আমি সুজয়.........
(গত পর্বের পর)
রিখটার স্কেল ভূমিকম্পের আপেক্ষিক তীব্রতা সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করে। আপেক্ষিক তীব্রতার তুলনা নিম্নরূপ:
এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৯.৫। এর উৎসস্থল ছিল চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে ৪৩৫ মাইল দূরে ক্যানিটি নামক স্থানে। ১৯৬০ সালের ২২ মে স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া দুইটায় এটি আঘাত করে। এর প্রভাবে সৃষ্ট সুনামি উত্তর ও দক্ষিন আমেরিকা ছাড়িয়ে এশিয়া মহাদেশের জাপান, ফিলিপিনস্, থাইল্যান্ড এবং অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশের অষ্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
ঐ একই স্থানে ১৫৭৫ সালের দিকেও ৯.৫ মাত্রার কাছাকছি একটি ভূমিকম্প হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
আমরা যদি ভূমিকম্পের শক্তির কথা চিন্তা করি তাহলে যারপরনাই চমকে যেতে হয়। ভূমিকম্পের শক্তির একক হল টন। পারমাণবিক বোমার শক্তির এককও টন। হিরোশিমায় যে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তার শক্তি ছিল ১৫ কিলোটন।
আর মাত্র ৫.০ রিখটার স্কেলের একটি ভূমিকম্পের শক্তিই হয় ৩২ কিলোটন। তবে ভূমিকম্পের শক্তি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে যায় বলে (আগের পর্ব দ্রষ্টব্য) এবং বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বলে এর শক্তি ও ধ্বংস তুলনামূলক কম দৃষ্টিগ্রাহ্য ও অনুভূত হয়। ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের শক্তি ১৭৮ মেগাটন, ৮.৫ মাত্রার ৫.৬ গিগাটন এবং ৯.০ মাত্রার ৩২ গিগাটন।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে ভূমিকম্প কত মারাত্মক হতে পারে। সুতরাং সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
সাবধানতা হয়ত ভূমিকম্প টেকাতে পারে না তবে ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে পারে বহুলাংশে। ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক সতর্কতা অনেকক্ষেত্রেই আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। সবাই ভাল থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।