আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!
: কি নাম?
মনের মাঝে জাইগা উঠলো একখান কথা, "ব্যাটা নাম দিয়া কি কাম?"
তাও ভদ্র ভাষায় দাদার দেয়া পুরা নামটা কইলাম। এই দাদাজান মইরা গিয়াও অমর হইয়া আছেন আমার দিলে। যখনই নাম জিগায় তার চেহারা আর সেই পিটানি খাওয়া ভোর বেলা মনে পইড়া যায়। মাঘ মাসের শীতের ভোরে আমারে ঘুম থিকা উঠায় নিয়া বাপে আর দাদায় মিল্লা আম্মাজানের ফুসমন্তরে দিলো স্কুলে ভর্তি করাইয়া।
বদনসিব সেইখান থিকাই হইলো শুরু!
যাই হোউক, মুখ খিচা ইন্ডিয়ানটায় কইলো," তাইলে রনি কেডা?"
মন চাইলো কই " তোর বাপ"...যাই হোউক মেলা কস্টে নিজেরে সামলাইয়া কইলাম," এইডা আমার নিক, সবাই এইনামেই ডাকে!"
: কিন্তু এইটাতো মুসলিম নাম না! তুমি নামাজও ঠিক মতো পড়ো না। তুমি তো দেখি সত্যিকারে মুসলিম না!
এমনেই বাইরে ঠান্ডা হাওয়া তার উপর আজকা আন্ডিয়া পইড়া বাইর হইতে ভুইলা গেছি। ঐজায়গায় ঠান্ডা লাইগা জইমা যাওয়া মানে সাড়ে সর্বনাশ। শুনছি এইখানে নাকি আঙ্গুল যদি একবার জইমা যায় তা হইলে ঐটা কাইটা বাদ দেয়া হয়, তাও ফ্রী অফ কস্ট চিকিৎসায়! তবুও সাড়ে সর্বনাশ।
এরকম টানাটানি কন্ডিশনে যদি কেউ ধর্ম নিয়া টানাটানি করে, তারে যে কি কইতে কম চায় সেইডা মাথায় না আইলেও মুখে আইলো," শুনো ভাইডি, ক্লাশ ফাইভে থাকতে মুসলমানী করাইয়া ২০০ লোকরে দাওয়াত দিয়া খাওয়াইছি।
দেশে সেই ভিডিও সিডি করছি, যেহেতু আমার কাছে অখন সিডি নাই, সেহেতু টয়লেটে আইসো দেইখা যাও!"
দেখলাম বোচনের মুখ আরো কালো হইয়া গেলো। বাই কইয়া হাটা ধরলো, মন চাইলো স্যান্ডেল খান পায়ে থাকলে ফিক্কা মারতাম!
যতই এই দেশের লুকজন দেখি ততই মেজাজ বিলাকরন প্রক্রিয়া ফারমেন্টেশন স হ শুরু হইয়া যায়! ইংলিশ কওন মানে মেলা অপরাধ কইয়া ফেলাইছি মাগার আমেরিকান, ইংল্যান্ডের কোম্পানীর অফিসে কি সুন্দর ইংলিশ কয়! যদি বাংলাদেশ হইতো এইডা, ওগো পিডাইয়া কোর্মা বানাইতাম!
আসল কথা হইলো, সোফির লগে ঘিচিং লাগছে একখান সিলি ইস্যু লইয়া। আস্তিক - নাস্তিক। বাপের জন্মেও এই ইস্যু নিয়া আমি কথা কমু না, মনের মধ্যে সোনার হরফে চিন্তাইয়া রাখলেও কেমনে কেমনে জানি লাইগা গেলো!
যাই হোউক লাস্টে একখান গল্প শুনাইলাম!
এক ফটকা পীর বটগাছের নীচে বিশাল গুফ দাড়ি লাগাইয়া জিকির লইছে, এমুন সময় এক ফিরিঙ্গী আইয়া জিগায়,"ভুম্বল পাবলিক অখন দেখি বটগাছে ধরে! দেখ, তুই এত কস্ট কইরা যার নাম লইতাছোস, কি লাভ তোর? ঈশ্বর বইলাতো কিছুই নাই, মরনের পর যদি দেখস কিছুই নাই তাইলে তো তুই আফসোস কইরা মইরা যাইবি! এত সুন্দর মাইয়া মানুস, এত সুন্দর মদ, কিছুই খাইতে পারলি না!"
তখন ফটকা পীর তার চক্ষু খুইলা মুছ পাকাইয়া কইলো," ধইরা নিলাম তোর কথাই ঠিক, ঈশ্বর নাই। তাইলে দেখ আমি যা আছি তা নিয়াই সন্তুষ্ট।
আমার জীবনে কুনো ক্যাচাল নাই, গন্ডগোল নাই টেনশন নাই। এমুন একজনরে নিয়া দিন পার করলাম যে আসলেই নাই। তখন মইরা যাওনের পর কিছুই যেহেতু নাই সেহেতু আফসোসও নাই। কিন্তু ধর ইশ্বর থাকলো, জান্নাত জাহান্নাম দুইটাই থাকলো। আমি মামু বাইচা যামু, মাগার তুমি মামু অমুন ধান্ধায় পড়বা, অমুন চিপায় পড়বা, কপালে এরশাদ চাচার ভাজ ফেল পড়ায় দিবো!"
সোফি এই গপ শুইনা ব্যাফক মাইন্ড খাইলো।
মনে হয় রুমে গিয়া কান্নাকাটিও করলো! আমার কি! আমি আছি আরেক কিসিমে, সকাল বেলা উইঠাই দেখি ঘাস সাদা হইয়া গেছে। মনে হয় বরফ ৩-৪ দিনের মধ্যে পড়ন শুরু হইবো! কি যে করুম এই বরফের সময়? সবার মধ্যে কাপাকাপি শুরু করলে মান ইজ্জত সহ শহীদ মিনারের মতো জইমা যামু! তখন কি আমারে নিয়া স্টাচু বানাইবো এরা?
ডর লাগে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।