ফ্রেমে ফাগল....
সিরিয়াল কিলার দের মোটিভ সাধারণত: চারটি ভাগে বিভক্ত।
১. কল্পবিহারী আধ্যাত্মিকতা
২. প্রেষণা
৩. সুখানুভুতি (যৌনতা, রোমাঞ্চ ও তৃপ্তি)
৪. ক্ষমতা
কল্পবিহারী আধ্যাত্মিকতা: এই ক্ষেত্রে খুনি মনে করে যে, সে প্রকৃতি/ঈশ্বর/শয়তান কতৃক একজন প্রেরিত পুরুষ/নারী। তার মধ্যে বিশেষ একটা শক্তি আছে এটা সে মনে করে।
হারবার্ট মুলিন নামে এক সিরিয়াল কিলার মনে করত যে, বিরাট ভুমিকম্পের কারনে পুরো ক্যালিফোর্নিয়া পানির তলে চলে যাবে তাই যত বেশি মানুষ হত্যা করে তাদেরকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে কোরবানী দেয়া যাবে ততো কম ক্ষয়ক্ষতি হবে ক্যালিফোর্নিয়ার। আরেকজন সিরিয়াল কিলার হচ্ছেন ডেভিড বার্কোভিচ, যে দাবি করতো পড়শির কুত্তা তাকে খুন করার জন্য চাপ দিত।
কারন ঐ কুত্তার মধ্যে নাকি শয়তানের আত্মা এসে ভর করত।
প্রেষণা: এই ধরনের মোটিভে খুনি সাধারণত: বর্ণবাদী হয়ে থাকে। নারীবিদ্বেষ, পুরুষবিদ্বেষ, অন্য ধর্মাবলম্বী ও গায়ের রং এর উপর বিদ্বেষ এবং তাদের কে পৃথিবী থেকে সংখ্যা হারে কমানো তাগিদ এই খুনি দেরকে তাড়িত করে। যেমন, টেড কাজিনস্কি নামে একজন সিরিয়াল কিলার যে ১৯৭৮ সালে আমেরিকা জুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং এয়ারলাইন্সে বোমা হামলা করে এই যুক্তিতে যে, টেকনোলজী এবং এর ব্যবহারের মানব জাতির জন্য ক্ষতিকর।
সুখানুভুতি:
যৌনতা: সুখানুভুতি খোঁজার ক্ষেত্রে শিকারের সাথে যৌন সম্পর্ক বা ধর্ষন এবং পরবর্তীতে লাশ নিয়ে আনন্দে মেতে উঠা বা লাশটিকে খন্ড খন্ড টুকরা টুকরা করা এ ধরনের সিরিয়াল কিলারদের বৈশিষ্ট্য।
জ্যাক দা রিপার এরকম এক খুনি ছিল।
রোমাঞ্চ: এই ক্ষেত্রে সিরিয়াল কিলার তার শিকারকে শারিরিক ভাবে অত্যাচার করে। যেমন, জীবিত অবস্থাতেই আঙ্গুল কেটে ফেলা, যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা, হাত পা কেটে ফেলা এবং শিকার যত ব্যাথাতে চিৎকার করে খুনির রোমাঞ্চকর সুখানুভুতি ততই বৃদ্ধি পায়। রবার্ট হানসেন নামে একজন সিরিয়াল কিলার ছিল যে তার শিকার কে বেঁধে এনে সমুদ্রের পাড়ে ছেড়ে দিত। তারপর তাকে হারপুন দিয়ে দৌড়ায়ে দৌড়ায়ে খোঁচায়ে খুন করত।
জাগতিক তৃপ্তি: জীবনে পার্থিব সুখ সাচ্ছন্দের জন্য মুলত এই খুনিরা খুন করে। খাবার বিষ মেশানো, ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া এইসবের মাধ্যমে সিরিয়ালি খুনিরা সাধারনত: নারী হয়। তবে সব নারী সিরিয়াল কিলার আবার এই গ্রুপের না ও হতে পারে। ডরোথি পুনটে এরকম একজন সিরিয়াল কিলার যে কিনা, তার ভাড়াটিয়াদের খুন করত সিকিউরিটি চেক এর জন্য এবং বাড়ীর পেছনের দিকে তাদের কে মাটি চাপা দিয়া রাখত। এইচ, এইচ হোমস ইন্স্যুরেন্স ও ব্যবসায় লাভের জন্য খুন করতো ।
ক্ষমতা: এই সিরিয়াল কিলার রা মনে করে তারা খুনের মাধ্যমে তাদের শিকারদের শরীরের শক্তি বা ক্ষমতা তাদের মধ্যে প্রবাহিত হবে।
টেড বান্ডি এরকম একজন সিরিয়াল কিলার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।