শ্রীলংকায় এবার ঈদ হলো সোমবার, শনিবার আর রবিবার হলো উইক এন্ডের ছুটি। সব মিলিয়ে ছুটি পেলাম তিনদিন। যাইহোক, এবার বলি ঈদে কি করলাম...
শনিবার অফিসের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হল কুমুদু রিসর্টে। কুমুদু রিসর্ট প্রায় ১ ঘন্টার পথ। তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে ১ ঘন্টা আগেই গাড়ী এসে হাজির ।
গিং নদী
যাই হোক, রিসর্টে পৌছানোর পর দেখে তো মাথা নষ্ট। রিসর্টের এক পাশ দিয়ে গিং নদী আর আরেক পাশ দিয়ে সাগর।
রিসর্টের ভিতরে সুইমিং পুল
অনুষ্ঠানে বরাবরের মতই ছিল বিভিন্ন ধরণের খেলা ধূলা আর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। কিন্তু রোজা রেখে সারাদিন ২-৩ টি ইভেন্টে অংশ নেয়া ছাড়া বাকী সময় টুকু গিং নদীর পাড়ে বসেই কাটাতে হল।
বিকাল বেলা গিং নদী
বিকাল বেলা গিং নদী
অনুষ্ঠানে অনেক নতুন নতুন মজার মজার খেলা দেখলাম কিন্তু ছবি তোলার এনর্জি ছিলনা...অফিসের ফটো আর্কাইভ থেকে ছবি গুলো নিয়ে পরে সময় করে একটা পোষ্ট দিব
পরের দিন রবিবার।
সকাল থেকে কিছু কাপড় চোপড় আর ঘরের জানলা পরিষ্কার করে সময় কাটালাম...যেহেতু ঈদের সারাটা দিনই বাইরে থাকা হবে তাই ইফতারের সময় হালকা কিছু খেয়ে আজই ব্যপক রান্না বান্নার আয়োজনে লেগে গেলাম...
চান রাইত স্পেশাল চিকেন ফ্রাই
বিফ বিরিয়ানী (রাতের বেলা মোবাইলের অপর্যাপ্ত আলোতে তোলা...ছবিতে দেখতে কেমন যেন লাগলেও খেয়ে পুরা মাথা নষ্ট)
ঈদের দিন সকাল বেলা নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অনেক বৃষ্টি...অবশেষে নামাজ পড়ে বাইরে হালকা নাস্তা করে...বাংলাদেশ দূতাবাসে গেলাম। শ্রীলংকায় খুব অল্প সংখ্যক বাঙ্গালীর অবস্থান। তাই ঈদ অথবা যে কোন অনুষ্ঠানেই সবাই দূতাবাসে মিলিত হন।
বিকাল টুকু পার করলাম সাগরে ঝাপাঝাপি করে....অনেক দিন পর সাগরে নেমে তিনজনে পুরা বাচ্চাদের মত অনেকক্ষণ লাফালাফি করলাম।
বিকাল বেলা বাংলাদেশী বন্ধুর বাসা থেকে সমুদ্র
রাতে আবার আরেকজন বাংলাদেশী ভাই এর বাসায় সবাই খাওয়া দাওয়া করলাম।
পর দিন থেকেই অফিস। আজও আরেকজন বাংলাদেশী ভাই বাসায় যেতে বলেছেন...অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চলে গেলাম। বিকাল টা কাটালাম সেই বাংলাদেশী বন্ধুর বাসায়....
অফিসে অনেক কাজ ...আবার এরই মাঝে আমাদের ৬ মাস পুরা হয়েছে...ছুটির জন্য আবেদন করে অনেক কাঠ ক্ষর পুড়িয়ে অবশেষে ছুটি পেয়েছি মাত্র ২ সপ্তাহের জন্য....যাই হোক দেশে যাবো এই খুশিতে সারাদিন চরম উত্তেজিত। প্রতিদিনই গুনতেছি আর কয় দিন বাকি। প্রতি দিনই বাসায় করে জিজ্ঞেস করি কার জন্য কি আনতে হবে? কেনা কাটাও শুরু করে দিয়েছি।
কোত্থেকে কি কিনব, কার জন্য কি আনব, দেশে গিয়ে কে কি করবে এসব নিয়ে তিনজনে মিলে ব্যপক মিটিং মিছিল চলছে। মনে হচ্ছে আমার ঈদ কেবল তো শুরু হলো।
যাই হোক , এবার বলেন কার বাসায় কবে খেতে আসব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।