সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
অবক্ষয়ের দিনগুলোতে ভাগ্যের চৌকাঠে হেলান দিয়ে
যখন আমরা নিঃশ্বাসের শেষ অক্সিজেনটুকুর অপেক্ষা করছিলাম,
আমাদের কর-এ গোণা সেনাপতিরা যখন আত্মসমর্পনের গ্লানির প্রতিবিধানে
শাহাদাত খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন,
মুসলিম হত্যাকে প্রতিদিনের খুব সাধারণ কাজ হিসেবে যখন
রীতিমত অবহেলার তালিকায় উঠিয়েছিল;
ঠিক তখনি তাতার সেনাপতিরা কালেমার সুঘ্রাণ পেতে শুরু করে।
পৃথিবী লিখেছে ইতিহাস;
শুধু আমাদের একটা বিরাট অংশ তখন ছিল অবর্তমান।
একদার হন্তারক আগ্রাসী বাহিনী এখন সুশাসক,
স্রষ্টা যেন নেড়েচেড়ে অযোগ্য আর গাফেলদের থেকে
ঝেড়ে নিংড়ে পরিশুদ্ধ করে নিলেন তাঁর প্রিয় পৃথিবীকে।
তারপর বহুদিন কেটে গেল সাধনার সাথে কিঞ্চিত সংগ্রামে,
শামুকের গতিতে আবারো হেলা’র অনুপ্রবেশ ঘটলো
তাওহীদের জনপদে, অন্তরে, কর্মে ও শ্রমে।
তাতারের ভূমিকায় এবার ইয়াহূদী এবং নাসারা,
যেন তাওহীদ পন্থীরা এক সুস্বাদু খাবার
আলো-আঁধারের আবর্তে সাজানো জগৎময় টেবিলে;
ওরা পরস্পরকে ডাকছে- খেতে আয় বন্ধু!
ফিলিস্তিনের শিশুদের তুলতুলে শরীরের কাবাব
লক্ষ লক্ষ নারী-পুরুষের রক্ত যেন শরাবের মত সুপেয়
আর ভূখন্ডগুলো এক একটি নৈশক্লাব!
তখনো তুমি মুসলমান!
তবে তাই হোক…….
মৃত্যুই হোক তোমার ঘুম ভাঙ্গানোর ঘন্টা!
সহসাই শোনা যায় কিছু কাতর কণ্ঠস্বর!
বিগলিত অশ্রুতে শশ্রূসিক্ত বদনগুলো যেন পৌঁছে গেছে ওপারে…
তবু কানপেতে ক্ষীণ কণ্ঠের শোনা যায় স্বর-
“প্রভু হে!
অতঃপর আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না,
যা বহন করার শক্তি মোদের নাই।” (সূরা আল-বাকারা: ২৮৬)
আমি নিরবে তাদের মাঝে হারিয়ে গেলাম…
কেননা, মুসলিম যুবক হিসেবে আমি এক পরিপূর্ণ কলংক!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।