স্বরবাজীতে আমাদের সরকার অত্যাধিক পারদর্শি এই কথা খানা কানাকেও মানিতে হয়, মানিতেহয় বোবাকেও। এর থেকে বাচিয়া রহিয়াছে একমাত্র খাটকান যাহারা আছেন তাহারা। আবার তাহাদের মাঝে জিনারা একটু পড়িতে লিখিতে পারে তাদের কিন্তু বাচিয়া থাকিবার উপাইনাই। আর যাহারা পড়িতে জানেনা কানেও শোনেনা তাহাদেই যত সুবিধে। প্রচন্ড অর্থনৈতিক মন্দার কালেও প্রায় ৫০ লক্ষ প্রবাসি লইয়াও শুনিতে হয়না বানিজ্য মন্ত্রীর অমৃত বচন , যে
" বিশ্ব মন্দার প্রভাব আমাদের উপর পড়িবেনা।
"
আহা হা -- কি অমৃত বচন। ইনারা কিভাবে দেশ চালাইবে।
নজরুল বলেছিল'
"ঝড় সাইক্লোনে কি করিবে এরা ঘুর্ণিতে ঘোরে মাথা "
কাদের উদ্দেশ্যে বলিয়া ছিল জানিনা, তবে আমাদের দেশের নেতা নেতৃরা এমনি জড়পদার্থ যে ইহাদের মাথা সুপার টাইফুন, সিডর, এমননি মহা প্রলয়েও ঘুরেনা।
এই যে দেশের আইন শৃংক্ষলা পরিস্থিতির এমন তর উন্নততর অবস্থা, তাহাতে ইনাদের কোন মাথা বেথা নেই মাধা ঘুরেওনা, তাই তারা মাধা ঘামায়ওনা। এমন অবস্থা মাথা বলে কিছু নাই বলেই মনেহয়, আছে খালি পেট আর পকেট।
বরংছ মুখে কথার খই ফুটছে। জ্যুতিসের মত ভবিষ্যত বানী করিয়া যাইতেছে। তবে যাহা আপনি আপনি ফলিবে তাহা।
বুঝলেননা ?
আমরা যখন স্কুলে পড়তাম আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন, ওনি প্রতি বছর কয়েক জন ছাত্রের বেপারে ভবিষ্যত বানী করতেন যে এরা এরা, অমুক তমুক পাশ করবে, আর আশ্চর্যজনক ভাবে তা কার্যকর হয়ে যেত। ত আমরা সবাই অবাক, তাই আমরা সবাই ছুটিতাম বানী আনিবার জন্য।
যা হোক একদিন স্যারকে বললাম যে স্যার আপনি কিভাবে এমন নিখুত ভাবে বলেদেন কে কে পাশ করবে ?
সার তখন হাসতে হাসতে বলিলেন " আরে বোকা- আমিত ভবিষ্যত বানী করি ক্লাসের ১ম,২য়,৩য়, ৪থ, ৫ম এদের বেপারে। এরাত পাশ করবে এটা সবাই যানে।
আমরা তখন থ বনে বনিয়া গেলাম। বুঝিলাম সারের বানির আসল রহস্য।
ঠিক তেমনি আমাদের সরকার যা হা ঘটিবে এমনি এমনি তাহা নিয়া ভবিষ্যত বানি করিয়া জনগণ কে বিভ্রান্ত করিয়া থাকে প্রতি মূহুর্তে।
লেখক বলেছেন: ভাঙ্গা দুইখানি পা দিয়ে খুরাইয়া খুরাইয়া দেশ খানি আগাইয়া চলিতেছে অন্য সকল দেশের পিছে পিছে। সেত যে ভাবেই হোক সামনের ইস্টিসনে যাইবেই, যখই হোক, চাই ততক্ষণে সেইখানে ইস্টিসন থাকুক কিবা না থাকুক সেইটা দেখার বিষয়না। দেশগাড়ির চালক বানী করিয়া বসিলেন দেশকে সেইখানে নিয়া যাইব এত সালের মধ্যে। এইটা হইল এইটা হইল (সবছেয়ে খারাপ ছাত্র ফেইল করবে, তবে পরিক্ষার হলে তাকে পৌচে দেব ) টাইপের ভবিষ্যত বানি। সেই ফাকে মিয়ানমারও আমাগেররে পাছে ফালাইয়া যাইতেছে।
যাওগ্গা। কথা হইল পুঞ্জি মাত্র (৫) মানে পাঁচ বছর। এর বিতরেই যা করার কতে হইব। পড়েত আবার তাগদের সুযোগ। আরে গনতান্ত্রীক দেশনা ! হা- না- দুইটাইত লাগে।
কি বলেন। এক মেডামের শুরু আর এক মেডামের শেষ। ইয়েস এবং নো ঠিক থাকিলে আর কি দরকার বলেন ? এইটাত এই ইয়েস/ নোর দেশ, মানে হা, না মেডামদের স্বামীতৃক এবং পৈতৃক ভিটেমাটি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।