প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)
চট্টগ্রাম শহর হতে সাপের মত একেঁবেকেঁ চলে গেছে একটি সড়ক। কাপ্তাই সড়ক। শহরতলি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান-রাঙ্গুনিয়ার সঙ্গমস্থলে ১৬১ একর জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের চারটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। চুয়েট।
চুয়েট নাম টির বয়স হয়ে গেল ছয় বছর। তবে,এই প্রতিষ্ঠান টির বয়স আরো বেশী।
১৯৬৮ সালের কথা। বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাত কে সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম ইন্জিনিয়ারিং কলেজ।
১৯৮৬ সালের ১২ ই মার্চ একে স্বায়ত্বশাসিত বিআইটি তে রুপান্তর করা হয়।
পরের অংশটুকু ইতিহাস। ২০০৩ সালের ১২ই মে মহান জাতীয় সং সদে একটি বিল পাস হয়। এতে বলা হয়,বিআইটি চট্টগ্রাম কে তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণার আঞ্ছলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই পথপরিক্রমায় ২০০৩ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
দেখতে দেখতে ছয় বছর পেরিয়ে গেলো।
রমজানের ছুটির কারণে আজ পালিত হচ্ছে চুয়েটের ষষ্ঠ জন্মোৎসব।
পদাধিকারবলে চুয়েটের চ্যান্সেলর হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান।
গত ছয় বছরে তিন জন ভাইস-চ্যান্সেলর কে পেলো চুয়েট।
১.প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক (২০০৩-০৪)
২.প্রফেসর ড.মীর শহিদুল ইসলাম (২০০৪-০৭)
৩. প্রফেসর ড.শ্যামল কান্তি বিশ্বাস(২০০৭- )
চুয়েটে বর্তমানে মোট তিন টি অনুষদে দশ টি বিভাগে পাঠদান করা হয়।
১.প্রকৌশল অনুষদ- যন্ত্রকৌশল বিভাগ,পুরকৌশল বিভাগ,পদার্থবিদ্যা বিভাগ,রসায়ন বিদ্যা বিভাগ,গণিত বিভাগ এবং মানবিক বিভাগ।
২.তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদ-তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্সকৌশল বিভাগ এবং কম্পিউটার কৌশল বিভাগ।
৩.স্থাপত্য ও নগর অন্ঞ্চল পরিকল্পনা অনুষদ- স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগ এবং নগর ও অন্ঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ।
এরমধ্যে স্থাপত্য ও নগর অন্ঞ্চল পরিকল্পনা অনুষদ এই বছর ই প্রথম যাত্রা শুরু করেছে।
উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে চুয়েটে বিএসসি,এমএসসি,এম ফিল,পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ আছে।
চুয়েটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল হয়ে আছে কিছু সংগঠন।
জয়ধ্বনি। চুয়েট ডি.এস। গ্রীন ফর পীস।
চুয়েটে হলসংখ্যা মোট পাঁচ টি। চার টি ছেলে দের,একটি মেয়ে দের।
শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল,শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা হল দুটির নামকরণ করা হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী চুয়েট ছাত্র দু'জন মুক্তিযোদ্ধার নামে। একটি হলের নামকরণ হয়েছে ড.কুদরাত-ই-খুদার নামে। ছেলেদের একটি হল ও মেয়েদের হলের নামকরণ যথাক্রমে সুর্যসেন হল ও প্রীতিলতা হল করার দাবী থাকলেও অদৃশ্য কারণে নামকরণ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
চুয়েটের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পাহাড়,লেক ঘেরা সবুজে ঢাকা চুয়েটের এরিয়া নানা প্রজাতির পাখির ডাকে মুখর থাকে সারাক্ষণ।
ইট কাঠের বেড়াজাল পেরিয়ে এখানে তরতাজা নিঃশ্বাসের আছে নিশ্চয়তা।
চুয়েট সম্পর্কে জানতে লগ ইন করতে পারেন চুয়েট ওয়েবসাইট ।
চুয়েটের ষষ্ঠ জন্মোৎসবে সবাইকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা। সাথে চুয়েট ঘুরে যাবার আমণ্ত্রণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।