হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই
আমরা কি আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত? লক্ষ্ কোটি মানুষের প্রানের দাবী রাজাকারের ফাসি চাই, কোথায় সেটা? ব্লগে যত পোষ্ট দেখছি তার বেশীর ভাগই দেখলাম আহমেদ রাজীব হায়দারের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে টানাটানি করছে। কেন? আপনারা ওনার নাস্তিকতা নিয়ে এত ব্যাস্ত কেন? ওনার জানাযায় যাবেন কি যাবেন না? ওনাকে কোথায় দাফন করা হল সেটা নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথা কেন? যার ইচ্ছে যাবে, যার ইচ্ছে যাবে না, সেটা আপনাকে ব্লগে পোষ্ট দিয়ে জানাতে হবে কেন? আপনি কি মনে করেন আপনি না বললেই মানূষ যাবে না? আপনি কি মনে করেন আপনি দাওয়াত দিলেই ওনার জানাযায় লক্ষ মানুষ হবে? ছেড়ে দিন যার টা তার ওপর। এখানে যারা লিখছে তারা কেউ কম জানে না।
রাজাকারের ফাসির দাবীতে কয়টি পোষ্ট পড়ছে? গতকাল থেকে? রাজীবকে আমি চিনি না ওনার ব্লগ ও আমি দেখিনি। আজকে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখে ওখানে ঢুকেছিলাম। কোন মন্তব্য করব না ওনার বিশ্বাসের ওপর। আমি মুসলমান। আমি আমার বিশ্বাস নিয়ে আছি।
কারো দু’চার লাইন লেখায় আমার সে বিশ্বাসে কিছু আসে না।
আমি এখানে আসছি রাজাকারের ফাসির দাবী নিয়ে, যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে ছিল আজ থেকে ৪৩ বছর আগে সেই যুদ্ধের অবসান চাই। সেই সময়ের আগাছা রাজাকারগুলো আজকে মহীরুহে পরিনত হয়েছে। সময় হয়েছে এই মহীরুহ ধ্বংস করে দেয়া।
কারো ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে আঘাত করাকে আমি কোন মতেই সমর্থন করি না।
আবার সেই ধর্ম বিশ্বাস কে পুজি করে যারা একটা অস্ত্বিত্তের লড়াই কে দ্বিধা বিভক্ত করার চেষ্টা করে তারা হল নব্য রাজাকার।
আজকে ফেসবুকে রাজীব কে নিয়ে অনেক কথা চালাচালি হচ্ছে পক্ষে বিপক্ষে। আমি শুধু এই টুকু জানি আপনি যদি সেই পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেন তা হলে চলমান আন্দোলন কিন্তু শেষ হয়ে যাবে। মনে রাখবেন আমরা এখনও ঠিক ভাবে যুথবদ্ধ হতে পারিনি। এর মধ্যেই রাজাকারের বাচ্চারা আঘাত করে ফেলছে আমাদের ঐক্যের ওপর আর আপনি আমি তাতে ঠিক পা দিয়ে বসছি।
রাজীব ছিল এক সহযোদ্ধা রাজাকার নিধনের আপনার আমার মত। শাহবাগে কোন নেতা নেই, সবাই যোদ্ধা। খবরদার কেউ যেন বলে না বাজীবের ধর্মীয় বিশ্বাসে শাহবাগের আন্দোলন চলে। শাহবাগ চলে আমাদের চেতনার আগুনে। শাহবাগে শত মত থাকতে পারে কিন্তু আমাদের দাবী এক সেটা হল বাংলাদেশ কলঙ্ক মুক্ত ক রা রাজাকার মুক্ত করা।
দয়া করে আপনারা TO THE POINT এ আসুন। রাজীব কে হত্যা করা হয়েছে এটাই বড় কথা। কেন করা হয়েছে যে চেতনা আপনি আমি লালন করি সেই চেতনা লালন করার অপরাধে।
৪২ বছর আগে এই রাজাকাররা ধর্মের লেবাস গায়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করত কাফের আখ্যা দিয়ে আর ধর্মপ্রান মানুষের সহমর্মিতা নিয়ে নিত। অনেকক্ষেত্রে তারা সফলও হত।
আজ ৪৩ বছর পর ও তারা একই পদ্ধতিতে ধোকা দেবার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন হল আমরা কি ধোকা খাব?
আজকে দয়া করে আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, শিক্ষিত অশিক্ষিত ভেদাভেদ করবেন না। আগে কাধে কাধে মিলিয়ে রাজাকার শেষ করি। যে আগুন আজ শাহাবাগে জ্বলছে সেই আগুন যেন কোন কিছুর লেবাসে ধ্বংস না হয়। আমরা কি আবার রাজাকারদের হাতে পরাজিত হব?
আপনার যদি কোন কিছু কাউকে ভাল না লাগে তার থেকে দূরে থাকুন কিন্তু আপনার হৃদয়ে যেন একটাই কথা থাকে রাজাকারের ফাসি চাই।
মনে রাখবেন শাহবাগে কেউ নেতা না কেউ কর্মী না। প্রত্যেকে এক একজন যোদ্ধা।
আর রাজাকার শিবিরদের পরিস্কার বলে দেন আর যদি আমাদের কারো গায় হাত পড়ে আমরা প্রথমেই বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে যেয়ে গো আযম কে টেনে নিয়ে আসব।
জয় বাংলা।
ঐক্যবদ্ধ থাকুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।