সময়কে কাধে নিয়ে চলো বন্ধু
বসুন্ধরা বনাম ট্রান্সকম। প্রথম আলো বনাম কালের কন্ঠ। যুদ্ধটা ঠিল এমনই। কিন্তু এখন দেখছি প্রথম আলোর সাথে সমকাল ও একুশে টিভিও বসুন্ধরার কীর্তিকলাপ তোলে ধরার চেষ্টা করে প্রথম আলোর পক্ষে নেমেছে। আজ আমাদের সময় সবাইকে তাক লাগিয়ে বসুন্ধরা ও কালের কন্ঠের পক্ষে প্রথম আলোর বিপরীতে সরাসরি নিউজ করেছে।
মিডিয়াগুলোর এই সংবাদ সংঘর্ষ তাহলে বড় আকার ধারণ করছে। অপরদিকে প্রথম আলোর বিপক্ষে বসুন্ধরা যে বিজ্ঞাপন পত্রিকাগুলোতে দিয়েছিল তা রীতিমতো বিজ্ঞাপন ছাড়িয়ে সংবাদে রূপ নিয়েছে।
মূল খবর
ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে নয়তলা করা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের পৈতৃক বাড়ি ‘লুৎফু ভবন’। আবাসিক ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩০০ বর্গমিটার ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ২৩ বর্গমিটার জায়গা রাখার বিধান থাকলেও তাও মানা হয়নি। মানা হয়নি ইমারতের দু’পাশে দুই দশমিক পাঁচ মিটার, পেছনে তিন মিটার এবং ভবনের সামনে এক দশমিক পাঁচ মিটার (পাঁচ ফুট) জায়গা খালি রাখার বিধানও।
রাজউকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটির সঙ্গে ভেঙে ফেলা র্যাংগস ভবনের কোনো পার্থক্য নেই। অনুমোদিত নকশা ও বিধিমালার বাইরে তৈরি করা সব ভবনই অবৈধ। সেই আলোকে লালমাটিয়ার লুৎফু ভবনও অবৈধ। নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের কারণে রাজউকের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে (সংযুক্ত ২সি ৪৩৩/০৫) মামলাও করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬-এর বিধি অনুযায়ী জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্লটে লালমাটিয়ায় ছয়তলার বেশি উচ্চতায় বাড়ি নির্মাণ করা যাবে না।
কিন্তু লালমাটিয়া বি ব্লকের ৬/৯ নম্বরের এই বাড়িটি নয়তলা করা হয়েছে কোনো অনুমোদন ছাড়াই। এ বাড়ির মালিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ তার আট ভাই-বোন। মতিউর রহমান অষ্টম তলায় থাকেন। কেয়ারটেকার মিজান জানান, লুৎফর রহমান এ পরিবারের বড় সন্তান (মতিউর রহমানের বড় ভাই) হওয়ায় ভবনের নাম রাখা হয়েছে ‘লুৎফু ভবন’।
এ ব্যাপারে সদ্য অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাওয়া জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, স্বাধীনতার পর লালমাটিয়ায় আড়াই কাঠা, তিন কাঠা, পাঁচ কাঠা এবং ১০ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।
শুধু লালমাটিয়ায় বাড়ি করার জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
এলাকাবাসীদের অনেকেই জানান, প্রথমে এটি একতলা বাড়ি ছিলো। ধাপে ধাপে এটি নয়তলা করা হয়। পাশের একজন বাড়ির মালিক জানান, আমার বাড়ি যখন তৈরি করি, রাজউকের পরিদর্শকরা মাঝে মাঝে পরিদর্শনে আসতেন। নকশা অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা দেখতেন।
বাড়ি নির্মাণ শেষ হলে ছয়তলার ওপরে চিলেকোটা তৈরির জন্যও নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ বাড়িটি যখন তৈরি হয় তখন রাজউকের কোনো পরিদর্শক চোখে পড়েনি। অনেকেই তখন বাড়িটি কীভাবে নয়তলা হলো এ নিয়ে রাজউকে ফোনে অভিযোগ করেন। কিন্তু এ বাড়িটি নিয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। কেউ আসেও নি।
খবর - আমাদের সময়। । ২৭অক্টোবর'০৯
খবরের লিংক- Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।