আমার নাম মন্জু, আমি সবাইকে আইনি সহায়তা দিতে চাই...
কোথায় খুজে পাব আমার গ্রাম আমার আনন্দ। আমি বলছিনা ঈদ নিরানন্দ তবে কেন কিছু কিছু সময় ঈদরে আনন্দ নিরানন্দ হয়ে যায়। জীবনের ৩১ বছর দেশে ছিলাম তার মাঝে কিছু কিছু সময় বুঝে আনন্দ করেছি আবার কিছু কিছু সময় না বুঝে আনন্দ করেছি। ছোট বেলায় অনেক সময় মাকে এমন একটি প্রশ্ন করা হতো মা ঈদ কি?
যখন বুঝতে শিখেছি তখন আবার প্রশ্ন ছাড়াই যে কাজ গুলো করতাম,
ঈদের বেশ কদিন আগে থেকেই বন্ধুদের সাথে ধুম ধারাক্কা আড্ডা চলত। চলত বেশী করে চা সিগারেট (যদিও সিগারেট পান করিনা ৬ মাস হয়ে গেল প্রায়)।
বাড়ী বাড়ী ছালাম করতাম মুরব্বীদের। ঈদের ঠিক আগের রাত মজা করে পরিবারের সবাই বসে পিঠা খেতাম। গল্প চলত রাত ভরে।
সকালটা হতো চমৎকার। মন বলত পৃথিবীর সকল সুখ আজ আমার কাছে এসে বলছে আজ ঈদ ,আনন্দের দিন।
আবার সকালের মজার মজার নাস্তা। নামাজ। ঈদের নামাজে বাচ্চাদের স্নেহ, বন্ধুদের সাথে একসাথে নামাজে বসা আর বড়দের ছালাম।
বিকেলটা কেটে যেত গভীর রাতের মজার মজার স্বপ্নের মত। খেলতাম সারা বিকেল।
রাত কাটত হৈ হৈল্লোর করে। যে কারনে মানুষ ঈদটাকে এতটা আনন্দ বলে।
বিদেশে আমার বা আমার পাশে যারা আছে তাদের কিভাবে ঈদ কাটল।
আগে থেকেই বসের বলা ছিল ঈদে ছুটি নেওয়া যাবেনা। কাজ বেশী থাকলে বেশী কাজ করতে হবে।
ক্লান্ত দেহে বাসায় এসে ঘুমানো ছাড়া কিছু করার ছিলনা ঈদের আগের দিন। অনেকেরই ঈদের নামাজ পড়া সম্ভব নয় সকালে অফিসে যেতে হবে বলে।
অফিসে ঢুকে এবার খুব মজা ১৬ ঘন্টা কাজ কারন হোটেল ব্যস্ত। অনেক রাতে বাসার উদ্দেশ্যে বাসে বসে বসে ঈদের কথা ভাবলাম। ভাবি কেমন কাটত দেশের ঈদ।
বাসায় গভীর রাতে এসে ঈদ আর ঈদের মত মনে হয়না । এটাই বাস্তব। আবার সকালে কামলা। আবার সেই ব্যাস্ততা।
মন কি মানে এসব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।