নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম আনন্দ!
প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই পোস্ট টি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে সাতক্ষীরার সর্বপ্রথম বাংলা ব্লগ এ দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন পোস্ট টি করেছেন জিল্লুর রহমান শোভন।
গুড়পুকুরের মেলার ইতিহাসঃ সাতক্ষীরা এলাকার বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায় যে, প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষ দিন শহরের পলাশপোল স্কুলের উত্তর-পশ্চিম কোণের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা পূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করেই ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে গুড়পুকুরের মেলা। তবে প্রতি বছরই মেলার সময় ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে জেলাবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয় সাতক্ষীরা শহর। তবে দুঃখের বিষয় গত ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালে শহরের একটি সিনেমা হল ও সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে একটি সার্কাসের প্যান্ডেলে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জঙ্গিদের বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং শতাধিক লোক আহত হয় আর এর পর থেকে ছয় বছর বন্ধ ছিল এই মেলা।
তবে সাতক্ষীরা পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী এ মেলা বসছে শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ রাজ্জাক পার্কে। তবে এর আগে মেলা চলত মাসব্যাপী। মেলার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় আমার নিজের অভিজ্ঞতাঃ গত শুক্রবারে মেলা শুরু হলেও আজ ছিল তার পরের শুক্রবার। ২০০২ সালের পরে এই প্রথম এত ভিড় দেখলাম মেলাতে।
যদিও ২০০২সালের ঐ ঘটনার আগে যখন মেলা হত সেটা আরও জমজমাট হত। তবে আগে মেলা হত সাতক্ষীরা শহরের পুরো রাস্তা জুড়ে তবে এবার হচ্ছে সাতক্ষীরার প্রাণ কেন্দ্র শহীদ রাজ্জাক পার্কে। আর জায়গা টা খুব বেশি বড় নয় আর আজ যেহেতু শুক্রবার, তাই মেলাতে ছিল অনেক ভিড়। মেলার ভিতরে দাড়ানোর যায়গা ছিল না। ভাবলাম কিছু স্থির ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
কিন্তু সেই এতই ভিড় ছিল যে পকেট থেকে ক্যামেরা বের করতেই ভয় পাচ্ছিলাম। তাই ভালো করে ছবি তুলতে পারিনি। কোন রকমে একটা ফাকা যায়গা দেখে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেললাম দু-একটা। এছাড়া মেলাতে ছিল ভিভিন্ন রকম দোকান-পাট। ছোট থেকে শুরু করে বড়দের জিনিস সহ বিভিন্ন ধরনের খাবার।
আসুন দু-একটা ছবি দেখে নেওয়া যাক।
সাতক্ষীরাতে আছেন অথচ যারা এখনও মেলা দেখতে যাননি তারা জলদি চলে আসুন। আর মেলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন সাতক্ষীরার সর্ব প্রথম বাংলা ব্লগ সাতক্ষীরা ডট লিংকইনওয়ার্ল্ড এ।
পোস্ট টি ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।