(দৈনিক র্পূবকোণ,চট্টগ্রাম এর সাহত্যি সাময়ীকিতে প্রকাশিত)
সাক্ষাৎকার : সোফি রোচেস্টার
অনুবাদ : পুলক পাল
উলফ হল হলো থমাস ক্রমওয়েল এর জীবনের পুর্নকথন - সেই কামার ছেলেটি যে কিনা অষ্টম হেনরীর ডান হাত হয়ে উঠেছিল। সে কি এমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ যাকে উপজীব্য করে আপনি কোন এক সময়ে একটি উপন্যাস লিখতে চেয়েছিলেন?
বহু বছর ধরেই আমি এই উপন্যাসটি লিখতে চেয়েছিলাম। এটি আমার একেবারে প্রাথমিক প্রকল্পগুলোর একটি কিন্তু এ সংক্রান্ত চিন্তা আমি কখনোই ছেড়ে দিইনি। ফলত ফরাসি বিপ্লব বিষয়ক আমার উপন্যাস এ প্লেস অফ গ্রেটার সেইফটি (অ চষধপব ড়ভ এৎবধঃবৎ ঝধভবঃু)এবং দি জায়ান্ট ও ব্রায়ান (ঞযব এরধহঃ, ঙ’ইৎরবহ) এর শুরু হয়েছিল ১৭৮০ দশকের লন্ডনে, অষ্টাদশ শতকে আমার কল্পনা পরিবৃত হয়ে পড়েছিল। আমাকে সেই পর্যন্ত অপো করতে হয়েছিল যতণ না আমি নিজেকে মানসিকভাবে স্বাধীন ভাবতে পারছিলাম এবং একটি নতুন যুগকে মোকাবেলার শক্তি অর্জন করতে পেরেছিলাম এবং রেখা থেকেই এটা শিখতে পেরেছিলাম।
শিাগত দিক থেকে আমি ইতিহাসবিদ নই ফলে এটা আমার জন্য ছিল একটা পরীা এবং প্রয়োজন ছিল সময়। আমাকে এর জন্য একটি আধার উন্মুক্ত করতে হয়েছিল।
থিওডররা উপন্যাসিক ও চিত্রনাট্যকারদের জন্য উপাদানের এক অশেষ উৎস রূপে প্রতিভাত হয়েছে। এ যুগে এমন কী আছে যা লেখকদের এতটা সন্মোহিত করেছে ?
যেসব গল্প তুমি বলতে চাও তার প্রায় সবগুলিই ্ওত পেতে আছে এই যুগগুলির পেছনে। এটাকে মোকাবেলা করবার মতো স্নায়ু তোমারমধ্যে থাকতে হবে, কারণ এর অনেকগুলোই আগে ব্যবহৃত হয়েছে - কেবল পৃষ্ঠায় রচিত আকারে নয়, এমনকি থিয়েটারে এবং চলচিত্রেও।
আমার সুনির্দিষ্ট কেন্দ্রবিন্দু থমাস ক্রমওয়েল আমার কাছে ছিল প্রাণ স্বরূপ/অপরিহার্য। হেনরীর আদালতে আর এমন কেউই ছিল না যার সম্বন্ধে আমি লিখতে চেয়েছিলাম, আর কারো দৃষ্টিই ছিল না যার দিকে সতর্কতার সাথে তাকাতে আমি প্রলুব্ধ হয়েছিলাম। এবং এগুলো তুমি বারবার দেখতে পাবে যদি তুমি ক্রমওয়েলের চোখে সতর্কতার সাথে তাকাও - ঘটনাসমূহের কিছুটা ভিন্নতর উপস্থাপনা/মহড়া।
যখন তুমি এই উপন্যাসটি লিখতে শুরু করেছিলে তখনই কী তুমি জানতে যে তার জীবনের ঠিক কোন বিন্দুতে এসে বইটি তুমি শেষ করবে? তুমি কী ক্রমওয়েলের জীবনের উপসংহার বিষয়ক কোন উপন্যাস লিখবে?
প্রায় বছর পাঁচেক আগে আমি যখন শুরু করেছিলাম, আমি এমন একটি উপন্যাসের কল্পনা করেছিলাম যা ক্রমওয়েলের
সমগ্র গল্পকে ধারণ করে রচিত হবে। কিন্তু বইটির অনেকগুলি আবেগীয় শক্তি ক্রমওয়েল ও থমাস মুর এর সম্পর্ককে ঘিরে খ্যতিমানদের সমাবেশ শুরু করেছিল - প্রায়শ যেমনটা ভাবা হয় এটা ঠিক ততটা সরল ছিল না ।
তখন আমি অনুভব করলাম এটার পূর্ণগুরুত্ব রার্থে থমাস মুরের গল্প আমার সাঙ্গ করা উচিত, এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সন্ধ্যায় বইটি শেষ করবো ঠিক করি। উলফ হল একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প হিসাবে স্বতন্ত্র - থমাস ক্রমওয়েলের জীবনের অপরিহার্য একটি অধ্যায়ের একটা সমাপ্তি এবং যখন তার সাথে আমাদের পুনরায় দেখা হবে তখন সে হবে সম্ভবত কিছুটা ভিন্ন মানুষ। তার আগের পাঁচ বছর , কেবল তার উত্থান এবং উত্থান - এ্যান বোলেইন এর বিনাশ, হেনরী কন্যা মেরীর হৃদয়ের জন্য যুদ্ধ, একটা বিদ্রোহ যা অনেকটা গৃহযুদ্ধের সামিল , ইংল্যাণ্ডের কেঁপে ওঠা এবং পুননির্মাণ... ... আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।
আপনি অনেক ছোটগল্প, একটি স্মৃতিকথা , তুলনামূলক ও ইতিহাসাশ্রয়ী উপন্যাস লিখেছেন। একজন লেখক হিসাবে সত্য বলতে বাধ্য না হওয়াকে কি শ্রেয় মনে করেন ? এবং এমন কোন একটি মাধ্যম কী আছে যাতে আপনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন?
একটি উপন্যাসকে প্রাথমিক অবস্থা থেকে তার অভীস্টের দিকে নিয়ে যেতে কয়েক বছর লেগে যায়, এবং নিশ্চিতভাবে লেখক বদলান , অর্ন্তগত রূপান্তরের অভিজ্ঞতা লাভ করেন? জগতের সাথে আপনার সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটে, এবং সেই সাথে মনো-ভূ-প্রকৃতিরও, সেসব বিষয় আপনাকে আগ্রহী করে তোলে , যা আপনি জানেন।
এগুলোর অস্তিত্ব এমনই, আমি ভেবে পাই না লোকে কী করে সমআঙ্গিকের কাজ সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। ঐ পথে আমার কোন উ”্চাশা নেই। এখানে যে বিষয়বস্তুগুলো আছে সেগুলোর পুনরার্বিভাব হতে থাকে, কিন্তু সেগুলো নিজেরা নিজেদের মধ্যেই বিষয় হিসাবে পুনর্জন্ম গ্রহন করে, বিপ্লব, রূপান্তর। কল্পনাপ্রতিভা যতণ পর্যন্ত বিবেচ্য ততণ প্রশ্ন হলো হয় পরিবর্তন নয় মৃত্যু।
এই সপ্তাহে উলফ হলের উপর বাজি ধরার জন্য বাজিকরদের যে হিড়িক তাতে বর্তমানে আপনি সন্মুখ সারির লেখকদের একজন।
বইটির প্রতি এ পর্যন্ত যে সাড়া মিলেছে তাতে কি আপনি আনন্দিত?
আমি উৎসাহিত, আনন্দিত , অনুপ্রাণিত এবং শক্তিমান বোধ করছি, এবং বাজিকরদের েেত্র যেটা ঘটছে তাতে কিছুটা হতবুদ্ধিও হয়ে পড়েছি। পুরস্কারগুলোর পুরো বাণিজ্যিক কর্মকান্ডে লেখককেরা অপরিসীম চাপের মুখে পড়ে যান, এবং আমার মনে হয় এেেত্র পরবর্তী বইয়ের প্রতি পূর্ণমনোনিবেশ করে কাজ করে যাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অপনি সত্যিকার অর্থে আপনার সর্বশেষ লিখিত বাক্যের মতই ভালো মাত্র। লেখকদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতার ধারণাটি বিস্ময়কর, বৈশ্বিক স্তরে না হলেও, কিন্তু আত্মিক স্তরে তো বটেই - আমি নিজেকে সবসময় দেখেছি নিজের সাথে প্রতিযোগিতায় আবদ্ধ, আমার নিজস্ব সংশয় ও দ্বিধাসমূহ, আমার নিজের সীমাবদ্ধতাসমূহ, এবং যে কোন সক্রিয় লেখকের মতো আমিও দৈনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে বাস করি এবং বিবেচনা করি এবং বাতিল করি যা বর্হিবিশ্বে ঘটতে পারে এমন যেকোন কিছুর চেয়ে হিংস্রতর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।