একদিন-প্রতিদিন
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সিটিসেল ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ০-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিলেট বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব।
এটা একটা চমক ফুটবল দর্শকদের কাছে। কারণ বিয়ানীবাজারের কেউ এর আগে জাতীয় দলে খেলারও সুযোগ পায়নি। দল হিসেবেও কখনো জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেয়নি। ফুটবলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার যে স্বপ্ন দেখছেন বর্তমান বাফুফে কর্মকর্তারা তারই সুযোগে সিলেটের প্রবাসী অধু্্যসিত বিয়ানীবাজারের এক ঝাক তরুণের স্বপ্ন আর প্রবাসীদের অর্থকে সম্বল করে এগিয়ে চলেছে বিয়ানীবাজার।
বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড় কোচ কর্মকর্তারাও এতদূর চলে যাবেন প্রথম সুযোগেই তা ভাবেনি। টার্গেট ছিল সুপার এইট। দলের এতদূর চলে আসায় বিয়ানীবাজারের সবাই ফুটবল দলকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরম্ন করেছে। সামনে পেশাদার লীগ। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে যতটুকু অর্জন এসেছে সেটা পুজি করে পেশাদার লীগের জন্য পরিকল্পনা আরো বড় করতে চান।
সেমিফাইনালে দেখা হবে ঢাকা আবাহনী অথবা শেখ রাসেল এর সাথে। গ্রম্নপ পর্বে শেখ রাসেলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব। এসব নিয়ে ভাবছেন না বিয়ানীবাজার ফুটবল দলের কোচ জসিম উদ্দিন জোসির। যে দলই সামনে আসুক, তাদেরকে মোকাবিলা করার মানসিক প্রসত্মুতি নিয়ে মাঠে নামবে তার দল।
কিন' সমস্যা রয়েছে, গতকাল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরম্নদ্ধে আফ্রিকান ফুটবলার মোহাম্মদ কনটি বাঙ্গুরা ২ হলুদ কার্ড পাওয়ায় সেমিফাইনালে নামতে পারছে না।
সেমিফইনালে উঠায় যতটা আনন্দ তার চেয়েও ঢের বেশি দুর্ভাবনা দলে খেলোয়াড়ের সংখ্যাটা পর্যাপ্ত নয়। রিজার্ভ বেঞ্চ প্রায় ফাঁকা থাকে। খেলোয়াড় সংকট ভাবিয়ে তুলছে কোচ জোসিকে। এটারও অবশ্য একটা ব্যাখ্যা আছে। বি লীগকে টার্গেট করেই গড়ে উঠেছে বিয়ানীবাজার স্পোর্টিং ক্লাব।
এ কারণে দল গুছানোর কাজটাও শেষ হয়নি।
বড় চমক হচ্ছে- চার খেলায় বিয়ানীবাজারের জালে এখনো কোনো বল ঢুকেনি। এখনো অপরাজিত বিয়ানীবাজার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।