আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাস মালিক - ছাত্রদের মারামারি , আমদের ভোগান্তি!

আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম , এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি।

এই বছরের শুরুতেও মহাখালী ওয়্যারলেস দিয়ে ৬ টি টিকিট বাস চলত। মতিঝিল গামী মধুমতি , ধানমন্ডি গামী ইউনিক( মনে হয়), মিরপুরের বেংগল , একুশে , মোহাম্মদপুরের ওয়ান লাইন এবং তরঙ্গ। মহাখালীর এই জায়গা টিতে তিতুমির কলেজ , ইস্ট ওয়েস্ট , ব্রাক ইউনিভারসিটি সহ নানান ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় যথেষ্ঠ চাহিদা ছিল এই বাস গুলোর। তিতুমির কলেজের ছাত্ররা সবসময়ই চাইত হাফ টিকিট অথবা বিনা পয়সায় যেতে।

কিন্তু বাস মালিকেরা দিতনা। এই নিয়ে মোটামুটি প্রতিদিনই একটা বাক বিতন্ডা চলত। ছাত্ররা প্রায়ই থ্রেট দিত, কখন কাউন্টার ভেঙ্গে দিত, কখন মারত হেল্পার বা ড্রাইভারকে। ধানমন্ডির বাসের কাউন্টার ভেঙ্গে ফেলার কারনে বাসটির মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় বাস এই লাইনে না চালাতে। ফলে ধানমন্ডি লাইনের এই বাসটি মনপলি ত্যাগ করে গুলশান তেজগা লিঙ্ক রোড দিয়ে যায়।

মতিঝিলের বাস টিও কোন এক কারণে বন্ধ। ফলে মতিঝিল এবং ধানমন্ডি এলাকার লোক এখন বেশ কষ্ট করে বাড়ী যাচ্ছে। কিন্তু এই গত মঙলবারে দেখি এই রাস্তার বেশ কিছু জায়গাতে ভাঙ্গা কাঁচ। পরে শুনলাম , বাসের হেল্পারের সাথে তিতুমিরের এক ছাত্রের হাতাহাতির জের ধরে , বেঙলের একটি বাস কে ভাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গা পুলিশ এসে অবস্থা সামাল দিলেও সারা রাস্তা জুড়ে ছিল প্রচুর জ্যাম।

আর সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হল যে বাস মালিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই রাস্তায় আপাতত কোন বাস চালাবেনা। সব কাউন্টার বন্ধ। বেঙল, একুশে যাচ্ছে এখন লিঙ্ক রোড দিয়ে, ওয়ানলাইন থেমে যাচ্ছে মহাখালী রেল ক্রসিং এ । তরঙ্গ বাস টি যে কোথায় আছে তার খোঁজ নেই। ফলাফল আমারা যারা এই বাস গুলোতে যাতায়াত করতাম , তাদের এখন অনেক ঘুরে , ফিরে তারপর গন্ত্যবে পৌছাতে হচ্ছে।

আর এর জন্য মহাখালি এলাকায় বেশ ভালোই জ্যাম দেখা যাচ্ছে। তিতুমির কলেজের সামনে দেখলাম একটা ডাবল ডেকার , ঐ কলেজের ছাত্রদের জন্য। কিন্তু আমাদের সাধারণ যাত্রীদের জন্য কিছুই নেই, আছে শুধু সেই পুরাতন ৬ নাম্বার বাস(যেখানে ওঠা আর এভারেস্ট ওঠা প্রায় একই)! ছাত্ররা আর বাস মালিকেরা মারামারি করল আর বিপদে পড়লাম আমরা! এটাই মনে হয় বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।