ঘুরে বেড়ানো আমার প্রিয় শখ গুলির অন্যতম। বর্তমান চাকুরীতে জয়েন করার পর এক হিসাবে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা (৩টি বাদে) ঘোরা হয়ে গেছে অফিসের কাজে। গত ২৮ জুনের পরে বেরিয়েছি মাত্র দু' একদিনের জন্য। কারন অবিরাম ঘোরাঘুরি করতে করতে হাফিয়ে উঠেছিলাম। আর সংসারের ঝামেলা থাকায় এখন আর ট্যুর করতেই মন চায় না।
আজ কিছুক্ষণ আগে আমার বস ডেকে বললেন সবাইকে তো ফাইনান্সিয়াল বিষয়ে অনেক সহযোগীতা করলেন, প্রজেক্ট ও প্রায় শেষের পথে এবার একটু আর্থীক মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন। আগামী দেড় মাসে (ঈদুল আযহা এর আগে) সব সহযোগী প্রতিষ্ঠান গুলিকে একবার বাঁজিয়ে দেখেন সব ঠিক আছে কি না।
শুনে তো আমার মাথায় হাত। দেড় মাসে ২৫ টা প্রতিষ্ঠানকে অডিট করা। বললাম, একদিনে একটি প্রতিষ্ঠান অডিট করা প্রায় অসম্ভব।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি সমাধান ও দিলেন। সব প্রতিষ্ঠানকে একটি মেইল করে এবং চিঠি দিয়ে আমাদের রিকোয়ারমেন্টগুলি জানিয়ে দেন এবং ট্যুর প্লান করে কপি দিয়ে দেন। তারা সেগুলি আপনি যাওয়ার পূর্বেই এনসিওর করবে এমনভাবে চিঠিতে লিখুন। আর ১৫ তারিখের পর থেকে বেরিয়ে পড়ুন আপনার কাজে।
এখন ট্যুর প্লান করতে গিয়ে দেখি অবস্থা কেরোসিন, অক্টোবর এবং নভেম্বরে আমার অন্যান্য (অফিসিয়াল এবং পারসোনাল) যে সব কাজ রয়েছে তা করতেই ২০ দিনের মত সময় লাগবে।
কিযে করব বুঝতে পারছি না। কারন এ ট্যুরে আমাকে নীচের জেলাগুলি ভ্রমণ করতে হবে তা ও রিমোট এরিয়া।
১. গাইবান্ধা ২. নীলফামারী ৩. রংপুর ৪. কুড়িগ্রাম ৫. চট্টগ্রাম ৬. কুমিল্লা ৭. নোয়াখালী ৮. টাঙ্গাইল ৯. খুলনা ১০. বাগেরহাট ১১. যশোর ১২. ঝিনাইদহ ১৩. চুয়াডাঙ্গা ১৪. সাতক্ষীরা ১৫. পিরোজপুর ১৬. ঝালকাঠি ১৭. বরিশাল ১৮. সুনামগঞ্জ ১৯. মৌলভিবাজার ২০. নেত্রকোনা ২১. গোপালগঞ্জ
---------------------------------------------------------
এখন সত্যি সত্যি আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, কি করে এত অল্প সময়ে এতগুলি জেলা ভ্রমণ করব। আর অল্প সময় নিয়ে গেলে অফিসের কাজ হয়ত হবে, কিন্তু আমার কাজ যে কিছুই হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।