Right is right, even if everyone is against it; and wrong is wrong, even if everyone is for it
ইন্টারনেটে এযুগে তথ্য প্রযুক্তি যেমন অবাধ হয়েছে তেমনী প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিযোগীতাও হয়ে উঠেছে কঠিনতর। তবে নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ ও কেৌশলী করতে পারলে এ প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা অসম্ভব কিছু নয়। অধিকাংশরাই সফল হতে পারেনা শুধু পরিকল্পনার অভাবে। এমনকি ডেডলাইনের আগে আবেদন পত্রও পেৌছাতে পারেনা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনষ্টিটিউটে। কেননা আপনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন সময় স্কলারশিপের নিউজটা পাবেন যে আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই।
কাজেই পরিকল্পিত ভাবে এগুলে এ দুর্বলতা গুলো কটিয়ে ওঠা সম্ভব। যেমন, যেদিন থেকে আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ যাবেন সেদিন থেকে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট সংগ্রহ শুরু করতে হবে।
স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে যে ডকুমেন্ট গুলো কমন থাকে সেগুলো নিম্নরুপ:
1.Passport
2.All certificates in English
3.Language proficiency certificate
4.Two recommendation letter
5.At least two research proposals on interested field
6.Studay leave certificate/NOC(only for job holder)
7.CV
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি আপনার বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ইচ্ছে থাকে তাহলে সিদ্ধান্তটি দ্রুত নিতে হবে। কেননা অনেক জায়গায় বয়স সীমা নির্ধারন থাকে। কম বয়সীদের সুযোগ বেশী থাকে।
Language proficiency-র ক্ষেত্রে IELTS বা TOFEL স্কোর থকলে খুবই ভাল। আর না থাকলে এখুনি প্রস্তুতি নিতে থাকুন। অনেক ক্ষেত্রে সার্কুলারে �’equivalent’ শব্দ থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার যেকোন English Language কোর্স করা থাকলে সে Certificate কাজে লাগতে পারে। তাও যদি না থাকে তাহলে আপনি অনার্স অথবা মাষ্টার্স কোর্স ইংলিশে সম্পন্ন করেছেন অর্থাৎ আপনার Course curriculum ইংলিশ মিডিয়াম হলে তার একটি সার্টিফিকেট ফ্যাকালটি ডীন বা বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে নিয়ে রাখতে পারেন।
Recommendation letter এর নমুনা কপি internet থেকে download করে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে পারেন। R.letter-এ আপনি যে প্রোগ্রামে (MS/PHD) যচ্ছেন এবং যে ইনষ্টিটিউটে যাচ্ছেন তার উল্লেখ থাকলে বেশি effective হবে।
সমস্ত ডকুমেন্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনার প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলা যায়। এখন আপনি apply করতে পারেন দু’ভাবে scholarship বা fund পাওয়া যায় - i)Open competition, ii)Convincing professor.
Open competition তুলনামূলকভাবে কঠিন তবে অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
সার্কুলার বার বার পড়ুন, কেননা এতে অনেক খুটিনাটি বিষয় বা শর্ত থাকে। সে আনুযায়ী কাগজপত্র প্রস্তুত করে পাঠিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে cv-তে আপনি যে যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করবেন আপনাকে অবশ্যই সে ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। ওপেন সার্কুলারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনার রিনসার্চ ফিল্ড সরাসরি ম্যাচ না করলে বা উল্লেখ না থাকলেও আপনি apply করতে পারেন।
তবে সার্কুলারে যদি research proposal submit করতে বলে, তাহলে অবশ্যই আপনার interested field- এর উপর proposal তৈরি করবেন। scholarship সার্কুলার পেতে আপনি নীচের লিংকগুলো ভিজিট করতে পারেন:-
http://www.internationalscholarship.com
http://www.studentfunds.synthasite.com
www. Scholarshipnet.info
http://www.studyscholarships. synthasite.com
যদি প্রফেসরের মাধ্যমে ফান্ড পেতে চান সেক্ষেত্রে প্রফেসরের research field-ই হতে হবে আপনার interested field, এবং ওভাবেই আপনার cv ও আন্যান্য ডকুমেন্ট রেডি করতে হবে। অনেকেই একটা জেনারেল/কমন মেইল লিখে ওটাই কপি করে বিভিন্ন প্রফেসরের নিকট পাঠাতে থাকে। এতে আসলে সফলতার হার অনেক কম। প্রফেসরকে convince করতে হলে তার Research field জানতে হবে।
তবে সবচেয়ে effective হয় যদি আপনি মেইলে প্রফেসরের দু’একটা আর্টিকেলের টাইটেল উল্লেখ করতে পারেন। প্রফেসর যেন বুঝতে পরে তার ফিল্ড সম্পর্কে আপনি জেনে শুনেই তাকে লিখছেন । তার ফিল্ডের উপর আপনাকে দক্ষ হতে হবে এমনটি ভাবার কোন কারন নেই। আপনি যথেষ্ট motivated এটা প্রফেসরকে বুঝাতে হবে।
দ্রুত ফল পাবেন যদি, আপনার যে ফিল্ডে অভিজ্ঞতা আছে, publication আছে সে ফিল্ডের প্রফেসরকে খুজে বের করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আপনি নীচের ক্রমধারা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করে এগুতে পারেন �
Country-Uniersity-Department/Facalty/school-people/academic
person/teacher/Facalty member-personal profile/Research.
আবারও মনে করিয়ে দেই আপনাকে হতে হবে optimistic, ধৈর্য্যশীল। তবেই সফলতা আপনার কাছে আত্মসমর্পন করবে। আমি এমন একজনকে জানি যিনি দীর্ঘ ২বছর চেষ্টা করেও সফলতার সুখ দেখতে না পেরে বাংলাদেশেই MS করার সিদ্ধান্ত নেন এবং থিওরী পরীক্ষা শেষ করে যখন thesis submit করবেন ঠিক সে মুহুর্তে বেলজিয়ামে স্কলারশিপ পান। কাজেই �হাল ছাড়োনা বন্ধু তুমি কলম চালাও জোরে�।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।