We make a living by what we get, we make a life by what we give
লন্ডনে আসার পর বিড়ম্বনার আর শেষ নেয়। সেই কলেজ জীবন থেকে শুরু। হরেক রকমের মানুষ, অনেক সময় পাশে বসা দেশী ভদ্র মহিলা অথবা মহোদয়কে দেখে বোঝা যায় না, উনাদের উৎপত্তি কোথা হতে!
যাই হোক। অনেক সমস্যার মধ্য অন্যতম হল আমার বদনখানা। কেউ কয় মালেশিয়ান আর কেউ থাই।
মনে মনে কয় "তোরে কইছে!"। গতকাল ব্রেকফাস্টে আমাদের অফিসের জনৈক ব্রিটিশ-ফ্রেন্চ ভদ্রলোকের সাথে হলিডে নিয়ে কথার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভিতে পাকিস্তানের বোমা হামলার ঘটনা বিবরণী চলিতে ছিল। বেটা হ্ঠাৎ করে আমারে বলে "তুমি কি পাকিস্তানে যাও"।
মনে মনে বললাম "বেটা কয় কি!" আমি সাথে সাথে রেসপন্স করলাম "আমি পাকিস্তানি না। " যাই হোক পরে বাংলাদেশের কিছু বিবরণ দিলাম।
সে অবশ্য জানে যে আমাদের মধ্যে একটা যুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু সে বলেছিল "small war!" উহাতে আমি অবজেকসন জানালাম এবং পরে অন্য বিষয়ে কথা হচ্ছিল।
কিন্তু, ইদানীং ব্যাপারগুলো খুবই ভাবাচ্ছে। পাকিস্তানের এত বদনামের মধ্যে এতগুলো ব্রিটিশ পাকিস্তানি এখানে কাজ অতবা বসবাস করে কিভাবে! এখানে বড় বড় কর্পোরেটগুলোর প্রায় সবকটিতে ফ্ল্যাট স্ক্রীন টিভি আছে। প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রে পাকিস্তানের বিভিন্ন বোমা হামলার অথবা মারামারির খবর আসছে।
মনে মনে বলি "কি একটা দেশরে ভাই!".... এবং খুশি এই বলে কারন, আমাদের দেশে হানাহানিটা এই পর্যায়ে পৌছায়নি এবং আশা করি এমনটি হবেও না!
আর সবশেষে মনে পড়ে যায় আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের কল্যানে আমরা অন্তত এইসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দুর্নাম থেকে মুক্ত।
যারা দেশের বাইরে থাকেন তাদের জন্য বুঝি জিনিসগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু দু:খের বিষয় এখানে কিছু কিছু ব্রিটিশ বাংলাদেশী নিজেদের পিতৃ অথবা মাতৃস্হানের নাম বলতে লজ্জা পায়। বরং নিজেদের ইন্ডিয়ান অথবা পাকিস্তানী বলে চালিয়ে দেয় এবং হিন্দী আর উর্দু চর্চা করে। যারা এমনটি করে তাদের ধিক্...
জয় হোক মুক্তিযোদ্ধের, জয় হোক তোমাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।