সামওয়ান উইল উইন দ্য রেস '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে আগে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের সেই কবিতাটার কথা মনে আছে? মনে আছে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার সেই সুর? পশ্চিম পাকিস্তানের চাপিয়ে দেয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সেদিনের সেই আহ্বান-
যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পরতে হবে। রক্তের দাগ মোছে নাই... আমরা ওদের ভাতে মারবো, পানিতে মারবো...
ইতিমধ্যে যারা পোস্টে রাজনৈতিক গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন তাদের কাছে বিনীত নিবেদন পোস্টে গালি দিয়ে বের হয়ে যান, নো অবজেকশন। আর ধৈর্য থাকলে একটু পড়ুন।
কেন ঐ ঘোষনা পোস্টের সঙে প্রাসংগিক?
'৭১এর হায়েনা নরপশুর দল জেগে উঠেছে আবার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে যখন দেশ ঐক্যবদ্ধে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ঠিক সেই সময় মরণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামাত-শিবির।
হত্যা করেছে আমার ভাই, আমার পূত্র আমার পিতাকে। হত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমাকে-আপনাকে-আমদেরকে।
এই অবস্থায় আমরা ঘরে বসে থাকবোনা, রক্ত ঝরেছে, রক্তের দাম শোধ করতে হবে। খুনের বদলে খুন? না, অপবিত্র রক্তে হাত নষ্ট করতে চাইনা। আমরা ওদের ভাতে মারতে চাই- আমরা ওদের পানিতে মারতে চাই।
আমরা ঐ নরখাদক হায়েনার দলকে সামাজিক- অর্থনৈতিক- রাজনৈতিক ভাবে বয়কট করতে চাই।
সামাজিক বয়কটঃ
শহীদের রক্তে পাওয়া দেশে, মায়ের-বোনের সম্ভ্রমের দামে কেনা দেশে দেশের জন্মবিরোধী কেউ আপনার আপন নয়। আপনি যদি মানুষ হন, যদি আপনার ভেতর দেশপ্রেম থাকে আপনার আশে-পাশে পরিচিত জামাত-শিবির সমর্থক কেউ থাকলে তাকে বয়কট করুন।
অর্থনৈতিক বয়কট
জামাত শিবির পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, টিভি চ্যানেল, কোচিং বয়কট করুন। জামাত শিবির একটি ক্যাডার ভিত্তিক দল।
স্বাধীনতার পর থেকে (বিশেষ করে ৭৫এর পর থেকে) দলটি অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছে বিভিন্ন ব্যাবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে। আমার আপনার টাকা ওদের আমাকে-আপনাকে হত্যা করার ক্ষমতা দিয়েছে।
সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে- জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে সরকারী নজরদারীতে আনার জন্য। বিনিয়োগকারীদের অর্থের উৎস, অর্থ খরচ করার খাত গুলোকে খতিয়ে দেখার জন্য।
জামাত নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব নজরদারীর আওতায় আনা হোক।
ফোকাস-রেটিনা কোচিংএ যারা কোচিং করছে তারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনায় আছে শিবির। তাই ওদের নজরদারীতে আনা হোক।
রাজনৈতিক বয়কট
বর্তমানে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমতের অভাব রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামিলীগের সংসদে আইন পাস করার মত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজনৈতিক কারণে এবং বহিঃবিশ্বে গ্রহনযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনায় আনলে বিএনপির মতামত ছাড়া জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা একটি জটিল বিষয়।
তাই প্রথমেই বিএনপিকে সরকারের পাশে প্রয়োজন। কিন্তু, রাজনৈতিক অঙনে বিরাজমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যা মনে হচ্ছে তাতে বিএনপি জামাতের ভুত ঘাড় থেকে নামাতে পারবে বলে মনে হচ্ছেনা।
তবে কি বিকল্প নেই?
আছে, গনভোটের আয়োজন করুন। ভোটার হয়েছেন এমন কেউ এই ইস্যুতে ভোট দিতে পারবে। ভোটের বিষয়বস্তুঃ" জামাত-শিবিরের রাজনীতির আপনি চান নাকি চাননা।
" দেশের সাধারণ মানুষদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
শাহাবাগ প্রজন্ম চত্বরের প্রতি / দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি একটি অনুরোধঃ
সোমবার হরতাল ডেকেছে জামাত। হরতাল একটি গনতান্ত্রিক অধিকার। যেহেতু জামাত এখনো কোন নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়, সেহেতু হরতাল ডাকার অধিকার ওদের আছে। কিন্তু সাধারণ জনগনের হরতাল প্রত্যাখ্যানের অধিকারও রয়েছে।
জামাত শিবিরকে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলুন। শাহাবাগ থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে হরতাল বিরোধী মিছিল করা হোক, সভা করা হোক।
জামাত যদি শিবিরের ১০টা ছেলেকে হরতালের পক্ষে পাশে পায়, হরতালের বিপক্ষে আমরা হাজারো মানুষ। আমরাও পথে আছি।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
বিভিন্ন কারণে অনেকে হয়ত নিজ পরিচিতিতে জামাত-শিবির সংশ্লিষ্ট কোন তথ্য দিতে চাইবেন না।
এ জন্য সরকার একটি আলাদা তথ্য সংগ্রহ সেল গঠন করতে পারেন। সেই সেলে তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাইয়ের কাজটি করা যেতে পারে।
খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি পয়েন্টঃ
এই আন্দোলনের কোন রাজনৈতিক পরিচিতি নেই। তাই পুরো প্রক্রিয়ায় যেন কেউ রাজনৈতিক হয়রানীর সম্মুখিন না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
জয় বাঙালী
জয় বাংলাদেশ
জয় প্রজন্ম চত্বর
জয় মানবতা
জয় মানুষের
জয় বাঙলা! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।