বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
খবর-১
খবর-২
আজ দুপুরে ব্লগে ঢুকেই খবরটা প্রথম পেলাম। গতকাল বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, এখন থেকে জুমার নামাজের সময় বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে হবে। ঐ আলোচনা সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের জন্য যদি কেউ কিছু করে থাকেন, তাহলে তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু-ই করেছেন!!! অনুষ্ঠানে বক্তাদের আরও বক্তব্যের মধ্যে অন্যতম ছিল “এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে কোন মুসলমান বঙ্গবন্ধুর নাম ভুলতে না পারে।”
আমি বঙ্গবন্ধুর এইসব তথাকথিত তেল প্রদানকারীদের কাছে একটা প্রশ্নই রাখতে চাই, আপনারা কি মনে করেন বঙ্গবন্ধুকে এভাবে আপনারা সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান দেবেন? পা-চাটা বা তেল মারারও তো একটা সীমা থাকে, কিন্তু আপনারা তো কোন সীমা-ই মানছেননা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অবদান তাঁর নিজ কর্মগুণেই লেখা থাকবে, সেজন্য আপনাদের এমন নির্লজ্জ তেল মারা তো কোন প্রয়োজন নেই। আপনারা কি মনে করেননা এভাবে নির্লজ্জভাবে ধর্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে টেনে এনে আপনারা খোদ বঙ্গবন্ধুরই অবমাননা করছেন? বঙ্গবন্ধু যদি আজ জীবিত থাকতেন, তবে কি আপনারা এভাবে তাঁর সম্মূখে মোসাহেবী করতে পারতেন? জুমার নামাজের খুতবায় বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে হবে, এই ঘোষণার মাধ্যমে আপনারা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার সাথে সাথে ইসলাম ধর্মটাকেও কি অবমাননা করছেননা? বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অসামান্য অবদান, সেটি তো ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে ছিল, ইসলাম বা অন্য কোন নির্দিষ্ট ধর্মের জন্য ছিলনা। তাহলে তাঁর কর্মকান্ডকে এভাবে এককভাবে ইসলাম ধর্মের নাম দেয়ার কারণে কি প্রকারান্তরে সাম্প্রদায়িকতাকেই উষ্কে দেয়া হলনা? ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ছিল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে, একা মুসলমানদের জন্য তো ছিলনা, তাই নয় কি?
নির্লজ্জতারও তো একটা সীমা থাকে, আপনাদের কি তা-ও নেই?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।