বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
ঘন্টাখানেক আগে টিভির খবরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে প্রত্যাবর্তনের খবর দেখছিলাম। খবরটি দেখতে দেখতে আমাদের দেশের রাজনীতির আরেকটি নোংরা দিক নিয়ে কিছু ভাবনার উদ্রেক হল মনে। এইসব ভাবনা থেকেই আজকের এই পোষ্ট।
আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী যখন কোন সফরে (রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত) দেশের বাইরে যান, যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাতে মন্ত্রীপরিষদের প্রায় সব সদস্য, তিন বাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান)-র প্রধান, সংশ্লিষ্ট দেশের রাষ্ট্রদুত এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কিছু সরকারী কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন।
ঠিক একইভাবে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন, তাঁকে স্বাগত জানাতে ঐ একই ব্যক্তিরা আবার বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকেন। এই যে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় ও স্বাগত জানাতে মন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর তোষামোদি করার যে সংস্কৃতি আমাদের দেশে চালু আছে, এটা আর কোন দেশে আছে বলে আমার মনে হয়না। ঘটনা এখানেই শেষ হলে হয়তো মেনে নেয়া যেত, কিন্তু দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে গাড়ীতে উঠে বিমানবন্দর ত্যাগ করার সাথে সাথেই তাঁর গাড়ীকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের বিশাল বহর স্লোগান দিতে থাকে এবং ঠিক পা-চাটা কুকুরের মত তাঁর গাড়ীর পেছনে পেছনে মিছিল করে যেতে থাকে। কি নির্লজ্জ হতে পারে মানুষ!!! পৃথিবীর অন্য কোন দেশে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশের বাইরে গেলে বিমানবন্দরে তাকে তোয়াজ করার জন্য এত বিপুল মানুষের অনর্থক সমাগম হয় বলে আমার জানা নেই, যদিও কেউ গিয়ে থাকে, তাহলে আমাদের দেশের মত এত বিপুল পরিমাণ সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যাননা, গুটিকয়েক হয়তো যান। বাংলাদেশের সরকারী পর্যায়ের প্রায় সব ক্ষেত্রেই যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদলেহন করে চলার রীতি চালু আছে, উপরের ঘটনাটি তার অন্যতম বড় উদাহরণ।
এইসব মন্ত্রীরা বিমানবন্দরে এভাবে অযথা দাঁড়িয়ে না থেকে যদি তাঁদের মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন অথবা দেশের গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন, তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতেন, তাহলে কি দেশের বর্তমান দুরবস্থা থেকে আরেকটু উত্তরণ ঘটতোনা? আমাদের দেশের নেতারা কি কখনো জনগণের সুবিধা-অসুবিধার ভাবনাগুলো নিজেদের সুবিধা-অসুবিধার আগে ভাবতে পারবেননা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।