আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২রা অক্টোবর ১৯৭৭: স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষায় বাংলাদেশের শেষ সামরিক অভ্যুত্থান

সন্দেহে আছি সত্য

আদর্শ শব্দটি ইতিবাচক। তবে আদর্শ একটিমাত্র নয়। পৃথিবীর ইতিহাস, তা যেভাবেই যাচাই করা হোক, আরোহী বা অবরোহী যে উপায়েই হোক, দেখা মেলে অজস্র আদর্শের। দেখা পাই এই সমস্ত আদর্শের লড়াই, গোপনে বা প্রকাশ্যে। কখনো একটি আদর্শ জেতে, বাকিগুলো হেরে যায়।

হারা আদর্শ আর গুরুত্ব পায় না, প্রচার পায় জয়ী আদর্শটি। তবে যেই আদর্শই হোক, ঐশী বা অনৈশী সমস্তের মুল কথা হলো মানুষের সামষ্টিকভাবে অরো ভালো থাকবার উপায়, প্রাণ হিশেবে মানুষের চাহিদাগুলো মেটানো, আর মানবিক অন্যান্য সৃষ্টিশীলতা এসবের চর্চার পথ সুগম করা। তা মহাআদর্শ থাকুক বা না থাকুক, এইটুকু চাই-ই চাই। মানুষ জগতের শ্রেষ্ঠ হোক বা না হোক, এইটুকু চাই-ই চাই। যদিয়ো শোষণ, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, ইত্যাকার আদর্শের দোহাই দিয়েয়ো চলেছে।

তবে হেরে যাওয়া আদর্শ নিয়ে মানুষ মাথা ঘামাতে নারাজ, যদি না তা বিশ্বাসের বস্তু ধর্মের মতো কোনো বিষয় হয়। তবে তত্ত্বের অবক্ষয় বা তার ব্যবহারিক ব্যর্থতা সবসময় এটা নিশ্চিত করে না যে আদর্শটি বা অনাদর্শটি বা মতবাদটি কতটা ঠিক, কতটা বেঠিক। তবে যদি তত্ত্বের ভেতর থাকে পরিবর্তনের পরিবর্ধনের বিবর্তনের বিষয়গুলো, তা ঐশী হোক বা অনৈশী, তবে তা চলতে পারে, এগিয়ে যায়, প্রাচীনবাদিতা প্রতিক্রিয়াশীল শাস্ত্রিক ঝামেলাগুলো থেকে বেরুতে পারে। যদিয়ো আধুনিক বলতে আমরা যা বুঝি তা আর যাই হোক হিপহপ নয়। এমনকি উত্তরআধুনিক ধারণাগুলোয়ো তা বলে না।

তবে যার যার মত প্রকাশের দাবি বহাল রাখে। তা গণতন্ত্রেয়ো হয়, যদি তার ভেতর শিক্ষা থাকে। তবে কাকে বলবো শিক্ষা তায়ো একটা তর্কসাপেক্ষ বিষয় বটে! তবে এই কথাটা ঠিক যে মানুষ চিরিদিন বাঁচে না, এটাকে সার্বজনীন মহাবৈশ্বিক সত্য বলা যায়। এবং সে কারণেই মানুষ কি কেবল সুখবাদী হবে, না তার মৃত্যুর পরকে (পরের প্রজন্ম বিষয়ে) নিয়েয়ো ভাববে তা একটা গুরুত্ব অবশ্যই রাখে। হাজার না জানার পরেয়ো যা জানি তার উপর ভর করে এই দাবি।

সেই জানা-কে আরো বাড়িয়ে তোলার দাবি। এই দাবি মানুষের অহমকে প্রকাশ করে, তবে সেই অহম কার বিরুদ্ধে কার পক্ষে তা ভেবে দেখবার আছে। তার ভেতর যদি মানুষের জ্ঞান আর প্রজ্ঞার ক্রমউন্নয়েনর বিষয়টি থাকে তবে তা মেনে নেয়া যায়। তবে এই দিকরেখাটি কেমন করে তৈরি হবে, তা বলা মুশকিল। তবে এ কথা ইতিহাস থেকে পরিষ্কার যে, সত্য মেরুতে বাস করে না, করে মধ্যমে।

তবে তা গাণিতিক গড়ের মত কোনো বিষয় না বলে তা নির্ধারণ সবচে কঠিন। তাই বিজ্ঞান সেখানে কাজে আসলেয়ো পুরোপুরি আসতে পারে না, আসে দর্শন, এবং সেই দর্শন (তা যেমনতরই হোক) তাতে এই হাজার দ্বন্দ্বের অন্তত একটা আপাত উত্তর তো থাকা চাই। তবে তাকে ব্যবহারের বা প্রয়োগে পারদর্শিতা আর একটা বিষয়। গৌরচন্দ্রিকা আর না বাড়িয়ে বলি, বাংলাদেশ এমন একটা আদর্শ নিয়ে শুরু হয়েছিল। তার নাম বাঙালি জাতীয়তাবাদ।

জাতীয়তাবাদ উগ্র হয়। তবে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ তেমন ছিল না। তা ছিল সৌম্য, কারণ তার ভেতর ছিল গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র অসাম্প্রদায়িকতার এমন আরো অনেক দর্শনের একটা মিশেল। মিশেলটা কতটা সমসত্ত্ব ছিল তা ভাবার বিষয়। তবে তাতে ছিল প্রগতির চিহ্ন।

এটাই তার দিকদর্শিতা, যদিয়ো রাষ্ট্র হিশেবে ১৯৭১ এ এই দেশের জন্মের পর তার নানা লঙ্ঘন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ শিকার হয়েছে নানা বিভীষণীয় আর বহির্দেশীয় ষড়যন্ত্রের। এখনো হচ্ছে। দেশটি ক্রমে বিক্রি হয়েছে অর্থনীতিতে, রাজনীতিতে এবং অন্যান্য হাজার কিছুতে। নিজের মা-কে নিয়ে বেশ্যাবৃত্তিতে নামার বিষয়টি ইতিহাসে বিরল নয়, এর মানসিকতার ব্যাখ্যা মনোবিজ্ঞানীরা দেবেন।

বাংলাদেশের বেলাতেয়ো তাই ঘটেছে। আমাদের পিতারা সোল্লাসে বিক্রি করেছেন আমাদের মাতৃভূমিকে। আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এমন খদ্দেরদের যারা আমাদের কম টাকায় কিনে নিয়েছে। আর আমরা সোল্লাসে সেই ধর্ষণ দৃশ্যের দর্শক হয়ে থেকেছি। কেউ যে প্রতিবাদ করেনি তা না।

কিন্তু তাদের কথায় কাজ বেশি হয় নি। বাংলাদশেকে বিক্রি করা হয়েছে এক এক করে গত ৩৮টি বছর ধরে। তবে খুব ভালো বেশ্যা হিশেবে তার কদর হয়নি। সে খুব ভালো বেশ্যা হতে পারেনি তার কারণ এই দেশের মানুষের হৃদয়ে, এই দেশের ঐতিহ্যে আর ইতিহাসে একটা না-বলার স্বর সবসময়ই ছিল। তাই সে ভালোমতো ছিনালি করতে পারেনি বা পারছে না।

তবে তার শিরায় দূষিত দাসমনোবৃত্তির রক্তই যেন এখন সবেগে ছুটছে। এই আমাদের ইতিহাস গত ৩৮টি বছরের। তবে প্রতিবাদটা আসে ঐতিহ্যের কাছ থেকে। নিরীহ আলাভোলা বিক্রয়োন্মুখ বাঙালি সবসময় নিরীহ থাকে না সেইখান থেকে। এইটুকু বলে আর কথা না বাড়াই।

প্রশ্ন হলো এই বিক্রি কারা করেছে বাংলাদেশকে। করেছে সবাই মিলে। কেউ দর্শক, কেউ নিজেই ধর্ষক। তবে এই ঈদিপাসীয় গূঢ়ৈষার সবচে বড় ভাগীদার হলেন সমস্ত দলের প্রায় সমস্ত রাজনীতিক, যারা একদা হয়তো ছিলেন নিষ্কাম। তবে এই প্রতিযোগিতায় সবচে এগিয়ে সমরনায়কেরা।

তারা অপ্রতিরোধ্য এই কাজে, তাদের তুল্য কেউ নাই। তারা যেন একেকজন রাবণ। তারা উন্মত্ত ভোগী লিঙ্গপূজারী, তারা হন্তারক, পাপী, কলুষ এবং মানসিকভাবে অসুস্থ মনোবকিলনগ্রস্ত একেকজন। যদিয়ো-বা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইদানীং ভর্তি করানো হয় মেয়েদের। কিন্তু আমাদের মনে রাখ চাই পুরুষতন্ত্র একটি মানসিক বিষয়, তা থাকতে পারে পুরুষ স্ত্রী হিজড়ে সকলের, এবং একটি অচিকিৎস্য ব্যাধিস্বরূপ।

বা এর চিকিৎসা সুদূরপরাহত, অন্তত ইতিহাস তাই বলে। আমি এই বিকারের একটি নাম দিয়েছি তা হলো আলেকজান্দ্রীয় বিকার। এই বিকার ধর্মবর্ণগোত্রলিঙ্গজাতিনির্বিশেষে সকলকে পেয়ে বসতে পারে যখন তখন। এতে আক্রান্ত মানুষ মৃগী রোগীর মতো হয়ে যায়, তার জয় করতে ইচ্ছা হয় সব কিছুকে, ঋণাত্মক অহম তাকে পেয়ে বসে, সে নিজেকে মনে করে ঈশ্বর বা ঈশ্বরের দূত, এই বিকার প্রাচীন আর আধুনিক যুগের প্রায় সকল সমরনায়কের আন্তরিক প্রতিভাস। এই বিকার এতই সংক্রামক যে তা পেয়ে বসতে পারে যে কাউকে,যে কোনো বয়েসের মানুষকে, এমনকি তথাকথিত ধার্মিক বা দার্শনিকদের।

তবে এতে সিদ্ধহস্ত কেবল সমরনায়কেরা। তারা একেকজন উন্মত্ত নেকড়ে, শিকারি বাঘ, হিংস্র হায়েনা যেন। কেনো তারা এমন? তার কোনো সহজ উত্তর নাই। বা থাকলেয়ো আমি জানি না। বাংলাদেশের বেলায় এই উন্মাদনা প্রথম দেখা যায় ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এ।

এই তার শুরু। তারপর দীর্ঘদিন মাতৃধর্ষণ, এমনকি এই ছলনাময়ী গণতন্ত্রের সময়কালেয়ো। এবং মনে রাখা চাই বা জনে নেয়া চাই এই বিকারের সবচে বড় ভুক্তভোগী বাংলাদেশের একটি দলের প্রতিষ্ঠাতা- যার নামটি মুখে নেয়া মাত্র এই বিকার পেয়ে বসতে পারে বিধায় তা মুখে নেয়া যাচ্ছে না- কারণ তার যোগ্য উত্তরসূরিরা বেঁচে আছেন এখনো। এবং বিকারকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন আন্তরিকভাবে। এবং এয়ো সত্য যে তিনি নিজে এই বিকারের শিকার, এবং এই বিকারই তার জন্যে বুমেরাং, এবং তার নৃশংস মৃত্যুর একমাত্র কারণ।

১৯৭৭ এর ২রা অক্টোবর এর কথায় আসি এইবার। বিকারগ্রস্তমানুষটির বিপরীতে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন সামরিকবাহিনীর ভেতরকার কেউ কেউ। এর আগে একজন দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তিনি কর্ণেল তাহের, তাকে বিকারগ্রস্ত মানুষটি হত্যা করেছিলেন নৃশংসভাবে। তবে বাংলাদশের ইতিহাসের সবচে বড় নিধনযজ্ঞটি তিনি পরিচালনা করেছিলেন নিজের কমাণ্ডে, নিজের আওতায়, নিজের অমানবিক কলুষিত হস্তক্ষেপে। আর তা ঘটেছিল ১৯৭৭ এর ২রা অক্টোবরকে কেন্দ্র করে।

বিকারগ্রস্ত মানুষটির বিপরীতে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন সেনাবাহিনীর একাংশ, এবং মূলত বিমানবাহিনী। তারা ফিরে যেতে চেয়েছিলেন বাঙালির আদর্শে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক প্রস্তাবনায়, এটাই ছিল তাদের অন্যায়। ১৯৭৭ এর ২রা অক্টোবরের ব্যর্থ অভ্যুত্থানটি তাই বাংলাদশের শেষ স্বাধীনতার পক্ষের বিপ্লব। তারপর আর এমনটি হয়নি এবং নাতিদূর ভবিষ্যতে তা হবে বলে মনে হয় না। এই ক্রোধে ক্রোধান্বিত মানুষটি তাই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছিলেন প্রায় ১৪০০ সৈনিককে বিদ্রোহ পরবর্তীকালে এই দায়ে।

দমন করেছিলেন কঠোরভাবে। সংখ্যাটি নিয়ে মাথা ঘামানোর আছে, একজন মানুষের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে ১৪০০ জনকে। যদিয়ো এই বিকারের উত্তরসূরিদের আমরা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছি বেশ কয়বার। এবং খুনীদের করেছি আমাদের ভাগ্যবিধাতা। কারা বিপ্লব করেছিল তা নিয়ে আছে বিভিন্ন মত।

কোন আদর্শে বিপ্লব করেছিল তা নিয়েয়ো আছে বিভিন্ন মত। এবং তা এই বিকারআক্রান্ত মানুষটি এবং তার পূজারিদের কারসাজি। যারা এখনয়ো দিব্যি পাজেরো হাকাচ্ছে, মহতী বুলি দিচ্ছে, আমরা সেই বৃন্তউচ্ছিষ্টভোগী। এখানে তুলে দিচ্ছি অ্যান্থনী ম্যাসকার্নহাস এর 'বাঙলাদেশ: এ লিগ্যাসি অব ব্লাড' বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় 'অভ্যুত্থান, বিদ্রোহ আর প্রাণদণ্ড' এর কিছুটা অংশ। ‌'ইতিমধ্যে বিদ্রোহ বিমানবন্দরে ছড়িয়ে পড়ে এবং নৃশংস আকার ধারণ করে।

বিদ্রোহীরা প্রথমে বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে দুজন বিমান বাহিনীর তরুণ অফিসারকে গুলি করে হত্যা করে। তারপর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাসুদকে বিমান বাহিনীর প্রধানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। বিমানবাহিনীর প্রধান( এয়ার ভাইস মার্শাল এ. জি. মাহমুদ)অলৌকিকভাবে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। সেখানে আরো যারা মারা যান তারা হচ্ছেন- গ্রুপ ক্যাপ্টেন আনসার আহমেদ চৌধুরী, উইং কমাণ্ডার আনোয়ার শেখ, স্কোয়াড্রন লিডার মতিন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শওকত জান চৌধুরী এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সালাহ্‌উদ্দিন আহমেদ খান( তৎকালীন বিমানবাহিনীর প্রধানের এডিসি), ফ্লাইং অফিসার মাহবুবুল আলম এবং আক্তারুজ্জামান এবং তিনজন পাইলট অফিসার..............। ' [ব্র্যাকেটের সংযোজনগুলো আমার নিজের] প্রশ্নটি হলো- এই প্রথম দফার হত্যাকাণ্ডটি কার? যা ঘটেছিল ১৯৭৭ এর ২রা অক্টোবর এ।

প্রথম দফায় হত্যা করা হয়েছিল বিমানবাহিনীর ১১ জন নেতৃস্থানীয় অফিসারকে। এই প্রশ্ন অমীমাংসিত। দেখতে পাচ্ছি উল্লিখিত অধ্যায়টিতে যে বিকারগ্রস্ত মানুষটি আগেভাগেই জেনে গিয়েছিলেন এই বিদ্রোহ সম্পর্কে। মিশরের গোয়েন্দারা তাকে জানিয়েছিল যে বিমানবাহিনী এই বিদ্রোহ করতে যাচ্ছে। তিনি ছিলেন তখন মিশরে।

তাহলে কি পুরো হত্যাকাণ্ডটি ছিল শুরু থেকেই বিকারগ্রস্ত মানুষটির নিয়ন্ত্রণে। তিনি হত্যা করেছিলেন ১১ জন অফিসারকে? (যারা অগত্যা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল জাপানী রেড আর্মির হিদাকা ইউনিটের ছিনতাই করা একটি বিমান নিয়ে, যা তারা অবতরণ করিয়েছিল ঢাকায়), তার পর তিলে তিলে ১৪০০ জনকে। এবং রটিয়েছেন যে তার বিরুদ্ধে করা বিদ্রোহের কারণে তিনি বিচার করছেন। দেশকে সুসমৃদ্ধ করছেন। দেশকে পবিত্র করছেন।

এই প্রশ্নের উত্তর জানা যায় নি। ২রা অক্টোবরের তদন্ত হয়নি, এবং কোনোদিন হবে না এটাই এই দেশের অলিখিত বাঞ্ছা। তদন্ত হয়নি তার পর ধীরে ধীরে হত্যা করা ১৪০০ জন সৈনিকের হত্যাকাণ্ডের। এবং সূচিত হয়েছে একটি নিষ্ফল বিদ্রোহের এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শেষ সামরিক অভ্যুত্থানটির এমনতর গর্ভপাত। এবং বিকারগ্রস্তদের উল্লাস।

যা আজো শুনতে পাচ্ছি এই দেশের দূষিত বাতাসে। বিকারগ্রস্ত মানুষটির( হাজার হাজার মানুষের তিনি আরাধ্য দেবতা এই দেশে) একটি উক্তি দিয়ে লেখাটি শেষ করছি, তা নেয়া হয়েছে উল্লিখিত তথ্যসূত্র থেকে: 'যতক্ষণ পর্যন্ত ওরা না মরে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওদের গলায় ফাঁসি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখো'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।