আজ ঈদ। তবে বাংলাদেশে নয়। মধ্য প্রাচ্যতে। আমার ছোট ভাই থাকে দাম্মামে। একটু আগে সেহরির আগে ভাগে ও আমাকে ফোন করেছিল।
তার মানে আমাদের এখানে ঈদ হবে পর দিন। তবে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আজ নাকি চাঁদ দেখা কমিটি বসবে চাঁদ দেখতে। আরে বাবা চাঁদ দেখার আবার কমিটি লাগে নাকি? কমিটি করে চাঁদ দেখতে হবে! আমরা যখন ছোট বেলায় ঈদ করতাম তখন সবাই একসঙ্গে চাঁদ দেখতে বের হতাম। তখনো বেলা ডোবেনি।
অথচ এক ফালি চিকন বাকা কাস্তের মতো চাঁদ দেখতে পারলে মিছিল বের হতো। আমরা কিন্তু ঠিকই ছোটখাটো একটা মিছিলই করে ফেলতাম। কেউ একজন হঠাৎ করে চীৎকার দিয়ে বলে উঠল ওই তো চাঁদ। ব্যস। হয়ে গেল।
কে কার আগে চাঁদ দেখতে পারে এই নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা।
আসলে কিন্তু চাঁদ দেখা যায়নি। মিথ্যে কথা। তারপরও চাঁদ দেখা চাই -ই চাই।
কেউ একজন গেয়ে উঠল ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ...
আমি যখনকার ঘটনা বলছি তখন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়নি।
আমাদের গ্রামেও তখন বিদ্যুৎ কি জিনিস তা পৌছায় নি। ব্যাটারি দিয়ে মাইক বাজানো হতো। গ্রামে রোজার মাসে ধুম পড়ে যেত নামাজ পড়ার। যেন নামাজ পড়ার বতর ( মৌসুম) চলত। আমরাও তারাবির নামাজ পড়তে যেতাম।
কিন্ত হাসাহাসি চলত ব্যাপক। বড়রা ধমক দিলে আরও বেশি বেশি হাসির দমক উঠত।
আজ বাংলাদেশে ঈদ হচ্ছে না। তবে কাল হতে পারে। আজ ঢাকায় বসে গ্রামের ওই দিনগুলোর কথা খুব বেশি করে মনে পড়ছে।
ঈদে বাড়ি যেতে পারলাম না। আমরা দুই ভাই-ই বলতে গেলে প্রবাসেই ঈদ করছি। বাড়িতে মায়ের সঙ্গে শুধু ছোট বোনটাই ঈদ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের বাড়িতেও ইন্টারনেট রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য লাইনটা নাকি ঠিকমতো কাজ করছে না।
চেয়েছিলাম ঈদের দিন মায়ের সঙ্গে লাইভ অন লাইন চ্যাট করব। হবে কি না জানি না...
কি লিখতে চেয়েছিলাম। আর কি লিখলাম...। লেখার আসলে কিছুই নেই। ঈদ মানে কি আসলেই আনন্দ? আসলেই কি ঈদ সবার জন্য খুশি বয়ে নিয়ে আসে? তবু খুশি থাকতে হবে।
আনন্দ করতে হবে। এটাই তো জীবনের অংশ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।