আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুরে ফিরে দেখলামঃ ঢাকা শহরে দূর্গাপূজা...

মানুষ এবং মানুষ সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে আমার দারুন আগ্রহ ……
বনানীতে শারদোৎসব তাঁতীবাজারের পূজা তাঁতীবাজারের পূজা তাঁতীবাজারের পূজামন্ডপ ও আলোকসজ্জা শাঁখারী বাজারের পূজা তাঁতীবাজার খুব মজার জায়গা, আজ সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম দুর্গা পূজা দেখতে। ওখানে গিয়ে বুঝলাম, তাঁতীবাজারে মানুষের প্রধান পেশা মনে হয় স্বর্ণ বন্ধক দেওয়া। রাস্তার পাশে হাঁটতে গিয়ে যতগুলো সোনার দোকান দেখলাম, তাদের প্রায় প্রত্যেকটার সাইনবোর্ডে গর্বিত ঢংএ লেখা — আমরা স্বর্ণ বন্ধক নিয়ে থাকি... মজার ব্যাপার হলো একটু এগিয়ে যখন শাঁখারী বাজার গেলাম, সেখানের স্বর্ণের দোকানের সাইনবোর্ডে অবশ্য এ ধরনের কিছু লেখা দেখি নাই। মহাপ্রসাদ ভোজনালয় এত দিন জেনে এসেছি পূজার ভোগ যে কেউ পেতে পারে। ভক্ত মাত্রেই এটা তার অধিকার।

শাঁখারী বাজারের পুরোহিতরা দেখলাম এ ব্যাপারে এক ধাপ এগিয়ে, তারা ভোগের প্রসাদ বিক্রি করার জন্য হোটেল (?) খুলে ফেলেছেন। শুধু তাই না রীতিমতো আয়োজন করে তার সাইনবোর্ডও টাঙ্গিয়েছেন। আজ পুরানা ঢাকায় অনেকক্ষন ধরে ঘুরেছি পূজা দেখার জন্য। কিছু ছবিও তুলেছি। তবে পূজার পরিবেশটা ভাল লাগে নাই।

মানুষজনের ভীড় বলতে তেমন কিছু নেই। ঢাকা শহর এখনও ফাকা, সেটা কারন হতে পারে। তবে মন্ডপগুলো খুব দীন হীন সাদামাটা। অন্ততঃ এক দশক আগেও যেমন দেখতাম, সেই বাহারী সাজগোছের ছিটেফোটাও নাই। জৌলুশ বলতে যা বোঝায় সেই জিনিষটাই নাই।

প্রতিবছর করতে হয়, না করেও পারি না — এ ধরনের দায় ঠেলা যেন। বনানীর পূজা বনানীর পূজা বনানীর আলোকসজ্জা পরে রাতের দিকে গেলাম বনানী। এখানের পূজাটাকে মনে হচ্ছিল সত্যিকারের উৎসব। আলোর রোশনাই, বিশাল সামিয়ানা, লাইভ মিউজিক... ব্যাপারই আলাদা। সামিয়ানার এ মাথা থেকে ও মাথা লোকজনে ঠাসা।

কারনটা কি...? বনানীর লোকদের টাকা বেশি, নাকি ফুর্তি করতে যে প্রাণ শক্তি লাগে, তাদের এইটা বেশি। ঠিক বুঝলাম না। সারা পুরান ঢাকায় দেখলাম শুধু সাধারন পুলিশ, আর বনানী এলাকা র‌্যাবের গাড়িতে ভর্তি। কয়েকজন ফুল ইউনিফর্ম দেখলাম টহলও দিচ্ছে। ও বলতে ভুলে গেছি — বনানী ষ্টেজ শো উপস্থাপনা করছিল আমাদের ফাতরা দেবাশীষটা... আমি ডরে ঐ দিকে আর যাই নাই।

সবাই কে শারদীয় শুভেচ্ছা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।