বাঙলা কবিতা
বাতাস বিষয়ে আরও একখানা শিশুপাঠ্য
বাতাস জানে না___ তার গতি নেই, কতোটা স্থবির এই
বস্তুর গো-বেচারা আদর্শ উপমা ! নিজেরই শৈশব দেখে
জবুথবু, ভয় তাকে হিম করে তোলে; গলিত কৈশোর দেখে
চিনতে পারে না। তাপে-চাপে কোথাও শূন্যতা থেকে
সঞ্চারিত বেগ তাকে চঞ্চল, অস্থির করে দিলে___
ভাবে___এই প্রমত্ততা তার, একান্ত নিজের; নিজেকে সে মদমত্ত
দানব-দোসর ভেবে পুলকিত, ফুল্ল হতে থাকে, নৃত্য করে...
ঝড়েরও তাণ্ডব থেমে যায়, বৃষ্টি থামে; বৃক্ষ তার ডাল থেকে,
প্রশাখা ও পত্র থেকে___ ঝেড়ে ফ্যালে উটকো উন্মাদনা, গতস্য শোচনা
আর বৃষ্টিরও দাগ___ ঋজুতায় ঠিকঠাক উঁকি তার উলম্ব-অসীমে___
তখন বাতাস স্থিতু; জল কিংবা বরফের রূপভিন্নতায়, ফিকে;
শিশুদের পাঠশালা___ পরীক্ষাগারের ছকে, উদাহরণত
শিশুপাঠ্য বিজ্ঞানের হাস্য-কৌতুক। সেই দর্পিত বাতাস-শিশু।
এতো জ্ঞান, এতো এতো অনুবাদ নিয়ে স্তব্ধ, নিহিত বাতাস
বৃক্ষের কানে কানে বিগত দর্পের কথা বলে, আহা !
পদ্য পদ্য ! নিরীহ সন্ত্রাস !
নিহিতার্থে বৃক্ষ কিন্তু শেকড়সজ্জিত___ মৃত্তিকাসহিত্য, আর
শিল্প আরাধনা___
বারংবার আক্রান্ত, বিজয়ী...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।