আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মা ( মিনিপ্যাক গল্প )



কালা মিয়া অনেক দিন চেষ্টা করেও হনুফা বুয়াকে বাগে আনতে পারেনি। এই মেসে তার ১২ বছর। কালা, ধলা, ছোট, বড়ো কোন বুয়া তার খপ্পর থেকে বাঁচতে পারেনি। একবার যে কাত হয়েছে সে আর কোন গোলমাল করেনি। তবে সবাই বিয়ে করার জন্য যখনই চাপ দিয়েছে তখনই সেটা থেকে বাঁচার জন্য বাইট্টা মনিরের দরবারে তসরিফ নিতে হয়েছে।

এই হনুফা যে কেন এমন বেরসিক, সে জানে আর তার খোদা জানে। অথচ হতভাগিনী জানে না সে কী হারাচ্ছে। -কালা মিয়ারে চিনলি নারে হনুফা । বউতো কতোবার বলছে ছুটির খবর পাইলে তার নাকি ভয়ে হাত পাও ঠান্ডা হইয়া আসে। এইটা ভাবে আর কালা মিয়ার ছোট্ট বুক গর্বে তিরিশ হাত ফুলে যায়।

হনুফাকে যদি বউয়ের কথাটা শোনাতে পারতো। এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ চোখ তুলে হনুফাকে সামনে দেখে কালা মিয়ার চোখ কপালে উঠে গেলো। খুশিতে তার চোখ প্লাবিত হয়ে গেলো। কিন্তু হনুফার আজকের চোখ সে ঠিক মতো পড়েনি। শেষ হওয়া পানের সাথেই আয়েস করে আবার চুন মুখে দিয়ে একটা পিত্তিজ্বালানো হাসি ছড়িয়ে দিলো-- -কী গো হনুফা বিবি, হঠাৎ কী মনে কইরা ? - ৫০০ ট্যাকা দেও।

-৫০০ ক্যান তুমি চাইলে ৫০০০ দিমু। তুমি তো আবার ট্যাকা দেখতে পারো না ! -ট্যাকা দিবা না কি কও ! -এতো চ্যাতো ক্যান ? না তো করি নাই। -আমার ঢং দ্যাখার টাইম নাই। মাইয়্যাডারে এক্ষনই ডাক্তরের কাছে নেওন লাগবো। -ট্যাকা দিমু।

কিন্তু .... গোখরো শাপের মতো ফনা তুলে হনুফা হাত বাড়িয়ে দিলো !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।