দেহটা প্রবাসে,আর মন স্বদেশে। যেখানে আমার জন্ম,বেড়ে উঠা সর্বোপরি আমার মাতৃভূমি ওহে বাংলাদেশ,যতদিন বেঁচে থাকি যেন তোমাকে ভালবেসে যেতে পারি। প্রার্থনা করি বিধাতার কাছে তুই যেন তোর সন্তানদের আগলে রাখতে পারিস প্রতিবেশীর ষড়যন্ত্র থেকে। দীর্ঘজীবি হোক বাংলাদেশ
ঈদ মোবারক!সকল ব্লগারদের'কে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
শিরোনাম হচ্ছে প্রবাসীদের ঈদ আনন্দ আছে কি? আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার চেষ্টা করব।
এই ঈদসহ প্রবাসে আমার ৭তম ঈদ। প্রথম ঈদের দিন নামাজ পড়ে ডিউটি করতে হয়েছে,২য় ঈদের দিন ছুটি নিয়ে নামাজ পড়লাম এবং এক বড় ভাইসহ(কলিগ) কুরবানি দেখতে গেলাম আবুধাবী শহর থেকে আনুমানিক ৪০কিঃমিঃ দুরে। ৩য় ঈদের আগের রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় যাই তারপর নামাজ পড়তে মসজিদে যাই পাঁয়ে হেটে(বাসায় থেকে মসজিদের দূরত্ব প্রায় দুই কিঃমিঃ)। নামাজ শেষে দু'একজন কলিগের সাথে কোলাকুলি তারপর বাসায় এবং পরিশেষে ঘুম। ৪র্থ ঈদও ঐ একই অবস্থা ঠিক ৩য় ঈদের মত।
৫ম ঈদও ৩য়,৪র্থ'র মত শুধু একটু ব্যবধান ছিল,প্রতোক ঈদে নামাজের আগে পরে বাড়িতে কথা বলতাম বাবা,মা,স্ত্রী-সন্তানসহ আত্নীয় স্বজন,বন্ধুদের সাথে। এই ঈদে যখন নামাজ পড়ে বাসায় আসি তখনি মনে পড়ে গেলো বাবার কথা। বুঝি আর হবে না কোনদিন কথা আমার জন্মদাতা পিতার সাথে?কিভাবে হবে তিনি তো চলে গেলেন(৪র্থ ঈদের ৪দিন পর)সবাইকে রেখে আপন ঠিকানায়। যেখানে যেতে হবে আমাদের সকলের। যখনি মনে পড়ল বাবার কথা সাথে,সাথে দু'চোখ থেকে ঝরনার পানি বইতে লাগল।
আর মনে,মনে বিধাতার কাছে বাবার আত্নার শান্তি কামনা করে দোয়া করলাম। ৬ষ্ট ঈদও ৩য়,৪র্থ'র মত কাটল। আসল ৭ম ঈদ এই ঈদে নামাজ পড়তে পারব কিনা আশঙ্কা আছি। কেননা,এইবার ডিউটি ডে-শিফট(প্রথম ঈদ ছাড়া বাকী ঈদের সময় ডিউটি ছিল নাইট শিফটে)ভোর ৫টা(ইউ.এ.ই সময়)থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০মিঃ পর্যন্ত। কর্মস্থল হলো সিঙ্গেল পোষ্ট,কোনভাবেই পোষ্ট খালি রাখা যাবে না।
যাক,আমি ছাড়া আমার আন্যান্য ভাইয়েরা নামাজ পড়তে এবং আনন্দ করতে পারলে আমি খুশি। আবারও সকলকে ঈদ মোবারক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।