এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
{পোস্টটাকে পড়লে মুভির কাহিনী জেনে যাবেন।
মুভির কাহিনী আগে থেকেই পড়ে ফেললে মুভি দেখার মজা কমে যায়। আপনি যদি মুভির কাহিনী না জেনে সরাসরি মুভিটিকে দেখতে চান তাহলে পোস্টের শেষের ডাউনলোড লিংকগুলোকে ক্লিক করে মুভিটিকে ডাউনলোড করে নিন.........}
নাফিস ভাইয়ের পোস্টে আবদার করে ডাউনলোড লিংক পেয়েছিলাম। এককথায় মুভিটা অসাধারণ লাগলো। খুব নির্মম কাহিনী। ভেবেছিলাম মুভিটা হয়তো কারো লেখা সম্পূর্ণ বানানো একটা মুভি।
কিন্তু মুভির শেষ অংশের কিছু লেখায় চোখ আটকে গেল। বুঝতে পারলাম কাহিনীর চরিত্রগুলো হয়তো কাল্পনিক। কিন্তু পুরো কাহিনীটাই বাস্তব। ছোট্ট একটা রিভিউ লিখবো এই পোস্টে।
ওমরকে আটক করছে FBI।
ওমরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হলো যে, সে টেরোরিস্টদের কাছে তার গাড়িয়ে করে অস্ত্র সরবরাহ করে। ওমর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করলো। ওমর বললো যে তার আইনজীবির সাথে কথা বলবে। কিন্তু FBI তাকে জানালো যে তাকে তারা স্পেশালভাবে আটক করেছে এবং সে কোন আইনজীবিকে পাবেনা। এই স্পেশাল আটক করার নাম হলো Detained করা।
ওমর বুঝতে পারলো যে FBI কোন কারণে তাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কারণটা তার কাছে বোধগম্য হলো না। FBI তাকে বেশ কয়েকবার রিমান্ডে নিল। তারা তাকে প্রচুর মেন্টালি প্রেসার দিতে লাগলো এবং অবশেষে তাকে বললো FBI-কে সাহায্য করতে। তারা ওমরকে জানালো যে ওমরের কলেজ ফ্রেন্ড স্যাম একটি টেরোরিস্ট গ্রুপের সাথে জড়িত।
ওমরকে FBI আটক করেছে সাহায্যের জন্য এবং সে যদি FBI-তে সাহায্য না করে তাহলে তাকে সত্যি সত্যি Detained করা হবে। এই Detained করার পর যে কি নির্যাতন চলে একজন বন্দির উপর তা কাহিনীর মধ্যেই পাবেন। ওমরের বিশ্বাস হলো না যে তার বন্ধু স্যাম টেরোরিস্ট গ্রুপের সদস্য। তাই সে FBI অফিসারকে চ্যালেঞ্জ করলো যে সে FBI এর জন্য কাজ করবে এবং প্রমাণ করে ছাড়বে যে স্যাম নির্দোষ।
একটু অতীতে ফিরে যাই।
ওমরের কলেজ জীবনে। ওমর সেইদিন প্রথম কলেছে এসেছিল। তার প্রথমেই দেখা হয় মায়া’র সাথে। মায়াই তাকে খুজছিল। আমেরিকার একটি ইউনিভার্সিটিতে একজন ইন্ডিয়ান পড়তে আসছে সেটা শুনে মায়া’র সেই ইন্ডিয়ানের প্রতি একটু আগ্রহ তৈরী হবে সেটাই স্বাভাবিক।
বিদেশে বসে দেশের কারো সাথে দেখা হলে যেমনটা হয় আরকি। মায়ার ফ্রেন্ড ছিল স্যাম। খুব শীঘ্রই স্যাম ওমরেরও খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেল। তারা তিনজন ছিল বেস্ট ফ্রেন্ড: মায়া, ওমর এবং স্যাম। তারা তিনজন সবসময় একত্রে থাকতো।
ঘোরাঘুরি করতো। দেখতে দেখতে কলেজের দুই বছর পার হয়ে গেল। ওমর আস্তে আস্তে মায়াকে পছন্দ করে ফেলেছিল। কিন্তু তার মনের কথা সে মায়াকে জানানোর আগে স্যাম ছিনতাইকারীর হাতে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হলো এবং মায়া তার মনের কথা স্যামকে বলে দিল। ওমর মায়াকে পছন্দ করতো কিন্তু মায়া ভালবাসতো স্যাম-কে।
ফলাফল যা হবার তাই হলো, ওমরের মন ভেঙ্গে গেল। এরই মধ্যে আসলো ৯/১১। কলেজের মাঠে মায়া আর ওমর হাটার সময় হঠাৎ একটা চিৎকার শুনে দৌড়ে গেল কলেজের টিভি রুমে। সেখানে টিভিতে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের লাইভ ভিডিও দেখানো হচ্ছিল। সবাই অসহায়ের মতো টিভিতে টুইন টাওয়ারের ধ্বংস দেখছিল।
এবার আবার ফিরে আসি বর্তমানে। ওমর FBI-এর হয়ে কাজ শুরু করলো। FBI ওমরকে জানালো যে স্যাম আর মায়া বিয়ে করেছে এবং তাদের একটা বাচ্চাও আছে। তারা ওমরকে স্যাম আর মায়ার ঠিকানা দিল। ওমর স্যাম আর মায়ার পরিবারে ঢুকে গেল।
ওমর স্যামের ভিতর টেরোরিস্টের কোন ছায়াই দেখতে পেল না। সে কয়েকদিন স্যামদের সাথে থাকার পরে ফিরে যাওয়ার সময় স্যাম তাকে নিয়ে একটা অজ্ঞাত যায়গায় গেল। সেখানে ওমর মিললো তিনজন টেরোরিস্টদের সাথে যাদের ছবি সে FBI-এর কাছে দেখেছিল। তাদের বস ছিল স্যাম। স্যাম তাদের সাথে ওমরের পরিচয় করিয়ে দিল।
ওমর স্যামের কাছে টেরোরিস্ট হওয়ার কারণ জানতে চাইলে স্যাম বলা শুরু করলো। ৯/১১-এর ঠিক দশদিন পর পত্রিকার জন্য স্যামের তোলা টুইন টাওয়ারের কিছু ছবির কারণে পুলিশের স্পেশাল ফোর্স টেরোরিস্ট সন্দেহে স্যামকে আটক করে। তারপর সরাসরি কোন কথা ছাড়াই তাকে নিয়ে যায় Detention Centre-এ। সেখানে তার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন। হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে ছাদের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হতো, মুখে পট্টি মেরে তার উপরে অফিসাররা প্রস্রাব করে পট্টি বাধা অবস্থাতেই ফেলে রাখতো, গলায় কুকুরের বেল্ট পড়িয়ে রাখতো আর সময়ে সময়ে সেই বেল্টে টান মারতো, ছোট্ট একটা জায়গায় (কোনমতে শোয়া যায়) মধ্যে দিনের পর দিন আটকে রাখতো, পানি দিতো না, কাপড় দিত না।
(সব নির্যাতনের ভিডিও সিনেমার মধ্যে আছে। ) সর্বমোট ১২০০জনকে আটক করা হয়েছিল টুইন টাওয়ারে হামলার সন্দেহে। নয়মাস পরে Detention Centre থেকে ৪জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে স্যাম একজন। Detention Centre-এ থাকার সময় এক বুড়ো তাকে বলেছিল এ্ই অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে।
সে স্যামকে একটা কোড বলে দিয়েছিল। সেই কোডটাকে একটা কেকের দোকানে গিয়ে বললে তারা স্যামকে সুযোগ করে দেবে FBI-এর উপরে প্রতিশোধ নেবার। স্যাম জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মায়া তাকে বিয়ে করে। আর সবসময় সাপোর্ট দিতে থাকে। তারপরেও তাকে সবসময় ধাওয়া করতে থাকে জেলের সেইসব নির্যাতনের দৃশ্য।
সে চায় নতুন করে একটা জীবন শুরু করতে। কিন্তু Detention Centre-এর কথা তার সিভিতে লেখা থাকায় সে কোথাও চাকরী পায় না। তাই সে হতাশ হয়ে সেই বুড়ো লোকের কথামতো টেরোরিস্টদের গ্রুপে জয়েন করে।
FBI ওমরকে স্যামের আটকের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। ওমর বুঝতে পারে যে স্যাম টেরোরিস্ট হয়েছে শুধুমাত্র FBI-র কারণে।
FBI-এর সাথে কথা বললে তারা ওমরকে বললো স্যাম এর সাথে চলাফেরা করতে এবং স্যাম যেকোন পরিকল্পনা করলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে FBI-কে জানাতে। কিন্তু স্যাম ছিল খুব সতর্ক এবং সে এমনভাবে সব কাজ করতে লাগলো যে ওমর FBI-কে জানানোর কোন সময়ই পাচ্ছিল না। শেষে দেখা গেল ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে ওমর FBI-কে সেটা জানাচ্ছে। মায়া জেনে গেল যে ওমর FBI-এর জন্য কাজ করছে এবং সে আর ওমর মিলে স্যামকে টেরোরিস্টের পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করলো।
স্যাম বিরাট একটা পরিকল্পনা করলো।
সে একটি বোমা বানালো যেটাকে মোবাইলের মাধ্যমে একটিভ করা যায়। স্যাম বোমাটিকে কোথায় লাগালো কল্পনা করতে পারবেন??? FBI-এর হেডকোয়ার্টারে। সে তার দলের কাউকে তার প্লানের ব্যাপারে বললো না। সে গ্লাস ক্লিনারের সাজে FBI-এর বিল্ডিংয়ের নানান জায়গায় গ্লাসের সাথে বোমা ফিট করে দিল। কিন্তু সে যখন কাজটা করছিল তখন মায়া ছিল সেই ভবনের ভিতর।
সে স্যামকে জানালা দিয়ে দেখলো এবং সাথে সাথে কল করে ওমরকে তা জানালো। স্যাম বোমা সেট করে ব্লাস্ট করার ঠিক আগ মূহুর্তে সেখানে ওমর পৌছে গেল। ওমর তাকে আটকালো এবং তারপরে মায়াও আসলো। তারা স্যামকে সারেন্ডার করতে বললো এবং বললো যে স্যাম বোমার রিমোটটিকে ফেলে দিলে FBI তাকে মারবে না। স্যাম রিমোটটিকে ফেলে দিল।
কিন্তু FBI তাদের কথা রাখলোনা। তারা স্যামকে গুলি করলো। আর মায়া স্যামকে বাচাতে গিয়ে ক্রসফায়ারে পড়লো। আর ওমরকে নিয়ে FBI-এর অফিসার নিচে নেমে গেল। তাই সে বেচে গেল।
। ।
ছবির শেষের কথাগুলো ছিল এরকম:::
In the days following 9/11 more than 1200 men of foreign origin in the US were illegally abducted, detained and tortured for as long as 3 years.
The government did not find evidence linking a single one of them to the 9/11 attack. Eventually more than a 1000 were released...
To this date, most of them suffer from depression and stress... and have not been able to focus enough to hold a job...
In June 2006, President George W. Bush said, “I have never ordere torture. I will never order torture... The values of this country are such that torture is not a part of our soul and our being.”
On the 22nd of January 2009, just two days after being sworn in as the President of the United States of America, Barack Obama signed an order to shut down the infamours symbol of detention and torture. Guantanamo Bay...
**************************************
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
*
কেউ যদি মুভিটি দেখতে চান তাহলে নিচের পার্টগুলো এক এক করে ডাউনলোড করুন। সবগুলো পার্ট ডাউনলোড হয়ে গেলে সেগুলোকে একই ফোল্ডারে রেখে HjSpilit দিয়ে join করুন। ।
।
http://www.mediafire.com/?meqizmmtedd
http://www.mediafire.com/?mgjzz2neynt
http://www.mediafire.com/?zmafwzjhoju
http://www.mediafire.com/?zqw0glell41
http://www.mediafire.com/?ak2momeyzcm
http://www.mediafire.com/?ibz0vvdmizj
ফাইল ডাউনলোডের সময় কোন পাসওয়ার্ড চাইলে পাসওয়ার্ড হলো: www .m obi lef ire. co. cc
স্পেস বাদে
টোটাল ডাউনলোড সাইজ ৫০০ মেগাবাইট। ফরমেট mkv। মুভির সময়: ১৫১মিনিট। রেজ্যুলেশন: 876 x 368।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।