকের ত্রাস, এ গ্রহশব, আর অভিভাবক-প্রণীত এই ধোঁকা, কোনো কান্নারত প্রবক্তা আর সমুদ্রদেশের জনমানবহীন কোনো পথ যেন তোমরা সমুদ্রের বন্ধ করা চোখের মিহি জল! দেখতে পাওনি এতো-টা কাল? দুই হাতে এখনও ছুটোছুটি করছে আমার ঝড়! আর উচিত কথা হল এইসব ব্যাপারে আমাদের পরবাসী মা-বাবারা খুব সামান্যই পারতো জানতে।

তুমি তো জানো না এশিয়া প্রদেশের সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, এমন-কী আকাশ ও দিনরাত, ছোটো বোন আর মা এক! কোন যত্নে ওপাড়ের মতো দূরে চলে গেল। (আ! ভালো-ই মধু-প্রসবকারী ওরা যেতেই তো পারে প্রবেশপত্রহীন। ) অনেক শুনেছি আমি স্বার্থপর মায়ের ডাইলগ, ছোটো ভাইয়ের অনুরোধ, আর আমার,আগুনের মতো দাউ দাউ করছে এখন, চোখের জল! শক্তির অধিষ্ঠানে কে বসে আছে তোমার ? দেহমধ্যে যে অঘা, তা আমি আর মুছতে পারবো-না, কোনোদিন আর। গ্রেনেড নিক্ষেপকারী এই আকাশের নিচ হতে আমি যাচ্ছি ডুবে সূর্যেররও আগে আগে বীরের মাথায় গেঁথে যাওয়া একটি ফ্লাগুনের সঙ্গে জটিল শাড়ির পোঁচে খোওয়া একটি মাথার মতো, নীরবে... এইবার আমি আমার রক্তস্রাব ঘূর্ণিত ঘোড়ার ঘাড়ে আটকাবো যে পথে ইচছা চলে যাবো ...চাঁদেরও বাঁশবনে যখন কী-না আমরা নিজেরাই(রাতের স্বপ্নবিহীন একটি নদীর সঙ্গে)নিজেদের মাংস খাচ্ছিলাম কোরে ঝাল ফ্রাই। মাথার উপর অনেক অল্প আকাশ, আকাশ ধরা দিয়েছে বিপন্ন আকাশের ফাঁদে বনে হারিয়ে যাওয়া আমার মা ও এঁটো নিঃশ্বাসেরা আর নিজস্ব কবরের উদাম গাছপালা অনেক কোপ সহে সারাবেলা দেহ হতে দেহখানি খুলে দাঁত থেকে খসিয়ে ফেলে ছাল ঊর্ধ্বে! আরো ঊর্ধ্বে উঠে ঝরে গেছে চিল! বীরের অভিযান এই গান! এই কৃষিবার্তা! ছোট্র ছোট্র শিশু শাবকের দল দৌড়ে দৌড়ে থেমে থেমে পৃথিবীর গলিত পঁচা প্রদর্শনী, চিরস্থায়ী নম্রতেজি আমাদের এইসব দেখিতেছে হীরের অন্ধকার জ্বেলে (জীবন, আমাদের শক্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কী শক্তি ঝরছে?) ওহে মালঞ্চ! একদিনের স্প্রিং আমার, প্রিয় আঙুলগুলো বেঁকে বেঁকে যাচ্ছে।

(ওরা কেউ তোমাকে জানে-না!) বিদায় প্রিয় ফেইসবুক! বিদায় নিষ্ঠুর মা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।