"A little knowledge of science makes man an atheist, but an in-depth study of science makes him a believer in God." Francis Bacon.
আপনি যদি কাজে কর্মে বা জীবনে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে আপনাকে সূখী হতে হবে বা মানসিক হতাশা, দু:শ্চিন্তা কাটিয়ে ঠান্ডাভাবে পরিস্হিতি মোকাবেলা করতে হবে । গত তিন যুগের গবেষণার ফসল হল - এই তথ্য ।
মানসিক অবস্হা দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করার মাধ্যমেই আমাদের স্বাস্হ্য, সম্পদ এবং উন্নতি নির্ভর করে ।
অন্যভাবে বলা যায় - মানুষ ষখন ভালো অনুভব করে, তখন সে কাজে -কর্মে , জীবন-যাপনে ভালো করে ।
মানুষের বাহিরের অবস্হার উন্নতি সব সময় মানুষকে সুখী করেনা ।
যেমন- টাকা পয়সা বেশী হলেই মানুষ বেশী সুখী হয়না, যখন মানুষের বেসিক নিডস বা একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর চাহিদা মিটে যায় তখন , অতিরিক্ত টাকা মানুষকে বেশী সুখ কিনে দিতে পারে না ।
গবেষণা প্রমাণিত খুব বেশী পড়ালেখা বা বুদ্ধিমান হলেও মানুষ বেশী সুখী হয় না ।
আবার, বয়স অল্প হলেও মানুষ সুখী না বরং বয়স্ক মানুষের জীবনের প্রতি চাহিদা কম এবং তারা হতাশায় কম ভোগে অল্প বয়সীদের তূলনায় ।
কোন সম্পর্কে জড়ালে কি সুখী হওয়া যায় ? এটা একটা জটিল বিষয়- কারো জন্য হতে পারে আবার কারো জন্য নয় ।
জেনেটিক্যালি কি কোন কারণ আছে সূখের পিছনে ? কেউ কেউ যে এমনি এমনি হাসি-খূশী ? ৪০০০ জমজের পিছনে গবেষণা করে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সুথী হওয়ার পিছনে ৫০% জেনেটিক্যাল প্রোগ্রামিং দায়ী ।
এরিষ্টটল বলেছেন- "সুখ হল কর্মের ফসল । এটা কোন হঠাত পাওয়া বিষয় নয় বা স্রষ্টার এমনি এমনি কোন দান নয় । বরং যে যত তার সূযোগগুলোর চূড়ান্ত সদ্ব্যবহার করতে পারে, সে তত সূখী হয় "
অন্যভাবে বলা যায়, আমাদের মানসিক অবস্হা প্রকৃতপক্ষে আমাদের ধারণারও বাইরে আমাদের আয়ত্ত্বাধীন ।
গবেষণায় প্রমাণিত যে, আমরা আমাদের সূখ বা অসূখী অবস্হাকে প্রভাবিত করতে পারি আমাদের চিন্তা , কর্ম, আমরা আমাদের জীবনকে কিভাবে দেখি এবং কিভাবে বিভিন্ন অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা জীবনের প্রতি সাড়া দেই - এসবের মাধ্যমে ।
সম্প্রতি আমাদের মস্তিস্কের গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমাদের মস্তিস্কের নির্দিষ্ট স্হান বা সার্কিট আছে যা আনন্দ, উত্তেজনা বা ভালো অবস্হায় সাড়া দেয় ।
আমাদের মস্তিস্কের পজিটিভ এবং নেগেটিভ আবেগ একে অপরকে সব সময় ঠেলতে থাকে । আমরা আমাদের নেগেটিভ আবেগকে দমিয়ে পজিটিভ আবেগকে ঠেলে উপরে তুলতে পারি । অন্যভাবে বলা যায়, আমরা আমাদের মনের অবস্হাকে নিজেদের চেষ্টার মাধ্যমে পরিবর্তন করার অনেক ক্ষমতা রাখি , যদিও প্রকৃত অবস্হা বা ঘটনাকে পরিবর্তন করতে না পারি ।
অন্য একটা আশ্চর্যজনক আবিস্কার হল পরিণত মস্তিস্ক ক্রমাগত উন্নত এবং পরিবর্তিত হতে থাকে চিন্তা এবং মানসিক আবগের প্রতিফলনে । সুতরাং আমরা যেমন কোন খেলা ক্রমান্বয়ে শিখতে পারি অনুরুপভাবে মানসিক আবেগকে নিয়ন্ত্রণ এবং পিজিটিভ চিন্তা করার ক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়াতে পারি ।
আত্নবিশ্বাস এবং আত্ননির্ভরতার মাধ্যমে আমরা তা করতে পারি । হতাশা ঝেড়ে ফেলে আশাবাদী হতে হবে । লক্ষ্য ঠিক করে তা অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে , যা ব্রেনকে স্হির হতে সহায়তা করে ।
সূতরাং চলেন আমরা সবাই সূখী হই এবং সফল হই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।