কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
প্রতিদিন খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে। যুক্ত হচ্ছে ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন মাত্রার বিলাসী খাদ্য তালিকা। কিন্তু আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি পুষ্টিকর খাবার গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। নগরজীবনে বর্তমান প্রজন্মের অনেক মানূষ ভূলতে বসেছে সেই সহজ সরল পুষ্টিকর নানা উপকরণে ঠাসা বাঙ্গালীর রসনা তৃপ্তির বাহার।
সবাই ব্যাস্ত, সময়ের অভাবের কারণে অনেকে ফাষ্টফুডের দোকানের খাদ্যের উপড় নির্ভরশীল।
প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকায় যুক্ত হচ্ছে কে এফ সির মতো অনেক উন্নত মানের খাবার।
আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহি খাবারের প্রতি আকর্ষন বাড়ানো এবং তার পুষ্টির বিচারে বর্তমানের অনেক উন্নত খাবারের সাথে পাল্লা দিতে পারবে বলে মনে করি।
অতি মাত্রায় নগরজীবনে অভ্যাস্ত হয়ে উঠায় জীবনের গতির সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে জীবনের ব্যায় অনেকাংশে বেড়ে যাওয়ায় নুতন সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে মানূষ। অনেক ক্ষেত্রে তাকে উত্তরন বলা যায় কিন্তু তার মাত্রা কতটুকু। যে নগর জীবন চাইনিজ বা বার্গারে সীমাবদ্ধ থাকার কথা অথবা নুডলস পর্যন্ত তার মাত্রা অতিক্রম করে প্রতিদিন আরেক নুতন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে।
সংকটের কথা বলছিলাম, ধরে নেয়া গেল আগামীকাল সকালে উননের পাশে গিয়ে দেখলেন গ্যাস নেই।
বাসার গৃহিনীর মাথায় হাত। এখন উপায় ! হোটেল থেকে খাবার বা নাস্তা কিনে আনা হলো। এবং সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
এছাড়া অতিরিক্ত ব্যায়ে খাবার কিনে খেয়ে কোন কোন পরিবার হয়ে উঠে ঋণ গ্রস্থ ।
যা সামাজিক অর্তনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আপাতত কিছু পরিবার।
সমষ্টিক ভাবে যদি আমরা আমাদের ফুড কালচার চেন্জ করতে পারি তাহলে শরির এবং স্থাস্থ্যের জন্যে খুব ভালো হবে এবং সেই পরিবার গুলোর অর্থ সাশ্রয় হতে পারে।
যেমন মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো যদি আমাদের চিরাচরিত সেই পুরোনো খাবারের প্রতি ঝুকে যা সংরক্ষন ব্যায় অতি অল্প । ঝামেলা বিহীন সেই চিড়া মুড়ি অনেক উন্নত এবং পুষ্টিকর। শীতের পিঠা , তৈরী করে রাখা যায় এক সপ্তাহের জন্যে ,তার সাথে প্রতিদিন সকালে তরতাজা ফল বা খেজুর কাচা গাজর টমেটো কলা পেয়ারা শশা এই সব খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলা যাহাতে উনুনের পাশে যেতে না হয়।
এছাড়া সংযুক্ত হতে পারে রেডিমেড শুকনো আরো অনেক খাবার যা কয়েক মাস সংরক্ষন করে রাখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।