"ব্লগকে সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই"...গরীব স্ক্রীপ্ট রাইটার
২০০৬ সালের প্রথম দিকের কথা, আমরা সেকেন্ড ইয়ারের শেষের দিকে। ফার্স্ট ইয়ারের রিসিপশান উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের rag দেয়ার নিয়ম ছিল। আমরা ইমিডিয়েট সিনিয়র হিসেবে বেশি অধিকার রাখি তাই আমরা প্রতিদিন ই যাবো ঠিক করলাম ওদের rag দিতে। প্রথমদিন লাঞ্চ ব্রেকের পর আমরা ফার্স্ট ইয়ারদের এক রুমে ডাকলাম। নিয়ম হচ্ছে রোল অনুযায়ী পরপর আসবে...নিজেকে ইনট্রোডিউস করবে তখন তার কথা থেকে ভুল বের করে তাকে পচানি দেয়া হবে।
আমরা সিনিয়র রা হাসতে পারবো কিন্তু জুনিয়রদের হাসলে পানিশমেন্ট দেয়া হবে দরজার কাছে দাড় করিয়ে সেল্যুট দিতে হবে।
প্রথমেই এক ছেলে দাত কেলিয়ে হাসতে লাগলো, তাকে দরজার সামনে দাড় করিয়ে দেয়া হল। সে আরো হাসতে লাগলো.... এক বান্ধবী ভাব নিয়ে বলল, এই ছেলে হাসছো কেন? এখানে কি মজার কিছু হচ্ছে?
ওই ছেলে বলল: হ্যা আপু
হাসি থামাও!
কেন আপু?
বেয়াদব! হাসি না থামালে তোমার হাতে ছাতা ধরিয়ে দিবো
সত্যিই আপু?
তোমার কি মনে হচ্ছে আমি ফান করছি?
হ্যা আপু
এই নাও ছাতা এটা খুলে দাড়িয়ে থাকো!
থ্যাঙ্ক ইউ আপু এরপর সে গুন গুন করে গান শুরু করলো।
(ওই বান্ধবী আর কিছু বলার খুজে পেল না)
আরেক মেয়ে সামনে যেয়ে সমানে মুখ ভেংচি দিতে লাগলো। তাকে মুখ ভেংচি দেবার কারণ জিজ্ঞেস করা হল, সে বলল, কি করবো ভাইয়া আমার মুখটাই এমন
এরপর যা হল তা অতি ভয়াবহ।
২টা জুনিয়র মেয়ে আমাদের এক ছেলের ২হাত ধরে টানতে শুরু করলো! ফলাফল ওই ছেলের ২শার্টের হাতা ২ মেয়ের হাতে ছেলেটা লজ্জায় ২দিন ক্লাসে আসে নি
উপরোক্ত কাহিনীগুলোতে আমি দর্শক ছিলাম। কারণ আমি একজন নিরীহ মানুষ হিসেবে ভার্সিটিতে পরিচিত ছিলাম, যারা নেতা টাইপ ছিল তাদের নমুনা দিলাম।
বর্তমান সময়ে ব্লগের আলোচিত সুপারস্টার মতান্তরে গ্যাংস্টার ফিউশন ফাইভ এক কমেন্টের রিপ্লাইতে বলেছেন, আমি নাকি উনাকে rag দেবার চেষ্টা করেছি।
একটা কথাই বলবো, আমি rag দেই না
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।