জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই
ব্লগার মাহবুব মতিন আর নেই। ব্লগার হিসেবে তিনি যত পরিচিত, টিভি সাংবাদিক হিসেবে তিনি তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত। তিনি ব্লগে সময় দিতে পারতেন না সঙ্গত কারণেই। একজন টিভি সাংবাদিককে ঘুম আর খাওয়ার সময় বাদে বাকি পুরোটা সময়ই তার পেশার পেছনে ব্যয় করতে হয়। অত্যন্ত ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি ব্লগিং করতে চেয়েছিলেন এবং সামুর একজন ব্লগার ছিলেন।
তাঁর মৃতু্যর কথা শুনে সবাই অবাক । মাত্র ৩৮ বছর হয়েছিল তাঁর। যেদিন তিনি মারা যান, সেদিন তাঁর স্ত্রী সন্তানসহ বেড়াতে গিয়েছিল তার বাবার বাড়িতে। রাতে একা বাড়িতে ছিলেন মাহবুব মতিন। সেখানে রাতে কোন এক সময় ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
পর দিন তাঁর স্ত্রী এসে সাড়া না পেয়ে চ্যানেল আইয়ে ফোন করে তার সহকর্মীদের ডেকে আনেন। তারা দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় খাটে শোয়া তার লাশ।
বড়ই অকালে তার এই প্রয়াণ। বলা যায়, জীবনের মধ্য গগণে তিনি অস্তমিত হলেন। কিন্তু তিনি তো আর সাধারণ মানুষ নন, একজন টিভি সাংবাদিক।
সারা দেশের মানুষ তাঁকে চেনে। তাই তাঁর অকাল মৃতু্যতে সারা দেশে হাহাকার ওঠে। ব্লগেও তার ঢেউ এসে লাগে।
আমরা যারা আম-ব্লগার, পড়ে আছি মনের টানে এখানে, একদিন আমরাও কোন এক মহেন্দ্রক্ষণে চলে যাব পরপারে। কেউ জানবে না, কেউ শুনবে না, কেউ বুঝবে না, একজন আম-ব্লগার কখন নীরবে জীবনের ওপারে চলে গেছেন।
কেবল দিন কাটবে। তাঁর নিক নিয়ে আর কেউ লগ ইন করবে না। সেই পাসওয়ার্ড আর কারও জানা নাই। পাসওয়ার্ড তাঁর মস্তিষ্কে ধারণ করে তিনি চলে গেছেন। অতি পরিচিত কোন ব্লগার হয়তো কোন এক মুহূর্তে ভুল করে একটা পোস্ট দেবে --- অমুক ব্লগারকে দেখি না কেন ? সে প্রশ্নের উত্তরও কেউ দেবে না ।
তারপর সবাই এক সময় ভুলে যাবে। ভুলে যাবে তার নাম, ভুলে যাবে তার নিক। ভুলে যাবে এই মিলন মেলায় সেও একদিন ঝড় তুলেছিল।
কেবল তার লেখাগুলো পড়ে থাকবে, অনেক গল্প, মন্তব্য আর স্মৃতির গন্ধ নিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।