আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরো কিছু রাশান জোকস

যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...

০১. প্রাইমারি স্কুলের পিটি চলছে। টিচার জিজ্ঞেস করছেন- কোন দেশে সবচেয়ে সুন্দর খেলনা পাওয়া যায়? ছাত্র-ছাত্রীরা সমস্বরে উত্তর দিল : সোভিয়েত ইউনিয়ন কোন দেশে সবচেয়ে সুন্দর চকোলেট পাওয়া যায়? ছাত্র-ছাত্রীরা চিৎকার করে উত্তর দিল : সোভিয়েত ইউনিয়ন কোন দেশের শিশুরা সবচেয়ে সুখি? ছাত্র-ছাত্রীরা তারস্বরে উত্তর দিল : সোভিয়েত ইউনিয়ন হঠাৎ কান্নার আওয়াজ। টিচার এগিয়ে এলেন, কেজি ক্লাসের পিচ্চি ইভানভ কাঁদছে। টিচার জিজ্ঞেস করলেন, ইভানভ, তুমি কাঁদছ কেন? ফুপিয়ে ইভানভ উত্তর দিল, আমি সোভিয়েত ইউনিয়নে যাব... ০২ নগর গোরস্তানে নতুন কর্তা এসেছেন। সবাইকে নিয়ে তিনি মিটিংয়ে বসে খরচ কমানোর পথ খুঁজছেন।

-আমাদের আসলেই খরচ কমাতে হবে। আপনাদের কোনো পরামর্শ আছে কমরেড? - ডেডবডিগুলো খাড়া করে কবর দিলে গোরস্তানের জমি বাঁচানো যায়... -বেশ, আর কিছু? -খাড়া করে কোমর পর্যন্ত কবর দিয়ে রং করে দিলে এপিটাফের জন্য আর পাথর কিনতে হবে না কমরেড। -বাহ্ আর কিছু? -ডেডবডিগুলো যদি হাত ধরাধরি করে কোমর পর্যন্ত গেড়ে দেয়া যায়, তাহলে ওটা দিয়েই বেড়ার কাজও হয়ে যায়... ০৩ রবিনোভিচ : আক্কেল দাঁত তুলতে কতো লগে? ডেন্টিস্ট : ৮০ রুবল রবিনোভিচ : উহু, অনেক খরচ... ডেন্টিস্ট : লোকাল অ্যানেস্থিশিয়া না দিলে ২০ রুবল কমানো সম্ভব রবিনোভিচ : তাও অনেক বেশি। ডেন্টিস্ট : দামী ফরসেপ দিয়ে না তুলে প্লায়ার্স ব্যবহার করলে আরো ২০ রুবল কমানো সম্ভব। রবিনোভিচ : তাহলে দাড়ালো ৪০ রুবল।

নাহ, আরো কমাও না ভাই। ডেন্টিস্ট : ডেন্টাল কলেজের ছাত্র দিয়ে তোলালে যদি তারা লোকাল অ্যানেস্থিশিয়া না দিয়েই প্লায়ার্স দিয়ে টেনে তুলে ফেলে, তবে ২০ রুবলে সম্ভব। রবিনোভিচ : তাহলে ওই কথাই রইলো। বিকেলে আমার বউকে পাঠিয়ে দেবো খন, ওর আক্কেল দাতটা ফেলে দিতে হবে। ০৪ ট্রাফিক পুলিশ মাঝ রাতে গাড়ি থামিয়েছে- পুলিশ : আপনি কি ভদকা খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কমরেড? চালক : না তো! পুলিশ : বললেই হলো? দেখি এই টিউবে মুখ লাগিয়ে শ্বাস ছাড়ুন তো... হ্যা...ও বাবা... এ দেখি ক্লিন রিডিং দিচ্ছে।

যন্ত্রটাই নষ্ট হয়ে গেল নাতো? দেখি নিজে টেস্ট করে...হ্যা...নিজেই মুখে লাগিয়ে দেখি...নাহ্ যন্ত্র তো দেখি ঠিকই রিডিং দিচ্ছে... ০৫ সাইবেরিয়ার উত্তরে এক সায়েন্টিফিক রিসার্চ জাহাজের ক্যাপ্টেন সবাইকে ডেকেছেন মিটিংয়ে- কমরেডগন, ইদানিং এই জাহাজের সব কমরেডই অতিরিক্ত ভদকা খাচ্ছেন, আর এতে নানা ভুলও হচ্ছে। আমরা আর ঝুকি নিতে চাই না। এই মুহুর্তে সব ভদকার বোতল সাগরে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। মিটিংয়ে পিন পতন নিরবতা। কেবল পেছন থেকে একটি কণ্ঠ বলে উঠল, হ্যা সেটাই ভালো, সব ফেলে দেয়া হোক... কমরেড ক্যাপ্টেন ঠিকই বলেছেন... বাকিরা একস্বরে উত্তর দিলো: চুপ থাক হারামজাদা ডুবুরী...


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।