আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তার স্বপ্ন দেখে রাত কেটে যায়....তারপর আসে ভোর........তারপর আমার ঘুম ভাঙ্গে......................(একটা "সে" সম্পর্কিত পোস্ট.........)

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺

ঠিক এক বছর আগের কথা।

টিচারদের শত পিড়াপিড়িতে মেজাজ মারাত্মক খারাপ করে "এক্সট্রা ক্লাস" করছিলাম রমজানের ছুটিতেও! এই এক্সট্রা ক্লাসেই তার সাথে দেখা। প্রথম দেখা স্কুলের মাঠে। সে তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করতেছিল। আমার সাথে ছিল আমাদের ক্লাসের পিচ্চি শাওন (একটু খাটো বইলা এই নামে ডাকি)। একটা প্রবাদ আছে, "ছোট মরিচে ঝাল বেশি।

" পিচ্চিরে যেকয়বার দেখি প্রত্যেকবারই আমার সেইটা মনে পড়ে। পিচ্চির সাথে ওদের গ্রুপটার আবার খুব মন কষাকষি ছিল। পিচ্চি যেমনে পারতো তেমনে ওগোরে খেপাইতো। পিচ্চি আমার লগে হাইটা যাওয়ার সময়ও সবসময়কার মতো ফাইজলামী করতেছিল। আর আমি পাশে দাড়ায়া দাড়ায়া পুরা ব্যাপারটা ইনজয় করতেছিলাম।

অংশগ্রহনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু চান্স পাইতেছিলাম না। এক পর্যায়ে সে কথায় না পাইরা পিচ্চিরে কইলো, "ওই তুই দাড়া আমি আইতাছি। " কয়াই স্কেল লইয়া তেইড়া আইলো। পিচ্চিতো দৌড় দিবো।

আমি তাড়াতাড়ি পিচ্চিরে ধইরা ফেলাইছিলাম। পিচ্চি আর ভাগতে পারলো না। ও আইসা আর পিচ্চিরে মারলো না। মাঝখান থিকা আমি চান্স পায়া গেলাম......। পিচ্চির লগে যোগ হইলাম আমি।

প্রতিদিন এক্সট্রা ক্লাস শেষ হওয়ার পরে ফাইজলামী করতাম ওগোর লগে। বাসা পর্যন্ত আসার সময়। ওর সাথে সরাসরি তেমন একটা কথা হতোনা কখনোই। আমাদের পিচ্চি আছিলো একটু দার্শনিক টাইপের। দার্শনিক দার্শনিক কথা কইতো।

অয় একদিন আমারে কইলো, "দোস্ত, অন্তু (নামটা কয়াই দিলাম ) কিন্তু তোর প্রতি দূর্বল হয়া পড়তেছে। " আমিও ব্যাপারটা বুঝতেছিলাম। কিন্তু অয় আমার লগে কোন কথা কইতোনা। আর মাঝেমধ্যে হুদাই ঝাড়তো। একদিন গিয়া ওগোর বাসাও দেইখা আইছিলাম।

পিচ্চির কাছে ওর মোবাইল নাম্বার ছিল। তখন ও একটা বাংলালিংক নাম্বার ইউজ করতো। পিচ্চি একদিন আমার মোবাইল থিকা ওরে কল দিছিলো। সেইদিন ও আমার নাম্বারটা পায়া গেল। কিন্তু পিচ্চি কল দিয়া আমার মোবাইল থিকা নাম্বারটা কাইটা দিল.... ।

কোয়ি বাত নেহি, ওয়ারিদের ওয়েব পোর্টালের সাহায্যে সহজেই নাম্বারটা পাইলাম। কিন্তু ঐ নাম্বারে কোনদিন কিচ্ছু পাঠাইনাই। সেইভ কইরা রাখছিলাম শুধু। একদিন রাইতের বেলায় একটা ওয়ারিদ নাম্বার থিকা এসএমএস পাইলাম। "hi, kemon aco? cinte parco?" আমার কেন জানি মনে হইলো এইটা সেই হইবো।

জিপির রাক্ষইস্যা রেট (১টাকা/এসএমএস) দিয়াই রিপ্লাই দিলাম। সেও রিপ্লাই দিল। এইভাবে শুরু। আমি আমার মেজো ভাইয়ের কাছ থিকা একখান ওয়ারিদ সিম লইয়া লইলাম জিপির সিমটার বিনিময়ে। সে হাসিমুখেই দিয়া দিল।

FnF কইরা লইলাম। কথা তেমন একটা বলতাম না। এসএমএস করতাম। পার এসএমএস ১২পয়সা আছিল তখন! তয় ওর অন্য প্যাকেজ থাকায় ৫৬পয়সা কইরা কাটতো। আর আমারতো ওয়ারিদের ওয়েব পোর্টাল দিয়া এসএমএস পাঠানোর সিস্টেম আছেই ।

এতোকিছুর পরেও সে আমারে হার মানায়া দিতো এসএমএস পাঠানোয়। দিনে ১০০-১৫০ বা তারও বেশি এসএমএস দিতাম। কেন দিতাম জানিনা। তখন শুধু বন্ধুত্বই ছিল। খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আমরা।

প্রায় ২মাস এইভাবে চললো। এই দুইমাসে কম আজিব ঘটনা ঘটেনাই। এক ভাই (নাম ফেরদৌস) আমারে কইলো হেয় ওরে পছন্দ করে। আমি যাতে সেটাপ কইরা দেই । আমার এক দোস্তও (নাম রুবেল) ওর পিছে লাগছিল।

আমি আছিলাম মদনা টাইপের। আমি কখনো ভাবিনাই আমি তারে ভালবাসি কিনা। আমি ভাবতে লাগলাম কার লগে দিলে ভাল হয়। ফেরদৌস নাকি রুবেল? আমি কখনো ভাবিনাই যে আমি তার লগে প্রেম করুম। কারণ, আমি আছিলাম তার ফ্রেন্ড।

এইর মধ্যেই আমি খেয়াল করলাম সে এসএমএস-এর মইদ্যে jan লেখা শুরু কইরা দিল! খেয়াল কইরা আমিও লিখতে থাকলাম । একদিন এই এসএমএস-টা পাইলাম, "etodin dhoira jan bola chilo faizlami. kintu tumi sotti sotti amar jan hoye jaitecho" আমারতো আক্কেল গুড়ুম। এই প্রথমবার নিজেরে জিজ্ঞেস করলাম। তুমি কি ওকে ভালবাস? উত্তর আসলো হ্যা-সূচক। তারপর সবগুলারে ঝেটায়া বিদায় করলাম।

আর লাইগা গেলাম নিজেই............ তারপর থেকে একসাথে পথ চলা। একটা বছর কেটে গেল। সম্পর্ক আরো গাঢ় হলো। আস্তে আস্তে একে অপরকে চিনে নিলাম। তার সাথে ঝগড়া হয়নাই তেমন একটা।

একবার লাগছিল। তাও বেশিদিন স্থায়ী হয়নাই। আমাদের মধ্যে ঝগড়া খুব কম হয়। কারণ, গুড আন্ডারস্টান্ডিং। আমি প্রথমে ওর ফ্রেন্ড ছিলাম।

তাই তাকে খুব ভাল করে বুঝতে পারি। সেও আমাকে খুব ভাল করে বোঝে। শুধু ভালবাসা নয়, আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বটাও কাজ করে। ও আমাকে পাগলের মতো ভালবাসে। আমি তাকে যখন যাই করতে বলিনা কেন ও তাই করে।

হাসিমুখে মেনে নেয়। এতো এতো বাধা দিছি। এইটা করবানা, ঐটা করবানা; এর সাথে কথা বলবানা, তার দিকে তাকাবা না.....ইত্যাদি ইত্যাদি। তার কষ্ট হইছে। তখন বুঝতে পারিনাই।

সে আমাকে কিচ্ছু বলেনাই। কিন্তু এখন আমি বুঝি। তাই এখন আর তেমন কিছুতেই বাধা দেইনা। ও একটু চঞ্চল আর পাগলামী বেশি করেতো। তাই মাঝেমধ্যে একটু নজরে রাখতেই হয়।

"""ভালোবাসি তোমার, ঐ রোদ্দুর হাসি; দেখে স্বপ্ন কাটে, আমার দিবানিশি; কি হলো আজ, আমি ভেবে না পাই; সব হারালে শুধু তোমাকে চাই। । । """

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।