যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
একটা হলো আমার বোনের মেয়ে। বয়স দুই। আরেকটা হলো আমার বন্ধুর ছেলে। তারও বয়স দুই। দুইজনকে আমি ফুটবল খেলা শেখাচ্ছি।
সমস্যা হলো একজন ফুটবল খেলে হাত দিয়ে, আরেকজন খেলে পা দিয়ে। আরো সমস্যা আছে। দুজনই কেবল একটা দুটো শব্দ বলতে পারে। তাও আবার দ্বি-অক্ষর বিশিষ্ট। তো এই বিশিষ্ট দুই খেলোয়ারের গতি ও পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য বন্ধুর পুত্রকে পা দিয়ে বল মারা শিখাচ্ছিলাম।
এজন্য মোটামুটি ম্যারাডোনার মত একটা কোচিং লেকচারও মারতে হলো। কিন্তু পুত্রধন আর কি তা শোনে। বলটা হাত দিয়ে ফ্লোরে রেখে হাত দিয়ে শট মারে। ওদিকে আমার বোনঝি দাড়িয়ে। সে পা দিয়েই বল মারতে শিখেছে, এবং বলে শট মেরেই বল বল বল চিৎকারে ফ্লাটবাড়ীর দেয়াল খসিয়ে দিতে শুরু করেছে।
পুত্রধনকে এবার আবারো লেকচার মারলাম। তার পা বলের উপরে বসিয়ে লাথি মারার কসরত করালাম। একবার, দুইবার, তিনবার। একসময় পুত্রধন শিখে গেলো। পা দিয়েই বলে লাথি হাকালো।
এবার আমি লাফিয়ে উঠলাম, চেচিয়ে বাড়ী মাথায় তুললাম। মনে হচ্ছিলো আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে ছেড়েছি।
কিন্তু সুখ বেশিক্ষণ সইলো না। বিধি বামে টানলো। অন্যপাশে বোনঝি এতক্ষন পা দিয়ে বল মারছিলো, কিন্তু এবার তারমধ্যে পুত্রধনের বিদ্যা ট্রান্সমিট হয়ে এসেছে।
বল ছুড়ে মারছে হাত দিয়ে। কয়েকবার ট্রাই করলাম। কিন্তু হলো না। পুত্রটি এখন পা দিয়ে বল মারছে, আর কন্যাটি হাত দিয়ে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।