রাজাকার ও তাদের বংশধরেরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাই পাবে
শীতের মৌসুমকে অনেকে ওয়াজ মাহফিলের সময় বলেও অবিহিত করেন, এসময় ধর্ম ব্যবসায়ী কাট মোল্লারা সাপ যেমন গা ঝাড়া দিয়ে গর্ত হতে বের হয় তেমন করে তারাও শিকার ধরতে বের হয় ভাষা বা মুক্তিযুদ্ধের মাসটা তাদের ব্যবসার জন্য খুবই ক্ষতিকর! এ সময় সাধারণত তারা চুপচাপ থাকে।শীতকালে বাংলার পল্লী অঞ্চলে কৃষকেরা তাদের ধান কেটে বিক্রি করে ফলে তাদের পকেটে কিছু অর্থ কড়ি আসে, এটাও একটা বড় কারণ এই মৌসুমে অসংখ্য ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের পিছনে। সাঈদি বা চরমোনাইয়ের মত বাকপটু চতুর ব্যক্তিরা এক একটা মাহফিল করে সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের থেকে কীভাবে কোটি কোটি টাকা লুঠ করে নেয় সে সম্পর্কে সপ্তাহিক ২০০০ তথ্য সমৃদ্ধ একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল, তাই এসব ওয়াজ মাফফিল আমি যথা সম্ভব এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি যদিও আমার পরিচিত মহলে অনেকে এদেরকে জীবনের আইডল হিসেবে দেখে (বর্তমানে দেশে শিক্ষিত মহলে জাকির নায়েক এবং নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে সাইদির ব্যাপক craze তৈরি হয়েছে)। যদিও বহুবার এইসব ওয়াজ মাহফিলের শামিয়ানার পাশ দিয়ে হেঁটেছি কখনই ইচ্ছা জাগেনি এই সব ধর্ম সভায় কি শিক্ষা দেয়া হয় তা জানার, কিন্তু কিছুদিন আগে দুর্ঘটনা ক্রমে পরিচিত ব্যক্তির চাপে এক মোল্লার বয়ানবাজি শুনি যা আমাকে সংকিত করে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে, এই হুজুর ধর্মের মোড়কে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে তীব্রভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছিল, আপনাদেরকেও তার বয়ানবাজি শুনতে অনুরোধ করছি
হজুরের মতে জয় হিন্দু শব্দ এবং বিজয় মুসলিম শব্দ এটা যে একটা হাস্যকর কথা তা একটি বাচ্চা ছেলেও বুঝবে কারন আমারা যদি তার আবিষ্কৃত নব্য ব্যাকরণের সূত্র ব্যবহার করি তাহলে বিজয় শব্দও হিন্দু হয়ে যায় তার কারণ বিজয়াদশমী বা দুর্গা পূজা হিন্দুদের একটি উৎসব আমার একজন হিন্দু বন্ধু আছে যার নাম হচ্ছে অরুণ বিজয়, প্রকৃতপক্ষে বাংলা ভাষা পৃথিবী অন্যান্য চলতি ভাষার মতই বিভিন্ন ভাষার সাথে মিথক্রিয়া করে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে তাই বাংলা ভাষায় আমারা যেমন বিভিন্ন সংস্কৃত শব্দ ক্রীড়নক,মহাজন কুশল এবং ইংরেজি শব্দের চেয়ার, বোতল ব্যবহার দেখতে পাই তেমনি অনেক আরবি ফারসী শব্দও যেমন নামাজ, রোজা, হালাল, খোদা বাংলাকে সমৃদ্ধ করেছে কাজেই বাংলা ভাষার ভিতর তিনি যে সাম্প্রদায়িক বিভেদ রেখা তৈরি করতে চান তার পিছনে আমি অসৎ উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিচছু দেখি না আসলে তার মূল লক্ষ্য আমার কাছে যা মনে হয়েছে তা হল মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের জনপ্রিয় স্লোগান ছিল জয় বাংলা তার সম্পর্কে ধার্মিক মুসলমানের মনে একধরনের বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করা যাতে তারা জামাতের মত প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক শক্তির দাবার গুটিতে পরিণত হয়। যখনই জামাত রাজনীতির মাঠে কাবু হয়ে পরে তাদের নানা অপকর্মের কারণে তখনই তারা ধর্মীয় লেবাসের আড়ালে তাদের অবস্থান সংহত করতে মরিয়া হয়ে উঠে ৭১ সালের পর তারা এই খেলা খেলেছিল ২০০৯ সালেও তারা এই একই কৌশলে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে চায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।