uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায়
তাজুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম যেমন ইসলাম না তেমনি জামায়ত ইসলামও ইসলাম না । মনে রাখতে হবে জামায়াত ইসলাম কোন ধর্মপ্রচারক দল নয়। নেহাত একটি রাজনৈতিক দল । তাই জামায়াত ইসলামের বিরোধিতা মানে ইসলামের বিরোধীতা নয় । জামায়াত ইসলামের সাথে দাড়ি টুপিড় কোন সম্পর্ক নাই ।
জামায়াতের ছাও পোনারা যদি আজ থেকে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর টি শার্ট পড়ে রাস্তায় নামে তারপরও তারা জামায়াত ইসলাম হয়েই থাকবে । রাজাকারের বংশধর হয়েই পরিচিত থাকবে । দুটো জিনিস এখানে পরিস্কার করতে চাই । আমি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে নই । পৃথিবীর বহু গনতান্ত্রিক দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অস্তিত্ব আছে ।
দেশে কেবল মুসলমানই নেই । অন্য ধর্মের মানুষও আছে । ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে তারাও তাদের রাজনীতির অধিকার হারাবে । কিন্তু জামায়াত ইসলাম একমাত্র দল যারা যে দেশের হাওয়া বাতাসে বড় হচ্ছে সেই দেশের জন্মকে অস্বিকার করে। জন্মের বিরোধিতা করে ।
দেশে রাজনৈতিক দলের এত আকাল পড়ে নাই যে এইসব বেইমান বিশ্বাসঘাতকদের গড়া দলের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। সংবিধার আইন দুপেয়ো বুদ্ধিবাদী মানুষের জন্য আমাদের জন্য না । আমজনতার সোজা হিসাব :
জামায়াতে ইসলাম >>>> গো ব্যাক পাকিস্তান ।
এবার আসি রাজাকার প্রশ্নে :বাশ গাছে নীচ দিয়ে বাশই বের হয় গোলাপ ফুল নয় । জামায়াত ইসলামের মতো একটা ধর্মব্যাবসায়ী,বিশ্বাসঘাতকদের দল রাজাকারের অবাধ বিচরন ভুমি হবে এতে অবাক হবার কিছু নাই ।
কেবলমাত্র রাজাকারই যদি মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা না করত তবে জান মালের ক্ষতির পরিমান অর্ধেকে নেমে অাসত বলে আমি মনে করি । ওরা পাড়া মহল্লায় একটা একটা করে মুক্তি খুজেছে,ওদের বংশ মেরে সাফ করেছে। আমার মা বোনদের পাকিস্তানের সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছে । সেইসব নরপশু,নরখাদক,পিতামাতার শুক্রানুর অপচয় কসাই কাদের,নিজামী,সাইদি,গুলাম আযম,সাকা,মোজাহিদ সহ সকল শুয়োরের বাচ্চার বিচার চাই না সোজাসুজি ফাসি চাই । আর যেগুলো ইতিমধ্যে মরছে তাগো মরোনত্তর পোন্দানী দেয়া হউক।
আমজনতার পাক্কা কথা :
বিচার চাই না ফাসি চাই
আতাত করলে রক্ষা নাই
আসেন এবার সংক্ষেপে ৩টি কঠিন প্রশ্নের সহজ উত্তর দেই ।
এই পোস্টটি সম্পুর্নভাবে যদি,কিন্তু,তবে বর্জিত । ত্যানাবাদী বা ত্যানা বিশেষজ্ঞ কেউ থাকলে এই মুহুর্ত থেকে তার চুলকানী শুরু হতে পারে । হাত সাবধান । খাউজানি,চুলকানী,দাউদ,পাচড়া একজিমার ঔষধ স্বপ্ন হতে পাওয়া যাচ্ছে একেবারে বাংলালিঙ্ক দামে !
প্রশ্ন এক :যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের বিচার (ফাসি নয়) আমিও চাই তবে তা নিরপেক্ষ আর সচ্ছ হতে হবে ।
উত্তর :জনাব, চেক আটকান । আপনার লেজ সামান্য বাইরে আসছে । প্রথমত পৃথিবীতে কোন যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আসামীর আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নাই । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের দেশে সেইটা আছে । এক সাইদি যে পরিমান রিভিউ আপিল করে সময় ক্ষেপন করছে তাতে তিনটা দেউয়ানী মামলার নিস্পত্তি হয়ে যায় ।
সবশেষ গোলাম আযম চার চারবার নিজের সাফাই সাক্ষী হাজির করতে ব্যার্থ হয়ে আবারও সময় চেয়েছেন !একজন যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জনগনের ট্যাক্সের টাকায় হাসপাতালে বসে আচার দিয়ে ভাত খাচ্ছে,মিনারেল ওয়াটার নিয়ে হাটাচল করছে,গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়াচ্চে আর আপনি বসে বসে নিরপেক্ষতার তেনা পেচাচ্ছেন !এরপরও যদি আপনার মনে হয় এই ট্রাইবুনাল নিরপেক্ষ সচ্ছ না তাহলে বলতেই হয় আপনি ছাগু সম্প্রদায়ের অন্তরভুক্ত এবং আপনার ঐ নিরপেক্ষ আর সচ্ছতার উপ্রে আমি খাড়াইয়া মুতি । আপনি হয়ত চাচ্ছিলেন হাজার হাজার মানুষকে বেনোয়েট খুচিয়ে চোখ উপ্রে গুলি করে যারা হত্যা করেছে তাদের ২/১ টা চটকনা দিয়ে ছেড়ে দিলে কিংবা দশবার কান ধরে উঠবস করলে ট্রাইবুনাল নিরপেক্ষ সচ্ছ হতো ।
প্রশ্ন দুই : রাজাকারের বিচার আমিও চাই কিন্তু তা সবার ক্ষেত্রে হতে হতে হবে । ৪০ বছর পুরনো একটা মিমাংসিত বিষয় নিয়ে জাতিকে এখন বিভক্ত করার কি আদতেই কোন প্রয়োজন আছে ?
উত্তর : জনাব আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে ত্যানা পেচিয়ে যে কথাটা বলতে চেয়েছেন তা হল শেখ হাসিনার বেয়াইও তো রাজাকার,মখা আলমগীরও রাজাকার । বিচার করলে এদেরও করতে হবে ।
প্রথম কথা হল শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশারফ রাজাকার ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয় তবে তার বাবা ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন । আর মখা আলমগীর যুদ্ধকালীন সময়ে সরকারী আমলা ছিলেন। ময়মনসিংহের ডিসি ছিলেন । যেমনটি ছিলেন বি এন পির এম কে আনোয়ার ঢাকার ডিসি । কথা সেটা নয় ।
অনুরোধ রইল এই দুই ব্যাক্তি সম্পর্কে উপরোক্ত তথ্য ছাড়া যদি যুদ্ধাপরাধের সরাসরি সংস্লিষ্টতার প্রমান থাকে তবে কমেন্ট বক্সে দিবেন দয়া করে । দ্বিতীয় কথা হল,আমরা বাংলা পরীক্ষার সময় বাংলা লিখি রসায়ন নয় । যেদিন রসায়ন পরীক্ষা হবে সেদিন না হয় রসায়ন লিখব । আজ যে দাবীতে এক হয়েছি সেটা না হয় আগে পুরন হোক তারপরের টা পরে ভাবা যাবে । তারপরও যদি মনে করেন শেখের বেটির বেয়াইরে এখনই ঝুলাই দিতে চান তবে অনুরোধ রইল তথ্য প্রমান নিয়া আদালতে মামালা ঠুকে দেন ।
সরকার গাই গুই করলে নয়া পল্টন কিংবা মগবাজারে নতুন জাগরনের সৃষ্টি করেন । যদি তা না পারেন তবে তেনা পেচানো বন্ধ করেন । তৃতীয়ত যুদ্ধপরাধ কোন মিমাংসিত বিষয় না । নতুন করে ব্যাক্ষা দেবার প্রয়োজন মনে করছি না । অন্যকথা বলি রাজনৈতিক দলগুলোর উপযপুরী ব্যার্থতার কারনে জামাততে লালন করা হয়েছে বছরের পর বছর।
ঐসব সার্থন্বেষী বালপাকা রাজনীতিবীদদের দিন শেষ । এখন নতুন সময় এসেছে । গত ৪০ বছর হয়নি বলে যে হতে পারবে না এমনতো কোন কথা নেই । যুদ্ধাপরাধের সাথে আপনারা সাগর রুনীর হত্যা মিলিয়ে ফেলেন । যদি বলি রাজাকারের বিচার হচ্ছে ৪২ বছর পরে তাইলে সাগর রুনীর বিচারও কি ৪০ বছর পরে হবে নাকি ?হুদা কামে ত্যানা প্যাচাইবেন না,গিট্টু লাইগা যাবে।
প্রশ্ন তিন :রাজাকারের বিচার আমিও চাই তবে যেখানে এই কথিক জাগরন হচ্ছে সেই শাহবাগ কেবল গাজাখোর আর বেশ্যাদের আড্ডা খানা । নাস্তিকের জমায়েত । বেলেল্লাপানা আর হিন্দুয়ানী আচারে ভরপুর । কোন মুমিন মুসলমানের ঐখানে যাওয়া উচিত না । ইমান হালকা হয়ে যেতে পারে।
উত্তর :জনাব আমি নিশ্চিত হইলা আপনি জন্মসুত্রে ছাগু । আপনি পলিথিক ছেড়ার ফল,অপরিকল্পনার ফসল । যুক্তিতর্ক আপনার সাথে যায় না । আপনার মাথা পাছা দুইটাই ছাগলের লাদিতে ভরপুর । তারপরও বলছি ।
স্বাধীনতার আগে এবং পরে বাংলার যত আন্দোলন হয়েছে তা সুচিত হয়েছে এই শাহবাগ এলাকায় । জাহানারা ইমামের আন্দোলন হয়েছিল এখানে । ৫২,৬২,৬৬,৬৯,৭১,৯০ সহ সকল আন্দোলনের সুতিকাগার এই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা । এইখানে সব গাজাখোর রা একত্রিত হয়েছে !মানলাম। আপনিতো মিয়া রক্তখোড়,নাড়ীখোড়,বাড়ীখোড় ।
কি করলেন এতদিন ?সারাজিবন কেবল ভ্যাজলিন লাগাইয়া উপুর হয়েই রইলেন !আজ যদি কিছু নেশাগ্রস্থ যুবক যুবতী আবর্জনা পরিস্কারের জন্য ঝাটা হাতে নেয় তাতে আপনার পাছা চুলকানোর কারন কি ?ওরা যদি গাজাখোড় হয় তবে আমার গাজাখোড় হইতে আপত্তি নাই তবু তোদের মতো জন্মখোড়,মানুষখেকো হতে চাই না । আজ লক্ষ লক্ষ গাজাখোড় সারা বাংলাদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে তোদের মতো মানুষখোড়রা যেন এই মাটিতে আর নিশ্বাস নিতে না পারে । আমার মা বোন যারা শাহবাগে যাচ্ছে তাদের আপনি বেশ্যা বলছেন !আপনাকে আমি কিছুই বলবো না তবে অনুরোধ করব আপনার ডি এন এ টেস্ট করান । প্রতিদিন মায়েরা তাদের মেয়েদের খাবার দাবাড় খাইয়ে শাহবাগে ধর্ষিতা হতে পাঠায়,প্রতিদিন বাবারা ছেলের হাতে ২০ টাকা দিয়ে শাহবাগে গাজা খেতে পাঠায় !তাই না মাদারি?আর আস্তিক নাস্তিক মারাচ্ছেন । বড়ো মুসলমান আপনি!মুসলিম হয়ে তো গত ৪২ বছরে আমার ৩০ লাখ মুসলিম শহীদ ভাইয়ের জন্য একদিন মিছিল করতে পারলেন না তার চেয়ে ওরাত অনেক ভাল ।
আমরা ওদের আদর্শের নই,বিশ্বাসের নই তারপরও আমার মুসলিম শহীদ ভাইদের হত্যার বিচারে মিছিল করে । কারন কি জানেন ?ওরা ভাবে এইডা আমাদের সকলের দেশ । হিন্দু মুসলমান আস্তিক নাস্তিকের না । আপনার প্রশ্নের সত্য মিথ্যা যাচাইয়ে গেলাম না । সত্য ধরে নিয়া উত্তর দিলাম ।
এইবার আমার আসল কথায় আসি :
বড় বেকায়দায় জামায়াত শিবির । স্বাধীনতার পর সবথেকে খারাপ সময় পাড় করছে তারা । বি এন পি এড়িয়ে চলছে । শীর্ষস্থানীয় নেতারা কারাগারে । মধ্যমসারির নেতারা দেীড়ের উপর আছে ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে । ওরা এখন কার্তিক মাসের কুকুর হয়ে গেছে । যাকে সামনে পায় তাকে কামড়ায় । সারাদেশে তারা অরাজকতা সৃষ্টি করছে । তাদের বাপ দাদার গাড়ী ঘোড়া ভাঙ্গছে,পুড়িয়ে দিচ্ছে।
মানুষ মারছে । সবথেকে আতঙ্ক জনক খবর হল এগুলো সব করছে চোরাগোপ্তা ভাবে । পুলিশ দেখলে হামলে পড়ছে । একটা নিষিদ্ধ গোষ্ঠি যেমন করে ঠিক তেমনি । বল নেই কওয়া নেই কোন আন্দোলন নেই মিছিল নেই কেউ একজন বাসে উপর একটিন কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিল ।
এটা রাজনৈতিক কর্মসুচী নয় । স্রেফ হত্যাকান্ড । পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে পাগল কুকুর সামলাতে । আসলেই সম্ভব নয় । এরা যেভাবে আক্রমন করে তাতে পুলিশের পক্ষে সত্যি নিয়ন্ত্রন করা কঠিন ।
মাত্র ১০ মিনিটের জন্য নেমে ভেঙ্গে চুড়ে ছাড়খার করে আবার পালিয়ে যাবে । এখন সময় এসেছে জনগনের জেগে ওঠার । কোন এক সময় মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে ডাকাত নির্মুল করতে লাঠি বাশি সমিতি করেছিল । প্রত্যেক ঘরে,প্রত্যেকে দোকানে,প্রত্যেক মোড়ে লাঠি থাকত আর বাশি থাকত । কোথাও ডাকাতির চেষ্টা হলেই বাশি বেজে উঠত ।
আর তাতেই জেগে উঠত পরো গ্রাম পুরো মহল্লা । এমনি গোটা বিশেক ডাকাত গনপিটুনিতে মারা যাবার পর গ্রামগুলো ডাকাত মুক্ত হতো । আজ সময় এসেছে জামাত শিবিরের হাত থেকে জান মাল রক্ষার জন্য আবারও লাঠি বাশি সমিতি করি । ওদের হাত থেকে আপনার আমার জানমাল নিরাপদ নয় । ওরা সাপের জাত ।
ধীরে চলে অথচ সুযোগ পেলেই ছোবল মারে ।
আসুন প্রত্যেকের ঘরে,দোকানে,মোড়ের চায়ের দোকানে হাতের কাছে লাঠি রাখি। একটা করে বাশি রাখি । শিবিরের হামলা দেখামাত্রই বাশি বাজাতে বাজাতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ুন। প্রতিরোধ করুন প্রতিহত করুন ।
দীপ্ত কন্ঠে বলুন
বীর শহীদের বাংলায়
রাজাকারের ঠাই নাই
জামাত শিবির রাজাকার
এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়
বাংলা কি তোর বাপদাদার ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।