আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ঈদ আসতেছে। ঈদের পোস্ট দেওয়ার একটা আকর্ষণ গত ঈদ্গুলোতে ছিল। এইবার তেমন ইচ্ছা ছিল না। তবে মফিজ/ইউটার্ন বিষয়ে ব্লগে হঠাৎ পুরানো একটা আমেজ পেলাম । লিখতে ইচ্ছা করল,যেন ঈদের উপহার পেয়ে খুশি তাই লিখতে চাচ্ছি।
তার উপর দেখি আর এক মফিজ বাংলাদেশের বিশ্বদখলের পরিকল্পনা করতেছে। এসবে আরো উৎসাহি বোধ করছি।
এই রোজার মাসটা লম্বাই গেল। সেই কবে শুরু হয়েছিল, এখনও চলছে। কর্মজীবনের প্রথম রোজার মাস গেল।
এইবারের কয়েকটা কারনেই অন্যরকম। প্রথমত, কর্মজীবনের প্রথম ঈদ। সেইটা ব্যাপার না, কিন্তু ব্যাপার হল দ্বিতীয় কারন। সেটা হল বাবা দেশে নাই, সুইডেন গেছে। এর আগে একটা ঈদে বাবা বাসায় ছিল না, তখন বড় মামা আমাদের সাথে ঈদ করে।
এইবার কেউ নাই। আমি, মা আর আমার বোন। নামাজেও এইবার একাকী যাব। ঈদের দিন সকালে বাবা ইনশাল্লাহ্ ফোন করবে। এখন প্রতিদিনই করে কিন্তু মন তার বিশেষ ভাল না তা বোঝাই যায়।
বাবা এমনিতে ধর্মকর্ম তেমন একটা পালন করে না, তবে সামাজিক ব্যাপারগুলোতো চর্চা করাই হয়। সংস্কৃতির অংশ বলে কথা। ঈদের নামাজ শেষে আশে পাশের বিভিন্ন বাসায় বাবা যায়, সাথে অন্যান্য আংকেলরাও থাকে, তখন আমারো যাওয়া হয়। এইবার আমি একা, আমার এতদিনের ঈদ মানে বাসায় সবাই, আত্মীয় স্বজন, এবং বন্ধুবান্ধব। প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য জনিত ব্যাপার গুলো আংকেল আন্টিদের সালাম দেওয়া, কোলাকুলি পর্যন্ত।
তৃতীয় কারনটা অনাকাঙ্খিতই ছিল। পুরো ইউনিভার্সিটি লাইফে যতটুকু মনে আসে দুই তিন দিন অসস্থতার জন্য মনে হয় বাসায় বসা ছিলাম। আর ভার্সিটি পর্ব চুকিয়ে প্রথম দুই মাসের মাঝেই নিউমোনিয়া ইনফেকশন হল। এই বিগত বুধবার বিকেল থেকে জ্বর আসল, টেস্ট ফেস্ট করে জানলাম টাইফয়েড। ডাক্তার বলে বাইরের ইফতারি খাওয়া হয়েছে হয়ত এই জন্য ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে গেছে।
ইফতার টাইমে অফিসে কাটানোয় বাইরের ইফতার খেতে হয়েছে প্রতিদিন। মনে হয় সেখান থেকেই ইনফেকশন হয়েছে। জ্বর কেটেছে; পেটে, জ্বিবে, চোখে ক্ষুধা ঠিকই আছে কিন্তু মুখে স্বাদ পাই না। ঈদের খাওয়া দাওয়া গিলব ঠিকই কিন্তু স্বাদ বুঝব না হয়ত। সব চাইতে বড় ঝামেলা ক্লান্ত লাগছে, ঈদের বাসায় বসে থাকতে হবে মনে হয়।
লেখার এই পর্যায়ে একটা ব্রেক ছিল। নেটে একটা কাশির সিরাপের সাইড এফেক্ট নিয়ে ঘাটাঘাটি করলাম। যা বুঝলাম, এইটাও একধরনের ডাইল (ফেন্সি!!) । তাই ঈদের আনন্দ মাটি হইতেছে। কালকে থেকে আর খাব না।
কাশি অবশ্য কমছে।
আবার আসি ঈদের কথায়, ঈদের বড় প্যানিক সালামী। আমি আর কত পাব, বেশি চলে যেতে পারে নিজের পকেট থেকে। মাথায় একটা সাইন্টিফিক আইডিয়া আসল। সোয়াইন ফ্লু নয় এবার সালামীর ঠেকাতে মাস্ক থেরাপি।
টুপির সাথে যেকোন ধরণের মাস্কই সাথে রাখুন। অবস্থা বুঝে দ্রুত পড়ে ফেলুন এবং সালামী দাবীদারকে কয়েক হাত দূরে থাকতে বলুন। চাইলে পাঞ্জাবির পেছনে লিখতে পারেন,
আমি ফ্লুয়াক্রান্ত: ১০০ হাত দূরে থাকুন।
দেশী প্রবাসী সব্বাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ কাটুন সানন্দে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।