যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনা আমার এই দেশের মাটি,
কেমন করে থাকবে হয়ে যুদ্ধপাপীর ঘাঁটি?
রইবো যদি অন্ধ হয়ে, এই দুরাচার নিয়ে,
কি লাভ হলো মুক্তিসেনার, নিজের জীবন দিয়ে?
হায়রে কপাল! স্বাধীনতার সাঁইত্রিশ বছর শেষে,
পিশাচগুলো আজো আছে গোপন ছদ্মবেশে!
এই পাপীদের সুষ্ট বিচার করবে কি সরকার?
পেরিয়ে গেলো আরো ৯ টি মাস, আর কত দরকার?
- ১৪ই ডিসেম্বরের দল
(মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ নবীন প্রজন্ম)
www.14december.org
বাংলার স্বাধীনতা অনেক হাত ঘুরে ১৯৭১ এ আবারও বাঙ্গালীদের অর্জনে আসে। আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি আজ প্রায় ৩৮ বছর হলো, এতদিন পরও আমরা দেখি, যে দেশ আমরা এত ত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি, সেই দেশে এখনও বাংলা সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের শত্রুরা স্বক্রিয়। এখনো অনেকেই এই দেশে আমাদের বাঙ্গালী অস্তিত্ব মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে এই ঘটনা আবারো ঘটতে পারে। যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে কথা বলবে, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকেই হত্যা করতে চাবে।
আর আমরা যদি ঘরে বসে থেকে শুধু হা...হুতাশ করি, তবে তারা আরো সক্রিয় হবে। যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদেরকে এই দেশের জন্য চিন্তা করতে শিখায়, দেশপ্রেমে অনুপ্রানিত করে প্রকৃ্ত বাংলাদেশী হতে উৎসাহ দেয়। আর যখন নিজেকে বাংলাদেশী বলে গৌরববোধ করতে শুরু করি তখন ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণীত সকল অপকর্ম আমাদের মাথা নত করে দেয়। কারন এখনো এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীরা মাথা উঁচু করে আছে।
তাই আমরা সজ্ঞানে স্বতস্ফুর্তভাবে বলতে চাই "আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" এবং এখনো যারা আমাদের ইতিহাস সংস্কৃতি তথা স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চায়, তাদেরকে প্রতিহত করতে চাই। আর স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতিকে মানুষের মনে আরো তিব্রভাবে জাগ্রত করতে চাই।
এই অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা থেকে "১৪ই ডিসেম্বরের দল"- এর জন্ম। "১৪ই ডিসেম্বরের দল" একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন। কয়েকজন ফেইসবুক (একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট) ব্যবহারকারী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু গ্রুপে নব্য রাজাকারদের সাথে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সাইবার ওয়ার করার সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাদের অন্তরে আরো তিব্রভাবে জাগ্রত হয়।
৭১' সালের যুদ্ধাপরাধীদের আজো বিচার না হওয়া তাদের নিজেদেরকেও লজ্জিত করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অন্তরে ধারন করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে শুরু হয় পথ চলা। বহু মাসের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার পর ফেইসবুকে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কয়েকটি গ্রপে একটি সভা আহবান করা হয়। বিপুল সংখ্যক ফেইসবুক ব্যবহারকারী এই ডাকে সাড়া দেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের লক্ষ্যে জনসচেতনতা তীব্র করা এবং তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে সমমনা মানুষদের নিয়ে ১৪ই নভেম্বর, ২০০৮ ইং তারিখে গঠিত হয় "১৪ই ডিসেম্বরের দল"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।