আমার কোনো ঘর নাই, আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া ......। বিশ্বাসে হারায় বস্তু তর্কে কাছাকাছি .... এম. আর. হোসেন।
গত কালকে অফিসগুলো ছিল সরকারী বন্ধ। এই ব্যপারটা আমার জানা ছিলনা। কারণআমার অফিস ছিল মাসের নিয়মিত অন্যান্য দিনের মত খোলা।
যাই হোক অফিস শেষ করে যখন বের হবো ঠিক তখন একটা ফোন আসল আমার মোবাইলে। যদিও সেই লোকটা আমাকে আগের দিন বলে রেখে ছিল তার সাথে দেখা করার জন্য। এই লোকটি আমাদের ঘাস ফড়িং এর ব্যপারে সরকারী ভাবে কিছু অনুদান তুলে দেওয়ার কথা বলেছিল। যাই হোক আমি এই লোকটির সাথে দেখা করার জন্য ফার্মগেটের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমার বাস কাউন্টার থেকে রওনা হওয়ার পর কিছু দুর আসতে দেখি পুরা রাস্তা জ্যাম হয়ে আছে।
বুজতে পারলাম না, জ্যামের কারনটা!
আমার একটাই চিন্তা যে, আজকে তো অফিস আদালত বন্ধ ছিল তাহলে এত জ্যাম কেন রাস্তায়? ওফ আর ভাল্লাগেনা এক যায়গায় বসে থাকতে। হাফিয়ে উঠেছি বাসের ভিতরে। একবার উঠে দাঁড়য়ে থাকি আবার কিছুক্ষণ পর সিটে বসি, চলতে থাকলো কিছুক্ষণ। সব কিছুর অবসান মিটিয়ে সেই ভালো লাগা মূহুর্তটা হাজির হলো আমার সামনে। প্রথমে বুঝতে পারিনি।
কারণ এই সব প্রায় ঢাকার রাস্তায় দেখা যায়!
তো যাই হোক, দেখতে লাগলাম ফলকহীন চোখে! দেখি একের পর এক আসতেছে, শেষ হচ্ছে না! প্রিয় পাঠক ধর্য্য ধারন করুন, কারণ ভালো কিছু শোনা বা পাওয়ার জন্য ধর্য্য ধারণ করতে হয়! যেহেতু আপনারা দেখেন নি ব্যপারটা সেহেতু আপনাদেরকে বুঝানো আমার পক্ষে কিছুটা কষ্ট হবে বলে আমার মনে হচ্ছে! তো অবশেষে এক এক করে পার হয়ে গেল ২৫টা ঘোড়ার গাড়ী! যার মধ্যে উপস্থিত ছিল দূর্গাপূজার মেয়েরা। সবাই গান গাইতেছে আর নাচতেছে।
এখানে শেষ না! তার পেছনে ছিল ১২ টা ট্রাক ভর্তি মেয়ে এবং ছেলে এবং সাথে ছিল হরেক রকমের বাদ্য সামগ্রী। এবং গাড়ী গুলো ছিল হরেক রকমের ডিজাইনে সাজানো। কিছু গাড়ীকে ময়ূরের মতো করে সাজানো হয়েছে আবার কিছুকে সাজানো হয়েছে বাঘ এবং সিংহ রূপে।
তার মধ্যে আবার বিভিন্ন ধরণের জিলিক বাতি। প্রতিটি গাড়ীতে ছিল গান বাজনার মেলা এবং টিনএজদের ছড়াছড়ি। একটাতে মিলার গান চলতেছিল এবং সেই গানের সাথে এক মহীয়সী যুবতী নারী কি সুন্দর নাচ করছিল তা আমার আরো বেশি ভালো লাগলো।
কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভালো লাগলো যখন দেখলাম ২ ট্রাক ভরা পথ শিশুদের নিয়ে আনন্দ করতে করতে যাচ্ছিল দূর্গার বহর। আমার কাছে না ছিল ভিডিও মোবাইল ফোন না ছিল ভিডিও।
এত সুন্দর একটা দৃশ্য চোখের সামনে দিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা যাবত সময় ক্ষেপন করে চলে গেল। আমার খুব আপসোস হয়েছিল, এই সুন্দর দৃশ্যটা ধারণ করতে না পারার জন্য। এবং আমার কাছে মনে হয়েছে এই সন্ধ্যার সামন্য সময় ছিল আমার চোখে দেখা এই বছরের সবচেয়ে সুন্দর মূহুর্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।