আল বিদা
একসেপশনের পোস্ট দেখে কথাটা মনে পড়ল। ছোটবেলায় সিগরেট আমি অপছন্দ করতাম। আর ড্রাগস তো দূরের কথা। যারা ড্রাগ নিত তাদের জন্য করুনার শেষ ছিল না।
তখন আমরা সিলেটে গ্রামের মত এক এলাকায় ছিলাম।
শান্ত ছিমছাম এলাকা। সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে আব্বা চাকরী করত আর চিকিৎসার সব ব্যয় আর ঔষধ ফ্যাক্টরীর হাসপাতাল থেকেই ফ্রী দিত। তাই ঐ এলাকায় ঔষধের দোকানও আর ছিল না।
একবার ঢাকায় আসলাম বেড়াতে। তখন ঢাকা ছিল আমাদের কাছে এক স্বপ্ন নগরী।
ঢাকার লাল লাল নীল নীল বাতি দেখে আমাদের মাথা ঘুরে যেত। ভাবতাম ঢাকাই একমাত্র আনন্দনগরী। ঢাকার মেয়েরা সব উড়াধূরা। তবে ছেলেরা বিশেষ ভাল না। আর ঢাকার মানুষজনবিশেষ ভাল না।
তবে যা দেখে আৎকে উঠলাম তা হল প্রকাশ্যে ড্রাগস বিক্রি করা। আমি দেখলাম ঢাকার রাস্তার পাশে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে ড্রাগ বিক্রি করছে। আবার এমন দোকানে আমাদের ঢাকার আত্নীয়রা যাচ্ছেও। লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে গেল। আমি ঐসব দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অন্যদিকে তাকিয়ে থাকি।
সাথে আব্বা-আম্মা থাকলে তো পারলে রাস্তার অন্যদিক দিয়ে হাটি।
যে দোকানে ড্রাগস বিক্রি করত সে দোকানের নাম ছিল 'খান ড্রাগস'!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।